ইউজিসিতে গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন নিয়ে কর্মশালা

গবেষকদের ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মশালায় অতিথিবৃন্দ।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ২০২১-২২ অর্থবছরে কলা ও মানবিক শাখার গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়নে একটি কর্মশালা গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে।কমিশনের রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন (রিসাপা)ডিভিশন এই কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় ১১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ৩৬টি গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন করা হয়। কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম। রিসাপা ডিভিশনের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম- এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল ও অধ্যাপক ড. আশা ইসলাম নাঈম, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মনির হোসেন তালুকদার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম জসিম উদ্দিন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। রিসাপা ডিভিশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ মনির উল্লাহ-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইউজিসি’র অতিরিক্ত পরিচালক নাহিদ সুলতানা, মো. শাহীন সিরাজ ও প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম বলেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে ইউজিসি নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে। মানবকল্যাণ ও জীবনমুখী গবেষণা পরিচালনা করা এবং ইনোভেটিভ এডুকেশন ইকোসিস্টেম তৈরির দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, বৈশ্বিক মহামারি ও আর্থিক মন্দার মধ্যেও সরকার কর্তৃক গবেষণা খাতে কোনো ধরনের বরাদ্দ কমায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মূল বাজেটে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি দেশের জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে গবেষকদেরকে অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন রূপরেখার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনার আহবান জানান।

অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ যাতে উদ্ভাবন, গবেষণামুখী ও প্রযুক্তি নির্ভর হয় সেজন্য ইউজিসি গবেষণা নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নীতিমালায় গবেষণা পরিচালনায় অর্থ বরাদ্দ ও ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরত্বারোপ করা হবে। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করা গেলে দেশে রিসার্চার ডেমোগ্রাফি বা গবেষকদের ডাটাবেজ তৈরি হবে। এই ডাটাবেজ থেকে গবেষকের সংখ্যা ও কোন বিষয়ে মোট কত গবেষণা পরিচালিত হয়েছে সেটির সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে। এটি উন্নত বাংলাদেশ বিনিমার্ণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এমবিএইচ/এসএস

 

ইউজিসিতে গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন নিয়ে কর্মশালা

গবেষকদের ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মশালায় অতিথিবৃন্দ।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ২০২১-২২ অর্থবছরে কলা ও মানবিক শাখার গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়নে একটি কর্মশালা গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে।কমিশনের রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন (রিসাপা)ডিভিশন এই কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় ১১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ৩৬টি গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন করা হয়। কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম। রিসাপা ডিভিশনের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম- এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল ও অধ্যাপক ড. আশা ইসলাম নাঈম, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মনির হোসেন তালুকদার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম জসিম উদ্দিন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। রিসাপা ডিভিশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ মনির উল্লাহ-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইউজিসি’র অতিরিক্ত পরিচালক নাহিদ সুলতানা, মো. শাহীন সিরাজ ও প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম বলেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে ইউজিসি নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে। মানবকল্যাণ ও জীবনমুখী গবেষণা পরিচালনা করা এবং ইনোভেটিভ এডুকেশন ইকোসিস্টেম তৈরির দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, বৈশ্বিক মহামারি ও আর্থিক মন্দার মধ্যেও সরকার কর্তৃক গবেষণা খাতে কোনো ধরনের বরাদ্দ কমায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মূল বাজেটে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি দেশের জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে গবেষকদেরকে অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন রূপরেখার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনার আহবান জানান।

অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ যাতে উদ্ভাবন, গবেষণামুখী ও প্রযুক্তি নির্ভর হয় সেজন্য ইউজিসি গবেষণা নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নীতিমালায় গবেষণা পরিচালনায় অর্থ বরাদ্দ ও ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরত্বারোপ করা হবে। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করা গেলে দেশে রিসার্চার ডেমোগ্রাফি বা গবেষকদের ডাটাবেজ তৈরি হবে। এই ডাটাবেজ থেকে গবেষকের সংখ্যা ও কোন বিষয়ে মোট কত গবেষণা পরিচালিত হয়েছে সেটির সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে। এটি উন্নত বাংলাদেশ বিনিমার্ণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এমবিএইচ/এসএস