‘ইতিহাস পাঠ সঠিক আত্মানুসন্ধানের নির্দেশনা দেয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ইতিহাস পাঠ আমাদের সঠিক আত্মানুসন্ধানের নির্দেশনা দেয়। ইতিহাস চর্চা একটা সময় ‘রাজনৈতিক ইতিহাসের’ মধ্যে আবর্তিত ছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক, বুদ্ধিভিত্তিক, সাংস্কৃতিক ইতিহাস চর্চার পরিসর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ইকোলজিক্যাল ইতিহাস চর্চা। অর্থাৎ ইতিহাস কলার জায়গা থেকে বেরিয়ে বিজ্ঞানমুখী এবং পদ্ধতিগত আশ্রয়ের মধ্য দিয়ে একটি পূর্ণপাঠে পরিণত হয়েছে।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির ২০তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ইতিহাসে যখন অনুসন্ধানের গভীর জায়গাটি আসে, তখন রাজনৈতিক ইতিহাস চর্চার পরিবৃত্তি থেকে বেরিয়ে সমাজ ও সংস্কৃতিকে বোঝার মধ্য দিয়ে সভ্যতার আবির্ভাব, উন্মোচন এবং বিকাশকে বের করে আনা হয়। প্রাচ্যের এই অঞ্চলে মিয়ানমারের লাখো শরণার্থীকে বাংলাদেশ আশ্রয় দেয়। প্রাচ্যের ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে মানবিকতা, সহনশীলতা, পাশে দাঁড়ানোর ইতিহাস আরও বেশি গাঢ় হয়।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যবস্থায় আমরা সেই জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছি যেখানে মানবিক গুণ, সংস্কৃতির শক্তি, মননশীলতা ও সৃজনশীলতার জায়গায় পাশ্চাত্যের চেয়ে আমাদের ইতিহাস শিক্ষার জায়গা আরও বেশি প্রখর। যদি তাই হয়, তাহলে কলা এবং বিজ্ঞানের সমন্বয়ে ইতিহাস চর্চা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে জলবায়ু ভূ-গঠনে আগামী বিশ্বে এই প্রাচ্য গভীর এক শক্তি এবং শিক্ষণীয় বিষয় পাবে। স্বাধীনতার শতবর্ষে সকল সত্য উদঘাটনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চার সেই স্বর্ণ শিখরে দাঁড়াবে। যার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম সেই ইতিহাস চর্চায় গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বরেণ্য ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. আবদুল মমিন চৌধুরী বলেন, ইতিহাস বদলে গেছে। এটা এখন আর রাজা-বাদশাদের কাহিনী নয়। মানুষ ও তার পরিবেশ নিয়ে ইতিহাস চর্চা এখন মুখ্য। পরিবেশ সৃষ্টি জিওগ্রাফিক্যাল ফ্যাক্টর। কিন্তু পরিবেশবিদরা এসব নিয়ে খুব বেশি মনোযোগী নন।সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শরিফ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, পাঠ্য বইয়ে ইতিহাস বিকৃতির ঘটনা আমরা দেখছি। এটি কাম্য নয়। মাধ্যমিক স্তর থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষায় সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে লিখিত ইতিহাস পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত বাধ্যতামূলক করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে মুখ্য বক্তা ছিলেন ভারতের নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর রঞ্জন চক্রবর্তী, স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশা ইসলাম নাঈম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান।

এমএম/কেএ

‘ইতিহাস পাঠ সঠিক আত্মানুসন্ধানের নির্দেশনা দেয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ইতিহাস পাঠ আমাদের সঠিক আত্মানুসন্ধানের নির্দেশনা দেয়। ইতিহাস চর্চা একটা সময় ‘রাজনৈতিক ইতিহাসের’ মধ্যে আবর্তিত ছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক, বুদ্ধিভিত্তিক, সাংস্কৃতিক ইতিহাস চর্চার পরিসর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ইকোলজিক্যাল ইতিহাস চর্চা। অর্থাৎ ইতিহাস কলার জায়গা থেকে বেরিয়ে বিজ্ঞানমুখী এবং পদ্ধতিগত আশ্রয়ের মধ্য দিয়ে একটি পূর্ণপাঠে পরিণত হয়েছে।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির ২০তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ইতিহাসে যখন অনুসন্ধানের গভীর জায়গাটি আসে, তখন রাজনৈতিক ইতিহাস চর্চার পরিবৃত্তি থেকে বেরিয়ে সমাজ ও সংস্কৃতিকে বোঝার মধ্য দিয়ে সভ্যতার আবির্ভাব, উন্মোচন এবং বিকাশকে বের করে আনা হয়। প্রাচ্যের এই অঞ্চলে মিয়ানমারের লাখো শরণার্থীকে বাংলাদেশ আশ্রয় দেয়। প্রাচ্যের ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে মানবিকতা, সহনশীলতা, পাশে দাঁড়ানোর ইতিহাস আরও বেশি গাঢ় হয়।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যবস্থায় আমরা সেই জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছি যেখানে মানবিক গুণ, সংস্কৃতির শক্তি, মননশীলতা ও সৃজনশীলতার জায়গায় পাশ্চাত্যের চেয়ে আমাদের ইতিহাস শিক্ষার জায়গা আরও বেশি প্রখর। যদি তাই হয়, তাহলে কলা এবং বিজ্ঞানের সমন্বয়ে ইতিহাস চর্চা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে জলবায়ু ভূ-গঠনে আগামী বিশ্বে এই প্রাচ্য গভীর এক শক্তি এবং শিক্ষণীয় বিষয় পাবে। স্বাধীনতার শতবর্ষে সকল সত্য উদঘাটনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চার সেই স্বর্ণ শিখরে দাঁড়াবে। যার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম সেই ইতিহাস চর্চায় গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বরেণ্য ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. আবদুল মমিন চৌধুরী বলেন, ইতিহাস বদলে গেছে। এটা এখন আর রাজা-বাদশাদের কাহিনী নয়। মানুষ ও তার পরিবেশ নিয়ে ইতিহাস চর্চা এখন মুখ্য। পরিবেশ সৃষ্টি জিওগ্রাফিক্যাল ফ্যাক্টর। কিন্তু পরিবেশবিদরা এসব নিয়ে খুব বেশি মনোযোগী নন।সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শরিফ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, পাঠ্য বইয়ে ইতিহাস বিকৃতির ঘটনা আমরা দেখছি। এটি কাম্য নয়। মাধ্যমিক স্তর থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষায় সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে লিখিত ইতিহাস পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত বাধ্যতামূলক করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে মুখ্য বক্তা ছিলেন ভারতের নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর রঞ্জন চক্রবর্তী, স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশা ইসলাম নাঈম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান।

এমএম/কেএ