ইবিতে গ্রীন ভয়েস’র বরণ-বিদায় ও ‘ফল উৎসব’ অনুষ্ঠিত

ফরহাদ খাদেম

ইবিতে গ্রীন ভয়েস’র বরণ-বিদায় ও ‘ফল উৎসব’ অনুষ্ঠিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবেশবাদী সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েস’র নবীন বরণ, প্রবীণ বিদায় ও ‘ফল উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ৫২৭ নম্বর কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সভাপতি মোখলেছুর রহমান সুইটের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরমীন খাতুন। অতিথি হিসেবে ছিলেন গ্রীন ভয়েসের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আলমগীর কবির, লেখক ও গবেষক গওহার নঈম ওয়ারা, ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু হুরাইরা, গ্রীন ভয়েস খুলনা বিভাগের সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম ও ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি ইমানুল সোহান।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য আব্দুল্লাহ আল কাফি ও হাসিবুর রহমান। এসময় সংগঠনটির নবীন-প্রবীণ মিলে প্রায় শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

লেখক ও গবেষক গওহার নঈম ওয়ারা বলেন, পরিবেশ রক্ষা করতে হলে আমাদের নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদেরকে অপচয় কমিয়ে আনতে হবে। আমরা প্রতিনিয়ত পানি ও খাবার অপচয় করেই যাচ্ছি। যার ফলে দেশের অন্য প্রান্তের লোকদের ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের পর্যাপ্ত রিযিক দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। শুধুমাত্র অপচয়ের কারনেই আমাদের খাদ্য সংকটে পরতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সাকার মাছ আমাদের দেশীয় মাছের জন্য হুমকির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। যেগুলো বিলাসপ্রিয় লোকদের সখের একুরিয়াম থেকে বের হয়ে খাল বিলে ছড়িয়ে গেছে। আফ্রিকান মাগুরের কারনেও আমাদের দেশীয় মাছের জন্য হুমকির মুখে আছে। যিনি এ মাছ এ দেশে এনেছেন তিনি স্বর্ণপদক পেয়েছেন। কিন্তু এই ভোগান্তি সাধারণ লোকদের পোহাতে হচ্ছে৷ আমাদের দেশে কিছু অন্য দেশের বনের গাছ রোপন করা হচ্ছে, যেগুলোতে পাখি পর্যন্ত বাসা বাঁধে না। যার ফলে আমাদের পরিবেশ দিন দিন হুমকির মধ্যে পড়ছে। তাই আমাদেরকে পরিবেশ নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।

এসময় তিনি প্রত্যেককে প্রত্যেকের এলাকার পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে চিঠি লিখতে বলেন। বিনা প্রয়োজনে গাছের ফুল ও ফল ছিড়তে নিষেধ করেন ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহযোগী অধ্যাপক ড. আরমীন খাতুন বলেন, আপনাদের চোখটা সবসময় খোলা রাখবেন। পলিথিন থেকে শুরু করে নিজের ব্যবহৃত টিস্যুটিও আমি কোথায় ফেলছি সেটা খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের শব্দ দুষণকে কমিয়ে আনতে হবে। আমরা যারা মোটরসাইকেল বা অন্য কোন যানবাহন চালাই, তারা প্রতিনিয়তই শব্দ দুষণ করেই যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমাদের একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যেতে হবে। ‘গ্রীন মানেই যে সবুজ বিষয়টা এমন নয়। গ্রীন মানে হলো সতেজতা, স্বচ্ছতা ও কোমলতা। এই সংগঠনের একজন সদস্য হিসেবে আপনাদেরকে কথা এবং কর্মেও সবুজ থাকতে হবে।’

এসময় তিনি নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দু’টি পথ থাকে। একটি ভালো আর অন্যটি মন্দ পথ। আপনাদেরকেই বেছে নিতে হবে আপনারা কোন পথে যাবেন। পথ বুঝে পথ চললেই চলার পথটা মসৃণ হবে। এক্ষেত্রে আমরা শিক্ষকরা শুধু দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করি। আপনারা যে কোনো সমস্যার জন্য আসলে আমরা সমাধান আমরা চেষ্টা করবো। প্রবীণদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দেশকে ভালো বাসবেন, দেশের জন্য কাজ করে যাবেন।

অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধ শতাধিক নবীন সদস্যকে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষের চারাগাছ দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। প্রবীণ সদস্যদের বিদায়ী সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। পরে ফল উৎসব ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

