অধিভুক্ত কলেজে বড় পরিবর্তন আসছে

পিয়াস সরকার

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর মানোন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কলেজ পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা ই-লাইব্রেরি, সুদ মুক্ত ঋণ, অনলাইন ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক, ল্যাবরেটরি থেকে শুরু করে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন। আর কলেজের পরিচালনা পর্ষদে সভাপতি হবেন শিক্ষাবিদগণ।  বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি কলেজের সংখ্যা ২ হাজার ২৫০টি। যার মধ্যে ৮৫৭ টি কলেজে স্নাতক পড়ানো হয়। এই কলেজগুলো অধ্যয়নের সুযোগ পান ৪ লাখ ২০ হাজারের অধিক। এই কলেজগুলোর মধ্যে স্নাতকোত্তর পড়ানো হয় ১৪৫টি কলেজে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত ই-লাইব্রেরির সুবিধা পাননি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ই-লাইব্রেরি চালু হওয়ার পর থেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চালুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।বর্তমানে কলেজের অধিকাংশ লাইব্রেরিগুলোতে রয়েছে বইয়ের সংকট। আবার এসব কলেজে বছরের একটা বড় সময় ধরে বিভিন্ন পরীক্ষার কারণে বন্ধ থাকে। ফলে কলেজে না আসা শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।এবার থেকে ই-লাইব্রেরি চালু হওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে লাইব্রেরি ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। নতুন এই নিয়মে সুদ মুক্ত ঋণের সুবিধা দেয়া হবে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা নিয়ম মেনে এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ঋণের অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা জীবন চলমান রাখা থেকে শুরু করে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ পাবেন। আবার মেধাবী শিক্ষার্থীরা পাবেন বিনামূল্যে অধ্যয়নের পাশাপাশি বৃত্তির সুবিধা। শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক বা ই-ক্যাম্পাসের আওতায় আসবেন। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক আগে থেকেই এই সুবিধার আওতায় এসেছেন। ই-ক্যাম্পাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ই-লার্নিং, ভিডিও ক্লাস, লাইভ ক্লাস, অনলাইন ট্রেনিং, বিভিন্ন কার্যক্রমের আপডেট সহজেই পাবেন। এ ছাড়াও দেশে ছড়িয়ে থাকা কলেজের পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা দীর্ঘদিনের। এবার থেকে কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হবেন কোনো একজন শিক্ষাবিদ। আবার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নাম লেখাতে প্রত্যন্ত এলাকায় ডিগ্রি স্তরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রম চালু করা হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে এগুলোর পাশাপাশি আরও নানা উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। আবার এসব কলেজের জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আলাদা নীতিমালাও প্রয়োজনে গ্রহণ করা হবে। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও গবেষণার ফল প্রকাশের সুযোগ পাবেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উত্তীর্ণ হয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর কর্মক্ষেত্রে নানা সমস্যার মুখে পড়েন। অধিকাংশ শিক্ষার্থী জানেন না কোন সেক্টরে তারা চাকরির জন্য আবেদন করবেন। নতুন কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী শিক্ষার পাশাপাশি চাকরি কেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা দেয়া হবে। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাবিদদের মাধ্যমে এরই মধ্যে খসড়া কৌশলপত্র তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) থেকে কৌশলপত্রের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সিইডিপি প্রোগ্রাম অফিসার (পরিকল্পনা) ড. এ কে এম খলিলুর রহমান বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার মান বাড়াতে বিশিষ্টজনের গবেষণার মাধ্যমে খসড়া কৌশলপত্র তৈরি করা হয়েছে। এতে কলেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই পরিবর্তনের পথে হাঁটতে চায়। এরই মাঝে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।  আগামী বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যায়ে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ১২টি কোর্স। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজের সংখ্যা ৩০৭। বাকিটা বেসরকারি। গত দুই বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নতুন করে কোনো কলেজকে অধিভুক্ত করেনি।

