উদ্যমী তরুণদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম

আওয়ার ক্যানভাস বলছে অনুপ্রেরণার গল্প

মোশারফ হোসাইন

মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তথ্য, শিক্ষা, বিনোদন, রাজনীতি-অর্থনীতিসহ সবকিছুর প্রচার ও প্রকাশ এখন ফেসবুকই। দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক শহর চট্টগ্রামে বসে ‘আওয়ার ক্যানভাস’ নামে ফেসবুকভিত্তিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ‘ফেইস টু ফেইস’ অনুষ্ঠান শুরু করেছেন খুদে সাংবাদিক জুনায়েদ হাবীব। দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের খ্যাতিমান তারকা, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে ক্রিকেটার কিংবা অভিনেতারাও অংশ নিচ্ছেন সেই অনুষ্ঠানে। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই প্ল্যাটফর্ম। জুনায়েদ হাবীব বলেন, ছোটবেলা থেকে এমন কোনো কাজ করার স্বপ্ন দেখতাম যেখানে সকল শ্রেণির মানুষের কাছে গিয়ে মেশার সুযোগ হয়। সেই চিন্তা থেকে সাংবাদিকতার প্রতি একটা টান তৈরি হয়। মাদ্রাসায় পড়ার সময় থেকে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রকাশনা বিভাগের ম্যাগাজিনে নিয়মিত সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেছিলাম। তখন বয়স মাত্র ১৩ বা ১৪ বছর ছিল।

ocআওয়ার ক্যানভাস

ঐতিহাসিক পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, সমকাল, দেশ রূপান্তর, সময়ের আলো-সহ বিভিন্ন পত্রিকার ফিচার বিভাগে নিয়মিত লিখতাম। এই সুবাদে বিভিন্ন পেশার সফল মানুষের গল্প শোনার ও তাদের সঙ্গে মেশার সুযোগ হয়।জুনায়েদ জানান, বিনোদন, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, রাজনীতি, লাইফস্টাইল সহ বিভিন্ন ঘরানার কাজ করার সুযোগ হয় তার। একসময় সিদ্ধান্ত নেন ছোট পরিসরে হলেও নিজস্ব একট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবেন। ২০২০ সালের শেষ দিকে ‘আওয়ার ক্যানভাস’ যাত্রা শুরু করে। ফেসবুকে নিয়মিত ভার্চুয়াল লাইভ শো শুরু হয়। সফল তারকাদের জীবনের গল্প তুলে আনা হতো সেসব অনুষ্ঠানে। তবে করোনাকালে ঘরে বসেই করতে হয়েছে অনুষ্ঠানগুলো।

জুনায়েদ বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর এই শো সরাসরি বসে শুটিং করার সিদ্ধান্ত নিই। বন্ধু সাজ্জাদ হোসাইন শুভকে নিয়ে স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়েই রেকোর্ডিং শুরু করি। আমি সাক্ষাৎকার নেওয়ার ভূমিকায় থাকতাম, আর এডিটিংয়ের দায়িত্বে শুভ। শুরুর দিকে ‘ফেইস টু ফেইস’ অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব তানভীর শাহরিয়ার রিমনকে আমন্ত্রণ জানাই। তার অফিসে গিয়ে দেখি চমৎকার ইন্টেরিয়র। তখন ভাবলাম, যাদের ইন্টারভিউ নেবো তাদের অফিস বা ড্রয়িং রুমে চলে গেলেই হয়। এতে করে আমার নিজের স্টুডিও দরকার পড়বে না। সেই সামর্থ্যও আমাদের ছিল না। তবু আমাদের অনুষ্ঠানগুলো বেশ ভালোভাবে চলছে এখন। ইতোমধ্যেই ‘ফেইস টু ফেইস’-এর ৩০টি পর্ব সম্পন্ন হয়েছে।

junaidজনপ্রিয় অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়ার সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন জুনায়েদ হাবীব

