১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী

আপিলের রায় থাকার পরও কেউ চাকরি করছেন আর কেউ হচ্ছেন নিয়োগ বঞ্চিত

স্টাফ রিপোর্টার

২০১৫ সালের গেজেটের আলোকে পিএসসি’র আদলে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পরিপত্রের ১০ এর (ঝ) ধারা অনুযায়ী নির্দিষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে প্রিলি, রিটেন, ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে ১৩তম নিবন্ধন পরীক্ষায় ১৭২৫৪ জন চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন। এরপরও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিয়োগ না দেয়ায় ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী ২২০৭ জন হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন। ২০১৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগ রিটকারীদের পক্ষে রায় দেন। এরপর এনটিআরসিএ আপিল করে এই রায়ের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে তাদের সিভিল লিভ টু আপিল ৩৪৩/১৯ মামলার নিষ্পত্তির ফলে এনটিআরসিএ ২২০৭ জনকে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে পদ সংরক্ষণ করে এবং ২০২১ সালে নিয়োগ প্রদান করে। কিন্তু একই শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্র্ণ হওয়ার পরও বাকিরা নিয়োগ বঞ্চিত হন। এরপর বঞ্চিত ২৫০০ জন হাইকোর্ট বিভাগে ২০২১ সালে রিট পিটিশন দায়ের করেন।

সেখানেও ২০২২ সালে ১লা জুন হাইকোর্ট বিভাগ রিটকারীদের পক্ষে রায় দেন এবং নির্দেশ দেন যে, সিভিল লিভ টু আপিল ৩৪৩/২০১৯ মামলা নিষ্পত্তির ফলে ২২০৭ জন নিয়োগ পান, সুতরাং বর্তমান পিটিশনাররা ২২০৭ জনের উত্তরসূরি, একই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ৬০ দিনের মধ্যে অনতিবিলম্বে নিয়োগ দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু এনটিআরসিএ নিয়োগ না দিয়ে রায়ের ওপর পুনরায় আপিল করে। ফলে একই  গেজেট ও পরিপত্রের উপর বারবার আপিল হয়।

নিয়োগ বঞ্চিতরা বলছেন, আপিল মামলার বেড়াজালে জড়িয়ে বর্তমান পিটিশনারদেরকে নিয়োগ বঞ্চিত রেখে ৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা করছে এনটিআরসিএ। যা ১৩তম রায়প্রাপ্ত রিটকারীদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এ অবস্থায়  এই নিয়োগ বঞ্চিত ২৫০০ জন পিটিশনার হতাশায় দিন পার করছেন। তারা দাবি জানান, ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে পদসংরক্ষণ করে ২২০৭ জনের অনুরূপ নিয়োগ প্রদানের এবং সাংবিধানিক অধিকার চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিতকরণের। এই দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী

আপিলের রায় থাকার পরও কেউ চাকরি করছেন আর কেউ হচ্ছেন নিয়োগ বঞ্চিত

স্টাফ রিপোর্টার

২০১৫ সালের গেজেটের আলোকে পিএসসি’র আদলে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পরিপত্রের ১০ এর (ঝ) ধারা অনুযায়ী নির্দিষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে প্রিলি, রিটেন, ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে ১৩তম নিবন্ধন পরীক্ষায় ১৭২৫৪ জন চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন। এরপরও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিয়োগ না দেয়ায় ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী ২২০৭ জন হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন। ২০১৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগ রিটকারীদের পক্ষে রায় দেন। এরপর এনটিআরসিএ আপিল করে এই রায়ের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে তাদের সিভিল লিভ টু আপিল ৩৪৩/১৯ মামলার নিষ্পত্তির ফলে এনটিআরসিএ ২২০৭ জনকে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে পদ সংরক্ষণ করে এবং ২০২১ সালে নিয়োগ প্রদান করে। কিন্তু একই শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্র্ণ হওয়ার পরও বাকিরা নিয়োগ বঞ্চিত হন। এরপর বঞ্চিত ২৫০০ জন হাইকোর্ট বিভাগে ২০২১ সালে রিট পিটিশন দায়ের করেন।

সেখানেও ২০২২ সালে ১লা জুন হাইকোর্ট বিভাগ রিটকারীদের পক্ষে রায় দেন এবং নির্দেশ দেন যে, সিভিল লিভ টু আপিল ৩৪৩/২০১৯ মামলা নিষ্পত্তির ফলে ২২০৭ জন নিয়োগ পান, সুতরাং বর্তমান পিটিশনাররা ২২০৭ জনের উত্তরসূরি, একই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ৬০ দিনের মধ্যে অনতিবিলম্বে নিয়োগ দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু এনটিআরসিএ নিয়োগ না দিয়ে রায়ের ওপর পুনরায় আপিল করে। ফলে একই  গেজেট ও পরিপত্রের উপর বারবার আপিল হয়।

নিয়োগ বঞ্চিতরা বলছেন, আপিল মামলার বেড়াজালে জড়িয়ে বর্তমান পিটিশনারদেরকে নিয়োগ বঞ্চিত রেখে ৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা করছে এনটিআরসিএ। যা ১৩তম রায়প্রাপ্ত রিটকারীদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এ অবস্থায়  এই নিয়োগ বঞ্চিত ২৫০০ জন পিটিশনার হতাশায় দিন পার করছেন। তারা দাবি জানান, ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে পদসংরক্ষণ করে ২২০৭ জনের অনুরূপ নিয়োগ প্রদানের এবং সাংবিধানিক অধিকার চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিতকরণের। এই দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।