উল্টো যেসব কলেজে অনার্স চালু আছে তা কতটা সক্ষমতা সম্পন্ন তা নতুন করে খতিয়ে দেখার চিন্তা-ভাবনা করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। গত দুই বছরে ডিগ্রিতে প্রায় চার লাখ আসন কমানো হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে বর্তমানে ৩০টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে। যার মধ্যে অধিকাংশ কলেজগুলোতে থাকা অধিকাংশ বিষয়সমূহই চাকরি বাজারের সঙ্গে অনুপযোগী। শিক্ষার্থীদের চাকরি বাজারে দক্ষতা বাড়াতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স চালুর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আগামী বছরের শুরু থেকে পর্যায়ক্রমে চালু হবে এসব কোর্স। এ ধরনের মোট ১২টি ডিপ্লোমা কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোর্সগুলো হলো ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি), ল্যাংগুয়েজ ইংলিশ অ্যান্ড অ্যারাবিক, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ, ফার্মিং টেকনোলজি, ডাটা অ্যানালাইসিস, ট্যুরিজম অ্যান্ড ট্রাভেল ম্যানেজমেন্ট, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টিং টেকনিশিয়ান, সাইবার সিকিউরিটি ও সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট।

এছাড়া চলতি বছরে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি উভয়ক্ষেত্রে চাওয়া হয়েছে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫। আর মানবিক বিভাগের জন্য এসএসসি’তে ৩.৫ ও এইচএসসিতে ৩.০। পূর্বে অনার্সে আবেদনের জন্য এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে সর্বনিম্ন ৫ (২.৫০+২.৫০) পয়েন্ট চাওয়া হয়েছিল। যদিও এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মো. মশিউর রহমান বলেন, আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন পাস করার পর বেকার না থাকে। আমরা শিক্ষার্থীদের অনার্স বা ডিগ্রিতে না নিয়ে আমরা ধীরে ধীরে ডিপ্লোমা ও শর্ট কোর্সগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে চাচ্ছি। সেটাও রাতারাতি সম্ভব হবে না। ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্সে শর্ট কোর্সগুলোকে এমবেডেড করবো। আইসিটি, ল্যাংগুয়েজ, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ কম্পলসারি করবো। তবে আমরা শিক্ষক সংকটের কারণে খুব সহজে এসব করতে পারছি না। তবে কলেজে আপাতত না দিলেও কেন্দ্রীয়ভাবে শুরু করার পরিকল্পনা আছে।

অধিভুক্ত কলেজে বড় পরিবর্তন আসছে

পিয়াস সরকার

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর মানোন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কলেজ পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা ই-লাইব্রেরি, সুদ মুক্ত ঋণ, অনলাইন ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক, ল্যাবরেটরি থেকে শুরু করে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন। আর কলেজের পরিচালনা পর্ষদে সভাপতি হবেন শিক্ষাবিদগণ।  বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি কলেজের সংখ্যা ২ হাজার ২৫০টি। যার মধ্যে ৮৫৭ টি কলেজে স্নাতক পড়ানো হয়। এই কলেজগুলো অধ্যয়নের সুযোগ পান ৪ লাখ ২০ হাজারের অধিক। এই কলেজগুলোর মধ্যে স্নাতকোত্তর পড়ানো হয় ১৪৫টি কলেজে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত ই-লাইব্রেরির সুবিধা পাননি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ই-লাইব্রেরি চালু হওয়ার পর থেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চালুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।বর্তমানে কলেজের অধিকাংশ লাইব্রেরিগুলোতে রয়েছে বইয়ের সংকট। আবার এসব কলেজে বছরের একটা বড় সময় ধরে বিভিন্ন পরীক্ষার কারণে বন্ধ থাকে। ফলে কলেজে না আসা শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।এবার থেকে ই-লাইব্রেরি চালু হওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে লাইব্রেরি ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। নতুন এই নিয়মে সুদ মুক্ত ঋণের সুবিধা দেয়া হবে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা নিয়ম মেনে এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ঋণের অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা জীবন চলমান রাখা থেকে শুরু করে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ পাবেন। আবার মেধাবী শিক্ষার্থীরা পাবেন বিনামূল্যে অধ্যয়নের পাশাপাশি বৃত্তির সুবিধা। শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক বা ই-ক্যাম্পাসের আওতায় আসবেন। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক আগে থেকেই এই সুবিধার আওতায় এসেছেন। ই-ক্যাম্পাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ই-লার্নিং, ভিডিও ক্লাস, লাইভ ক্লাস, অনলাইন ট্রেনিং, বিভিন্ন কার্যক্রমের আপডেট সহজেই পাবেন। এ ছাড়াও দেশে ছড়িয়ে থাকা কলেজের পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা দীর্ঘদিনের। এবার থেকে কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হবেন কোনো একজন শিক্ষাবিদ। আবার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নাম লেখাতে প্রত্যন্ত এলাকায় ডিগ্রি স্তরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রম চালু করা হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে এগুলোর পাশাপাশি আরও নানা উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। আবার এসব কলেজের জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আলাদা নীতিমালাও প্রয়োজনে গ্রহণ করা হবে। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও গবেষণার ফল প্রকাশের সুযোগ পাবেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উত্তীর্ণ হয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর কর্মক্ষেত্রে নানা সমস্যার মুখে পড়েন। অধিকাংশ শিক্ষার্থী জানেন না কোন সেক্টরে তারা চাকরির জন্য আবেদন করবেন। নতুন কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী শিক্ষার পাশাপাশি চাকরি কেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা দেয়া হবে। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাবিদদের মাধ্যমে এরই মধ্যে খসড়া কৌশলপত্র তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) থেকে কৌশলপত্রের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সিইডিপি প্রোগ্রাম অফিসার (পরিকল্পনা) ড. এ কে এম খলিলুর রহমান বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার মান বাড়াতে বিশিষ্টজনের গবেষণার মাধ্যমে খসড়া কৌশলপত্র তৈরি করা হয়েছে। এতে কলেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই পরিবর্তনের পথে হাঁটতে চায়। এরই মাঝে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।  আগামী বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যায়ে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ১২টি কোর্স। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজের সংখ্যা ৩০৭। বাকিটা বেসরকারি। গত দুই বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নতুন করে কোনো কলেজকে অধিভুক্ত করেনি।