জুনায়েদ বলেন, ভাবতেও পারিনি আমরা সবার স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাবো। যখন যে অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি তারাই এসেছেন। শুনিয়েছেন তাদের জীবনের অজানা সব গল্প।

বন্ধু সাজ্জাদ হোসাইন শুভকে সঙ্গে নিয়ে জুনায়েদের ‘আওয়ার ক্যানভাস’ যাত্রা করলেও পরবর্তীতে এতে অনেকেই যুক্ত হয়েছেন। তারা হলেন- ফয়সাল তাসনিম, সিফাত করিম, আসাদুল্লাহ সা’আদ, আবু সুফিয়ান। ইন্টারভিউ শো রেকর্ডিংয়ে যারা ক্যামেরার পেছনে থেকে দৃশ্যধারণে কাজ করছেন তাদের মূলে রয়েছেন ইমরান হোসাইন। এছাড়া আহমেদ আদনান, সাইফুল ইসলাম, রেদওয়ান রাহী, তাসিন ফারাজও রয়েছেন। অন্যান্য কনটেন্টে ভয়েজ আর্টিস্ট হিসেবে কণ্ঠ দেন আঁখি নূর, জায়মা আফরিন, দীপ্তিমান দাস। এছাড়া ফারহাত মাঈশা কাজ করছেন অনলাইন পোর্টালে। ইয়ামিন হাসান মাহ্দী প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি দেখভাল করেন। ব্যবস্থাপনায় থাকেন আল-আমিন ও সাইফ বিন ইব্রাহীম।

জুনায়েদ হাবীব বলেন, আমরা শুধুমাত্র টকশো-র গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। আওয়ার ক্যানভাস একটা রোডম্যাপ নিয়ে আগাচ্ছে। শুধুমাত্র এখন পর্যন্ত প্রায় ৩টি ক্যাটাগরিতে টকশো রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও একটি শো সংযোজন করার ইচ্ছে আছে। সেখানে প্রান্তিক পর্যায়ের প্রতিভাবানদের সঙ্গে মূলধারার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যুক্ত করা হবে।

উদ্যমী তরুণদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম

আওয়ার ক্যানভাস বলছে অনুপ্রেরণার গল্প

মোশারফ হোসাইন

মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তথ্য, শিক্ষা, বিনোদন, রাজনীতি-অর্থনীতিসহ সবকিছুর প্রচার ও প্রকাশ এখন ফেসবুকই। দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক শহর চট্টগ্রামে বসে ‘আওয়ার ক্যানভাস’ নামে ফেসবুকভিত্তিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ‘ফেইস টু ফেইস’ অনুষ্ঠান শুরু করেছেন খুদে সাংবাদিক জুনায়েদ হাবীব। দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের খ্যাতিমান তারকা, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে ক্রিকেটার কিংবা অভিনেতারাও অংশ নিচ্ছেন সেই অনুষ্ঠানে। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই প্ল্যাটফর্ম। জুনায়েদ হাবীব বলেন, ছোটবেলা থেকে এমন কোনো কাজ করার স্বপ্ন দেখতাম যেখানে সকল শ্রেণির মানুষের কাছে গিয়ে মেশার সুযোগ হয়। সেই চিন্তা থেকে সাংবাদিকতার প্রতি একটা টান তৈরি হয়। মাদ্রাসায় পড়ার সময় থেকে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রকাশনা বিভাগের ম্যাগাজিনে নিয়মিত সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেছিলাম। তখন বয়স মাত্র ১৩ বা ১৪ বছর ছিল।

