অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি মানছে না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বেঁধে দেওয়া অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি মানছে না একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন করে তাদের সর্তক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি। দ্রুত এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্তকতামূলক চিঠি পাঠানো হবে বলে জানা যায়।

ইউজিসি প্রণীত গ্রেডিং পদ্ধতিতে দেখা যায়, ৮০ বা এর বেশি নম্বর পেলে একজন শিক্ষার্থীকে ‘এ-প্লাস’ বা সিজিপিএ-৪ দেওয়া হবে। ৭৫ থেকে ৭৯ নম্বর পেলে তা ‘এ রেগুলার’ বা সিজিপিএ-৩ দশমিক ৭৫ এবং ৭০ থেকে ৭৪ পেলে ‘এ মাইনাস’ বা সিজিপিএ-৩ দশমিক ৫ পাবে। ৬৫ থেকে ৬৯ এর জন্য ‘বি প্লাস’ বা সিজিপিএ-৩ দশমিক ২৫, ৬০ থেকে ৬৪ এর কম পেলে তা ‘বি রেগুলার’ বা সিজিপিএ-৩ হিসাবে শনাক্ত করা হবে।

একইভাবে ৫৫ থেকে ৫৯ এর জন্য ‘বি মাইনাস’ বা সিজিপিএ-২ দশমিক ৭৫; ৫০ থেকে ৫৪-এর জন্য এ ‘সি প্লাস’ বা সিজিপিএ-২ দশমিক ৫ দেওয়া হবে। ব্যক্তি পরীক্ষায় ৪৫ থেকে ৪৯ পেলে তা ‘সি রেগুলার’ বা সিজিপিএ-২ দশমিক ২৫; ৪০ থেকে ৪৪ পেলে ‘ডি’ বা সিজিপিএ-২ অধিকারী হবেন তিনি। ৪০-এর কম হলে ‘এফ’ বা অকৃতকার্য দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে ইউজিসির।

জানা যায়, দেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের তৈরি পদ্ধতি অনুযায়ী ইচ্ছামতো গ্রেডিং ও লেটার গ্রেড দিচ্ছি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র মিলেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ৮০ নম্বর পেলে শিক্ষার্থীরা ‘এ প্লাস’ বা সিজিপিএ ৪ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেন, সেখানে একই পরিমাণ নম্বর পেয়ে এনএসইউতে একজন শিক্ষার্থী বি-মাইনাস পায়। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনএসইউ), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (এআইইউবি), ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি), ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) মো. ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ২০০৬ সালে ইউজিসি থেকে অভিন্ন গ্রেডিং নীতিমালা তৈরি করে তা অনুসরণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু শীর্ষ মানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজেদের মতো গ্রেডিং তৈরি করছে। এতে করে কেউ কেউ বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে। এটি যেন অভিন্ন পদ্ধতিতে অনুসরণ করা হয়, সে জন্য তাদের আবারও সর্তক করা হবে।

তিনি বলেন, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির নীতিমালা অনুসরণ করলেও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় করছে না। সে কারণে এ বিষয়ে ইউজিসিতে একটি সভা করে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠিয়ে অভিন্ন নীতিমালা অনুসরণ করতে বলা হবে।

অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি মানছে না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বেঁধে দেওয়া অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি মানছে না একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন করে তাদের সর্তক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি। দ্রুত এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্তকতামূলক চিঠি পাঠানো হবে বলে জানা যায়।

ইউজিসি প্রণীত গ্রেডিং পদ্ধতিতে দেখা যায়, ৮০ বা এর বেশি নম্বর পেলে একজন শিক্ষার্থীকে ‘এ-প্লাস’ বা সিজিপিএ-৪ দেওয়া হবে। ৭৫ থেকে ৭৯ নম্বর পেলে তা ‘এ রেগুলার’ বা সিজিপিএ-৩ দশমিক ৭৫ এবং ৭০ থেকে ৭৪ পেলে ‘এ মাইনাস’ বা সিজিপিএ-৩ দশমিক ৫ পাবে। ৬৫ থেকে ৬৯ এর জন্য ‘বি প্লাস’ বা সিজিপিএ-৩ দশমিক ২৫, ৬০ থেকে ৬৪ এর কম পেলে তা ‘বি রেগুলার’ বা সিজিপিএ-৩ হিসাবে শনাক্ত করা হবে।

একইভাবে ৫৫ থেকে ৫৯ এর জন্য ‘বি মাইনাস’ বা সিজিপিএ-২ দশমিক ৭৫; ৫০ থেকে ৫৪-এর জন্য এ ‘সি প্লাস’ বা সিজিপিএ-২ দশমিক ৫ দেওয়া হবে। ব্যক্তি পরীক্ষায় ৪৫ থেকে ৪৯ পেলে তা ‘সি রেগুলার’ বা সিজিপিএ-২ দশমিক ২৫; ৪০ থেকে ৪৪ পেলে ‘ডি’ বা সিজিপিএ-২ অধিকারী হবেন তিনি। ৪০-এর কম হলে ‘এফ’ বা অকৃতকার্য দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে ইউজিসির।

জানা যায়, দেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের তৈরি পদ্ধতি অনুযায়ী ইচ্ছামতো গ্রেডিং ও লেটার গ্রেড দিচ্ছি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র মিলেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ৮০ নম্বর পেলে শিক্ষার্থীরা ‘এ প্লাস’ বা সিজিপিএ ৪ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেন, সেখানে একই পরিমাণ নম্বর পেয়ে এনএসইউতে একজন শিক্ষার্থী বি-মাইনাস পায়। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনএসইউ), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (এআইইউবি), ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি), ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) মো. ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ২০০৬ সালে ইউজিসি থেকে অভিন্ন গ্রেডিং নীতিমালা তৈরি করে তা অনুসরণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু শীর্ষ মানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজেদের মতো গ্রেডিং তৈরি করছে। এতে করে কেউ কেউ বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে। এটি যেন অভিন্ন পদ্ধতিতে অনুসরণ করা হয়, সে জন্য তাদের আবারও সর্তক করা হবে।

তিনি বলেন, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির নীতিমালা অনুসরণ করলেও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় করছে না। সে কারণে এ বিষয়ে ইউজিসিতে একটি সভা করে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠিয়ে অভিন্ন নীতিমালা অনুসরণ করতে বলা হবে।