উচ্চশিক্ষিত কয়েকজনের ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে আবারও পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নিই

এখলাস উদ্দিনের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। সম্প্রতি ছেলের সঙ্গে এসএসসি পাস করেছেন। ভালোও করেছেন। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কামরান পারভেজ

পড়াশোনা বন্ধ করেছিলেন কেন?

১৯৯৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম। কিন্তু হাতের আঙুলে ঘা হওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারিনি। এরপর দুই বছর চিকিৎসা করিয়েও হাত ভালো হয়নি। অনেক বছর লেগেছে ভালো হতে। তত দিনে পড়াশোনায় ছেদ পড়ে গেছে।

এই বয়সে এসে আবার পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নিলেন যে…

আমি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিলাম। এলাকার একটি স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটিতেও সদস্য ছিলাম। যে কারণে স্কুলের একটি নিয়োগ বোর্ডে আমাকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আমাকে নিয়োগ বোর্ডে রাখায় উচ্চশিক্ষিত কয়েকজনের আত্মসম্মানে লাগে। তাঁরা এ নিয়ে নিজেদের মন খারাপের বিষয়টি প্রকাশ করেন। ওই ঘটনায় আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। তখনই সিদ্ধান্ত নিই, আবারও পড়াশোনা শুরু করব।

সন্তানসম সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাস করতে কেমন লেগেছে?

আমার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায়। পরিচিত মানুষদের চোখ এড়াতে আমি পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মগরাই কারিগরি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হই। তবু শুরুতে একটু সংকোচ লাগত।

পড়াশোনা করতেন কখন?

দিনে ব্যস্ত সময় কাটত। যে কারণে সকালে ঘুম থেকেই উঠেই পড়াশোনা করেছি। সুযোগ পেলে ছেলের সঙ্গে রাতেও পড়তাম।

পরীক্ষার হলে বসে কী মনে হয়েছে?

পরীক্ষা দেওয়ার সময়টা কঠিন ছিল। প্রথম দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় গেটে আমাকে আটকানো হয়। পরে প্রবেশপত্র দেখিয়ে ভেতরে যাই। পরীক্ষা চলার সময়ও আমাকে দেখে সন্দেহ করেন সরকারি কর্মকর্তারা। তাঁরা আমার শরীর তল্লাশি করেন। পরে অবশ্য তাঁদের ভুল ভাঙে।

নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন…

আমি ব্যবসায়ী মানুষ। রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত। রাজনীতি আর ব্যবসা—দুটিই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

এসএসসি তো পাস করলেন, এখন?

এবার উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হব।

উচ্চশিক্ষিত কয়েকজনের ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে আবারও পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নিই

এখলাস উদ্দিনের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। সম্প্রতি ছেলের সঙ্গে এসএসসি পাস করেছেন। ভালোও করেছেন। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কামরান পারভেজ

পড়াশোনা বন্ধ করেছিলেন কেন?

১৯৯৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম। কিন্তু হাতের আঙুলে ঘা হওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারিনি। এরপর দুই বছর চিকিৎসা করিয়েও হাত ভালো হয়নি। অনেক বছর লেগেছে ভালো হতে। তত দিনে পড়াশোনায় ছেদ পড়ে গেছে।

এই বয়সে এসে আবার পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নিলেন যে…

আমি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিলাম। এলাকার একটি স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটিতেও সদস্য ছিলাম। যে কারণে স্কুলের একটি নিয়োগ বোর্ডে আমাকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আমাকে নিয়োগ বোর্ডে রাখায় উচ্চশিক্ষিত কয়েকজনের আত্মসম্মানে লাগে। তাঁরা এ নিয়ে নিজেদের মন খারাপের বিষয়টি প্রকাশ করেন। ওই ঘটনায় আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। তখনই সিদ্ধান্ত নিই, আবারও পড়াশোনা শুরু করব।

সন্তানসম সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাস করতে কেমন লেগেছে?

আমার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায়। পরিচিত মানুষদের চোখ এড়াতে আমি পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মগরাই কারিগরি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হই। তবু শুরুতে একটু সংকোচ লাগত।

পড়াশোনা করতেন কখন?

দিনে ব্যস্ত সময় কাটত। যে কারণে সকালে ঘুম থেকেই উঠেই পড়াশোনা করেছি। সুযোগ পেলে ছেলের সঙ্গে রাতেও পড়তাম।

পরীক্ষার হলে বসে কী মনে হয়েছে?

পরীক্ষা দেওয়ার সময়টা কঠিন ছিল। প্রথম দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় গেটে আমাকে আটকানো হয়। পরে প্রবেশপত্র দেখিয়ে ভেতরে যাই। পরীক্ষা চলার সময়ও আমাকে দেখে সন্দেহ করেন সরকারি কর্মকর্তারা। তাঁরা আমার শরীর তল্লাশি করেন। পরে অবশ্য তাঁদের ভুল ভাঙে।

নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন…

আমি ব্যবসায়ী মানুষ। রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত। রাজনীতি আর ব্যবসা—দুটিই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

এসএসসি তো পাস করলেন, এখন?

এবার উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হব।