ocআওয়ার ক্যানভাস

ঐতিহাসিক পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, সমকাল, দেশ রূপান্তর, সময়ের আলো-সহ বিভিন্ন পত্রিকার ফিচার বিভাগে নিয়মিত লিখতাম। এই সুবাদে বিভিন্ন পেশার সফল মানুষের গল্প শোনার ও তাদের সঙ্গে মেশার সুযোগ হয়।জুনায়েদ জানান, বিনোদন, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, রাজনীতি, লাইফস্টাইল সহ বিভিন্ন ঘরানার কাজ করার সুযোগ হয় তার। একসময় সিদ্ধান্ত নেন ছোট পরিসরে হলেও নিজস্ব একট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবেন। ২০২০ সালের শেষ দিকে ‘আওয়ার ক্যানভাস’ যাত্রা শুরু করে। ফেসবুকে নিয়মিত ভার্চুয়াল লাইভ শো শুরু হয়। সফল তারকাদের জীবনের গল্প তুলে আনা হতো সেসব অনুষ্ঠানে। তবে করোনাকালে ঘরে বসেই করতে হয়েছে অনুষ্ঠানগুলো।

জুনায়েদ বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর এই শো সরাসরি বসে শুটিং করার সিদ্ধান্ত নিই। বন্ধু সাজ্জাদ হোসাইন শুভকে নিয়ে স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়েই রেকোর্ডিং শুরু করি। আমি সাক্ষাৎকার নেওয়ার ভূমিকায় থাকতাম, আর এডিটিংয়ের দায়িত্বে শুভ। শুরুর দিকে ‘ফেইস টু ফেইস’ অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব তানভীর শাহরিয়ার রিমনকে আমন্ত্রণ জানাই। তার অফিসে গিয়ে দেখি চমৎকার ইন্টেরিয়র। তখন ভাবলাম, যাদের ইন্টারভিউ নেবো তাদের অফিস বা ড্রয়িং রুমে চলে গেলেই হয়। এতে করে আমার নিজের স্টুডিও দরকার পড়বে না। সেই সামর্থ্যও আমাদের ছিল না। তবু আমাদের অনুষ্ঠানগুলো বেশ ভালোভাবে চলছে এখন। ইতোমধ্যেই ‘ফেইস টু ফেইস’-এর ৩০টি পর্ব সম্পন্ন হয়েছে।

junaidজনপ্রিয় অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়ার সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন জুনায়েদ হাবীব

জুনায়েদ বলেন, ভাবতেও পারিনি আমরা সবার স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাবো। যখন যে অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি তারাই এসেছেন। শুনিয়েছেন তাদের জীবনের অজানা সব গল্প।

বন্ধু সাজ্জাদ হোসাইন শুভকে সঙ্গে নিয়ে জুনায়েদের ‘আওয়ার ক্যানভাস’ যাত্রা করলেও পরবর্তীতে এতে অনেকেই যুক্ত হয়েছেন। তারা হলেন- ফয়সাল তাসনিম, সিফাত করিম, আসাদুল্লাহ সা’আদ, আবু সুফিয়ান। ইন্টারভিউ শো রেকর্ডিংয়ে যারা ক্যামেরার পেছনে থেকে দৃশ্যধারণে কাজ করছেন তাদের মূলে রয়েছেন ইমরান হোসাইন। এছাড়া আহমেদ আদনান, সাইফুল ইসলাম, রেদওয়ান রাহী, তাসিন ফারাজও রয়েছেন। অন্যান্য কনটেন্টে ভয়েজ আর্টিস্ট হিসেবে কণ্ঠ দেন আঁখি নূর, জায়মা আফরিন, দীপ্তিমান দাস। এছাড়া ফারহাত মাঈশা কাজ করছেন অনলাইন পোর্টালে। ইয়ামিন হাসান মাহ্দী প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি দেখভাল করেন। ব্যবস্থাপনায় থাকেন আল-আমিন ও সাইফ বিন ইব্রাহীম।

জুনায়েদ হাবীব বলেন, আমরা শুধুমাত্র টকশো-র গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। আওয়ার ক্যানভাস একটা রোডম্যাপ নিয়ে আগাচ্ছে। শুধুমাত্র এখন পর্যন্ত প্রায় ৩টি ক্যাটাগরিতে টকশো রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও একটি শো সংযোজন করার ইচ্ছে আছে। সেখানে প্রান্তিক পর্যায়ের প্রতিভাবানদের সঙ্গে মূলধারার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যুক্ত করা হবে।