ইত্তেফাকে সংবাদ প্রকাশ: সেই শামীমাকে তাৎক্ষণিক বদলি

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা

ছবি: ইত্তেফাক

‘এক শামীমার কাছে জিম্মি ১২’শ শিক্ষক!’ শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাকে খবর প্রকাশের পর অবশেষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর রিসোর্স সেন্টারে (ইউআরসিতে) সেই ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তারকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। তিনি একই কর্মস্থলে প্রায় ২০ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে। সোমবার (০৭ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় টাঙ্গাইল জেলা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনিস্টিটিউটের (পিটিআই)  সুপার অমল চন্দ্র সরকার মহোদয় শামীমাকে বদলি করে নাগরপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে ন্যস্ত করেছেন।

গত ২০ বছর ধরে মির্জাপুরে রিসোর্স সেন্টারে ডাটা এন্টি অপারেটর পদে একই কর্মস্থলে চাকরি করায় প্রায় ১২শ শিক্ষক তার হাতে জিম্মি এবং তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এনিয়ে গত ৫ নভেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইনে এবং গত ৬ নভেম্বর ‘মির্জাপুরে এক ডাটা এন্টি অপারেটর একই কর্মস্থলে ২০ বছর, দুর্নীতির অভিযোগ শিক্ষকদের’ শিরোনামে প্রিন্ট সংস্করনে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। দুটি সংবাদ প্রকাশের পর নরেচরে বসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। প্রশাসনের কর্মকর্তারা রিসোর্স সেন্টার পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ডাকা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তারকে স্ট্যান্ড রিলিজ (তাৎক্ষণিক বদলি)করেন।

জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টার (ইউআরসি) ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তার ২০০২ সালে মির্জাপুর অফিসে যোগদান করেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলায় হলেও ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিনে শিক্ষকদের দক্ষতা অর্জনে পরিচালিত মির্জাপুরে রিসোর্স সেন্টারে (ইউআরসিতে) একই পদে প্রায় দুই যুগ কর্মরত ছিলেন। তদারকি না থাকায় এ রিসোর্স সেন্টারে অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আর সব কিছু ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তার ও প্রশিক্ষক ড. মো. আব্দুর রহিম নিয়ন্ত্রণ করতেন।

শিক্ষকদের অভিযোগ, মন্ত্রণালয় থেকে পদন্মতি বা বদলির ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ক্ষমতার দাফট আর অর্থের লোভে ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তার কখনো বদলি হননি। অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ বেশ কিছু কর্মকর্তা এবং শিক্ষক নেতার সঙ্গে সিন্ডিকেট করে বছরের পর বছর তিনি একই কর্মস্থলে ছিলেন। মির্জাপুর উপজেলার প্রায় ১২শ শিক্ষকদের জিম্মি করে প্রশিক্ষনের নামে তিনি বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। তার চাহিদা মত টাকা না দিলে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ থেকে বাদ দেওয়া হতো।

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) মির্জাপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর (প্রশিক্ষক) ড. মো. আব্দুর রহিম বলেন,  সোমবার শামীমাকে বদলি করে নাগরপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে ন্যস্ত করেছেন কৃর্তপক্ষ। মির্জাপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে নতুন ডাটা এন্টি অপারেটর হিসেবে যোগদান করেছেন নাগরপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্টি অপারেটর মীর রাজ্জাকুজ্জামান।

ইত্তেফাক/আরএজে

ইত্তেফাকে সংবাদ প্রকাশ: সেই শামীমাকে তাৎক্ষণিক বদলি

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা

ছবি: ইত্তেফাক

‘এক শামীমার কাছে জিম্মি ১২’শ শিক্ষক!’ শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাকে খবর প্রকাশের পর অবশেষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর রিসোর্স সেন্টারে (ইউআরসিতে) সেই ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তারকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। তিনি একই কর্মস্থলে প্রায় ২০ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে। সোমবার (০৭ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় টাঙ্গাইল জেলা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনিস্টিটিউটের (পিটিআই)  সুপার অমল চন্দ্র সরকার মহোদয় শামীমাকে বদলি করে নাগরপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে ন্যস্ত করেছেন।

গত ২০ বছর ধরে মির্জাপুরে রিসোর্স সেন্টারে ডাটা এন্টি অপারেটর পদে একই কর্মস্থলে চাকরি করায় প্রায় ১২শ শিক্ষক তার হাতে জিম্মি এবং তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এনিয়ে গত ৫ নভেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইনে এবং গত ৬ নভেম্বর ‘মির্জাপুরে এক ডাটা এন্টি অপারেটর একই কর্মস্থলে ২০ বছর, দুর্নীতির অভিযোগ শিক্ষকদের’ শিরোনামে প্রিন্ট সংস্করনে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। দুটি সংবাদ প্রকাশের পর নরেচরে বসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। প্রশাসনের কর্মকর্তারা রিসোর্স সেন্টার পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ডাকা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তারকে স্ট্যান্ড রিলিজ (তাৎক্ষণিক বদলি)করেন।

জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টার (ইউআরসি) ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তার ২০০২ সালে মির্জাপুর অফিসে যোগদান করেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলায় হলেও ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিনে শিক্ষকদের দক্ষতা অর্জনে পরিচালিত মির্জাপুরে রিসোর্স সেন্টারে (ইউআরসিতে) একই পদে প্রায় দুই যুগ কর্মরত ছিলেন। তদারকি না থাকায় এ রিসোর্স সেন্টারে অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আর সব কিছু ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তার ও প্রশিক্ষক ড. মো. আব্দুর রহিম নিয়ন্ত্রণ করতেন।

শিক্ষকদের অভিযোগ, মন্ত্রণালয় থেকে পদন্মতি বা বদলির ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ক্ষমতার দাফট আর অর্থের লোভে ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তার কখনো বদলি হননি। অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ বেশ কিছু কর্মকর্তা এবং শিক্ষক নেতার সঙ্গে সিন্ডিকেট করে বছরের পর বছর তিনি একই কর্মস্থলে ছিলেন। মির্জাপুর উপজেলার প্রায় ১২শ শিক্ষকদের জিম্মি করে প্রশিক্ষনের নামে তিনি বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। তার চাহিদা মত টাকা না দিলে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ থেকে বাদ দেওয়া হতো।

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) মির্জাপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর (প্রশিক্ষক) ড. মো. আব্দুর রহিম বলেন,  সোমবার শামীমাকে বদলি করে নাগরপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে ন্যস্ত করেছেন কৃর্তপক্ষ। মির্জাপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে নতুন ডাটা এন্টি অপারেটর হিসেবে যোগদান করেছেন নাগরপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্টি অপারেটর মীর রাজ্জাকুজ্জামান।

ইত্তেফাক/আরএজে