ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের খাবারে পোকা, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিদিনের মতো দুপুরে হলের ডাইনিংয়ে খেতে যান আবাসিক শিক্ষার্থী মুনতাকিম রহমান। খাওয়া শুরু করতেই পড়েন বিপত্তিতে। তরকারির ভেতর লাল রঙের পোকা দেখে বমি করতে করতে বের হয়ে যান তিনি।

সোমবার (৭ নভেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, আবাসিক হলগুলোর খাবারের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ থাকলেও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার আলোচনায় বসলেও শুধু আশ্বাসের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ থাকে। হলে খেতে গিয়ে প্রায়ই ভাত-তরকারিতে পোকা পাওয়া, আধকাঁচা সবজি, খাবারে মাছি, মাছে আঁশটে গন্ধ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মুনতাকিম রহমান বলেন, হলের খাবারের দাম বাড়ানো হলেও মান প্রতিনিয়তই নিকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হলের খাবারে পুষ্টিতো নেই, উল্টো এগুলো খেয়ে শারীরিক দুর্বলতাসহ নানা অসুস্থতা দেখা দেয়। তারপরেও আর্থিক সমস্যার কারণে আমাদের এসব খাবার খেয়েই দিন পার করতে হয়।

খাবারে পোকা পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে লালন শাহ হলের ডাইনিং ম্যানেজার শাবু চৌধুরী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে খাবার দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে অনেক সময় অসাবধানতাবশত এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক পিয়াস বলেন, ভর্তুকি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি খাবারের দামও বাড়ছে কিন্তু মান কোনোভাবেই বাড়ছে না। এটি প্রশাসনের অবহেলা বা পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের অভাবেই হচ্ছে বলে আমরা মনে করি।

এ বিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, আমরা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার পরিবেশনের জন্য ডাইনিং ম্যানেজারদের বারবার নোটিশ করেছি। এ বিষয়ে তাদের আগেও অনেকবার সতর্ক করা হয়েছে।

রুমি নোমান/এমআরআর/এএসএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের খাবারে পোকা, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিদিনের মতো দুপুরে হলের ডাইনিংয়ে খেতে যান আবাসিক শিক্ষার্থী মুনতাকিম রহমান। খাওয়া শুরু করতেই পড়েন বিপত্তিতে। তরকারির ভেতর লাল রঙের পোকা দেখে বমি করতে করতে বের হয়ে যান তিনি।

সোমবার (৭ নভেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, আবাসিক হলগুলোর খাবারের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ থাকলেও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার আলোচনায় বসলেও শুধু আশ্বাসের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ থাকে। হলে খেতে গিয়ে প্রায়ই ভাত-তরকারিতে পোকা পাওয়া, আধকাঁচা সবজি, খাবারে মাছি, মাছে আঁশটে গন্ধ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মুনতাকিম রহমান বলেন, হলের খাবারের দাম বাড়ানো হলেও মান প্রতিনিয়তই নিকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হলের খাবারে পুষ্টিতো নেই, উল্টো এগুলো খেয়ে শারীরিক দুর্বলতাসহ নানা অসুস্থতা দেখা দেয়। তারপরেও আর্থিক সমস্যার কারণে আমাদের এসব খাবার খেয়েই দিন পার করতে হয়।

খাবারে পোকা পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে লালন শাহ হলের ডাইনিং ম্যানেজার শাবু চৌধুরী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে খাবার দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে অনেক সময় অসাবধানতাবশত এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক পিয়াস বলেন, ভর্তুকি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি খাবারের দামও বাড়ছে কিন্তু মান কোনোভাবেই বাড়ছে না। এটি প্রশাসনের অবহেলা বা পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের অভাবেই হচ্ছে বলে আমরা মনে করি।

এ বিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, আমরা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার পরিবেশনের জন্য ডাইনিং ম্যানেজারদের বারবার নোটিশ করেছি। এ বিষয়ে তাদের আগেও অনেকবার সতর্ক করা হয়েছে।

রুমি নোমান/এমআরআর/এএসএম