ইবিতে প্রতিশোধ নিতে সহপাঠীকে মারধর, লিখিত অভিযোগ

ফরহাদ খাদেম
ইবিতে প্রতিশোধ নিতে সহপাঠীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পূর্ব শত্রুতার জেরে ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শরীফুজ্জামান শোভন নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৯ জুলাই) দুপুর ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ পত্র সূত্রে জানা যায়, শোভন ক্লাস করার পর আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরের দিকে যান। সে সময় ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাসুদের নেতৃত্বে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সজিব, বাংলা বিভাগের তৌহিদসহ ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তার উপর অতর্কিত হামলা করে তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি দিয়ে রাস্তার উপর ফেলে মাথায় আঘাত করতে থাকে। এতে তিনি মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

এ সময় তার নাক, মুখ ও হাতের আঙ্গুল জখমসহ রক্তক্ষরণ হয়। এসময় অভিযুক্তরা তার হাতঘড়ি, চশমা ও মানিব্যাগ কেড়ে নেয় এবং তার উপর অমানুসিক নির্যাতন করে। তারা অভিযোগকারীকে হত্যার হুমকিও দেন।

এর আগে, গত ২৫ মে ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শরীফুজ্জামান শোভনের সাথে একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ওলিউর রহমান ওলির সাথে মতের অমিলের কারণে মনোমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে ধাক্কাধাক্কি হয়। এতে ওলি ক্ষুব্ধ হয়ে ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাসুদ রানা, বাংলা বিভাগের তাওহীদ তালুকদার, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সজিব আহমেদসহ বেশ কয়েকজন বন্ধুকে ডাকে শোভনকে মারার জন্য। পরে শোভন ও তার বন্ধুরা তাদেরকে প্রতিহত করে। এতে তারা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়ে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ মারধরের ঘটনা ঘটেছে। 

সেই ঘটনার জের ধরেই আজ রোববার (৯ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝালচত্বরে মাসুদের নেতৃত্বে তাওহীদ, সজিব, ওলিসহ ১০-১২ জন শোভনের উপর হামলা করে। এতে তিনি মাথায়, হাতে ও পিঠে মারাত্মক আঘাত পান।

এই ঘটনায় শরীফুজ্জামান শোভন নিরাপত্তা চেয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তাওহীদ তালুকদার ও মাসুদের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

আরেক অভিযুক্ত সজিব আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। মারামারির সময় আমি হলে ছিলাম। আমার গেস্টের জন্য নাস্তা আনতে একবার ঝাল চত্বরে গিয়েছিলাম, তখন মারামারি হয়েছে কিনা জানি না। আমার পরশুদিন সেমিস্টার ফাইনাল, আমি এখন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদুল হাসান জানান, কিল-ঘুষির কারণে মাথায় প্রচুর আঘাত পেয়েছে এবং মাথা ফুলে গেছে। মাথায় বড় কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা, এর জন্য সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, পূর্বের মারামারির ঘটনার জেরে মারামারি হয়েছে বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছে। আমরা অভিযোগ পত্র হাতে পেয়েছি। আগামীকাল ছাত্র উপদেষ্টার সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেব।

ইবিহো/এসএস

ইবিতে প্রতিশোধ নিতে সহপাঠীকে মারধর, লিখিত অভিযোগ

ফরহাদ খাদেম
ইবিতে প্রতিশোধ নিতে সহপাঠীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পূর্ব শত্রুতার জেরে ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শরীফুজ্জামান শোভন নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৯ জুলাই) দুপুর ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ পত্র সূত্রে জানা যায়, শোভন ক্লাস করার পর আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরের দিকে যান। সে সময় ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাসুদের নেতৃত্বে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সজিব, বাংলা বিভাগের তৌহিদসহ ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তার উপর অতর্কিত হামলা করে তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি দিয়ে রাস্তার উপর ফেলে মাথায় আঘাত করতে থাকে। এতে তিনি মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

এ সময় তার নাক, মুখ ও হাতের আঙ্গুল জখমসহ রক্তক্ষরণ হয়। এসময় অভিযুক্তরা তার হাতঘড়ি, চশমা ও মানিব্যাগ কেড়ে নেয় এবং তার উপর অমানুসিক নির্যাতন করে। তারা অভিযোগকারীকে হত্যার হুমকিও দেন।

এর আগে, গত ২৫ মে ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শরীফুজ্জামান শোভনের সাথে একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ওলিউর রহমান ওলির সাথে মতের অমিলের কারণে মনোমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে ধাক্কাধাক্কি হয়। এতে ওলি ক্ষুব্ধ হয়ে ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাসুদ রানা, বাংলা বিভাগের তাওহীদ তালুকদার, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সজিব আহমেদসহ বেশ কয়েকজন বন্ধুকে ডাকে শোভনকে মারার জন্য। পরে শোভন ও তার বন্ধুরা তাদেরকে প্রতিহত করে। এতে তারা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়ে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ মারধরের ঘটনা ঘটেছে। 

সেই ঘটনার জের ধরেই আজ রোববার (৯ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝালচত্বরে মাসুদের নেতৃত্বে তাওহীদ, সজিব, ওলিসহ ১০-১২ জন শোভনের উপর হামলা করে। এতে তিনি মাথায়, হাতে ও পিঠে মারাত্মক আঘাত পান।

এই ঘটনায় শরীফুজ্জামান শোভন নিরাপত্তা চেয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তাওহীদ তালুকদার ও মাসুদের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

আরেক অভিযুক্ত সজিব আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। মারামারির সময় আমি হলে ছিলাম। আমার গেস্টের জন্য নাস্তা আনতে একবার ঝাল চত্বরে গিয়েছিলাম, তখন মারামারি হয়েছে কিনা জানি না। আমার পরশুদিন সেমিস্টার ফাইনাল, আমি এখন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদুল হাসান জানান, কিল-ঘুষির কারণে মাথায় প্রচুর আঘাত পেয়েছে এবং মাথা ফুলে গেছে। মাথায় বড় কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা, এর জন্য সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, পূর্বের মারামারির ঘটনার জেরে মারামারি হয়েছে বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছে। আমরা অভিযোগ পত্র হাতে পেয়েছি। আগামীকাল ছাত্র উপদেষ্টার সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেব।

ইবিহো/এসএস