ইবিহো/এসএস

ইবিতে গ্রীন ভয়েস’র বরণ-বিদায় ও ‘ফল উৎসব’ অনুষ্ঠিত

ফরহাদ খাদেম

ইবিতে গ্রীন ভয়েস’র বরণ-বিদায় ও ‘ফল উৎসব’ অনুষ্ঠিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবেশবাদী সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েস’র নবীন বরণ, প্রবীণ বিদায় ও ‘ফল উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ৫২৭ নম্বর কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সভাপতি মোখলেছুর রহমান সুইটের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরমীন খাতুন। অতিথি হিসেবে ছিলেন গ্রীন ভয়েসের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আলমগীর কবির, লেখক ও গবেষক গওহার নঈম ওয়ারা, ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু হুরাইরা, গ্রীন ভয়েস খুলনা বিভাগের সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম ও ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি ইমানুল সোহান।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য আব্দুল্লাহ আল কাফি ও হাসিবুর রহমান। এসময় সংগঠনটির নবীন-প্রবীণ মিলে প্রায় শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

লেখক ও গবেষক গওহার নঈম ওয়ারা বলেন, পরিবেশ রক্ষা করতে হলে আমাদের নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদেরকে অপচয় কমিয়ে আনতে হবে। আমরা প্রতিনিয়ত পানি ও খাবার অপচয় করেই যাচ্ছি। যার ফলে দেশের অন্য প্রান্তের লোকদের ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের পর্যাপ্ত রিযিক দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। শুধুমাত্র অপচয়ের কারনেই আমাদের খাদ্য সংকটে পরতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সাকার মাছ আমাদের দেশীয় মাছের জন্য হুমকির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। যেগুলো বিলাসপ্রিয় লোকদের সখের একুরিয়াম থেকে বের হয়ে খাল বিলে ছড়িয়ে গেছে। আফ্রিকান মাগুরের কারনেও আমাদের দেশীয় মাছের জন্য হুমকির মুখে আছে। যিনি এ মাছ এ দেশে এনেছেন তিনি স্বর্ণপদক পেয়েছেন। কিন্তু এই ভোগান্তি সাধারণ লোকদের পোহাতে হচ্ছে৷ আমাদের দেশে কিছু অন্য দেশের বনের গাছ রোপন করা হচ্ছে, যেগুলোতে পাখি পর্যন্ত বাসা বাঁধে না। যার ফলে আমাদের পরিবেশ দিন দিন হুমকির মধ্যে পড়ছে। তাই আমাদেরকে পরিবেশ নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।

এসময় তিনি প্রত্যেককে প্রত্যেকের এলাকার পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে চিঠি লিখতে বলেন। বিনা প্রয়োজনে গাছের ফুল ও ফল ছিড়তে নিষেধ করেন ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহযোগী অধ্যাপক ড. আরমীন খাতুন বলেন, আপনাদের চোখটা সবসময় খোলা রাখবেন। পলিথিন থেকে শুরু করে নিজের ব্যবহৃত টিস্যুটিও আমি কোথায় ফেলছি সেটা খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের শব্দ দুষণকে কমিয়ে আনতে হবে। আমরা যারা মোটরসাইকেল বা অন্য কোন যানবাহন চালাই, তারা প্রতিনিয়তই শব্দ দুষণ করেই যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমাদের একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যেতে হবে। ‘গ্রীন মানেই যে সবুজ বিষয়টা এমন নয়। গ্রীন মানে হলো সতেজতা, স্বচ্ছতা ও কোমলতা। এই সংগঠনের একজন সদস্য হিসেবে আপনাদেরকে কথা এবং কর্মেও সবুজ থাকতে হবে।’

এসময় তিনি নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দু’টি পথ থাকে। একটি ভালো আর অন্যটি মন্দ পথ। আপনাদেরকেই বেছে নিতে হবে আপনারা কোন পথে যাবেন। পথ বুঝে পথ চললেই চলার পথটা মসৃণ হবে। এক্ষেত্রে আমরা শিক্ষকরা শুধু দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করি। আপনারা যে কোনো সমস্যার জন্য আসলে আমরা সমাধান আমরা চেষ্টা করবো। প্রবীণদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দেশকে ভালো বাসবেন, দেশের জন্য কাজ করে যাবেন।

অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধ শতাধিক নবীন সদস্যকে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষের চারাগাছ দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। প্রবীণ সদস্যদের বিদায়ী সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। পরে ফল উৎসব ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

ইবিহো/এসএস