উল্টো যেসব কলেজে অনার্স চালু আছে তা কতটা সক্ষমতা সম্পন্ন তা নতুন করে খতিয়ে দেখার চিন্তা-ভাবনা করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। গত দুই বছরে ডিগ্রিতে প্রায় চার লাখ আসন কমানো হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে বর্তমানে ৩০টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে। যার মধ্যে অধিকাংশ কলেজগুলোতে থাকা অধিকাংশ বিষয়সমূহই চাকরি বাজারের সঙ্গে অনুপযোগী। শিক্ষার্থীদের চাকরি বাজারে দক্ষতা বাড়াতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স চালুর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আগামী বছরের শুরু থেকে পর্যায়ক্রমে চালু হবে এসব কোর্স। এ ধরনের মোট ১২টি ডিপ্লোমা কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোর্সগুলো হলো ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি), ল্যাংগুয়েজ ইংলিশ অ্যান্ড অ্যারাবিক, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ, ফার্মিং টেকনোলজি, ডাটা অ্যানালাইসিস, ট্যুরিজম অ্যান্ড ট্রাভেল ম্যানেজমেন্ট, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টিং টেকনিশিয়ান, সাইবার সিকিউরিটি ও সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট।

এছাড়া চলতি বছরে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি উভয়ক্ষেত্রে চাওয়া হয়েছে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫। আর মানবিক বিভাগের জন্য এসএসসি’তে ৩.৫ ও এইচএসসিতে ৩.০। পূর্বে অনার্সে আবেদনের জন্য এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে সর্বনিম্ন ৫ (২.৫০+২.৫০) পয়েন্ট চাওয়া হয়েছিল। যদিও এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মো. মশিউর রহমান বলেন, আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন পাস করার পর বেকার না থাকে। আমরা শিক্ষার্থীদের অনার্স বা ডিগ্রিতে না নিয়ে আমরা ধীরে ধীরে ডিপ্লোমা ও শর্ট কোর্সগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে চাচ্ছি। সেটাও রাতারাতি সম্ভব হবে না। ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্সে শর্ট কোর্সগুলোকে এমবেডেড করবো। আইসিটি, ল্যাংগুয়েজ, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ কম্পলসারি করবো। তবে আমরা শিক্ষক সংকটের কারণে খুব সহজে এসব করতে পারছি না। তবে কলেজে আপাতত না দিলেও কেন্দ্রীয়ভাবে শুরু করার পরিকল্পনা আছে।