মা-মেয়ের এক সাথে সমাবর্তন

সামছুল আলম শিবলী

মা ও মেয়ে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি। এ সমাবর্তনের প্রধান আকর্ষণ ছিল মা ও মেয়ের একসাথে সনদ গ্রহণ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সনদগ্রহণের জন্য এসেছিলেন টাঙ্গাইল সা’দত সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাহমিনা খান ও তাঁর কনিষ্ঠ কন্যা তাসমিয়াহ খান।

একজন কৃতি ইতিহাসবিদই নন, একজন কৃতি মা হিসেবেও অধ্যাপক ড. তাহমিনা খানের জীবনের আরেকটি স্বার্থক দিন ছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। তিনি গর্বিত তাঁর এ সন্তানের জন্যও।

এই তীব্র প্রতিযোগিতার যুগেও দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর এই কনিষ্ঠ কন্যা পড়ার সুযোগ পাওয়ার পর নিজেকে যোগ্য করার পেছনেও রয়েছে মায়ের নীরবে নিরলস চেষ্টা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন ঘটনা আরও ঘটেছে কিনা জানিনা। মা-মেয়ে একসাথে একই সমাবর্তনে নিজেদের কৃতিত্বের সাক্ষর রেখে অংশগ্রহণ করেছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তনে এমনই ঘটেছে। ড. তাহমিনা খান অংশগগ্রহণ করেছেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ইতিহাস বিভাগ থেকে ২০১৯ সালে পিএইচডি অ্যাওয়ার্ড অর্জনের জন্য এবং তার কনিষ্ঠ কন্যা তাসমিয়াহ খান অংশগ্রহণ করেছেন বাণিজ্য অনুষদের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে ২০১৪ সালের বিবিএ ডিগ্রির সনদ গ্রহণের জন্য।

মা ১৩তম বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। বর্তমানে কর্মরত আছেন সরকারি সা’দত কলেজের ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপক পদে। দায়িত্ব পালন করছেন বিভাগীয় প্রধান হিসেবেও। কন্যা একজন ব্যাংকার। বর্তমানে এইচএসবিসি ব্যাংকে অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কর্মরত রয়েছেন।

মজার ব্যাপার হলো মা-মেয়ে উভয়ের প্রাথমিক শিক্ষা জীবন টাঙ্গাইল জেলা শহরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে মাধ্যমিকে দেশব্যাপী সুপরিচিত বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও টাঙ্গাইলে অবস্থিত স্বনামধন্য মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে অধ্যয়ন করেন।

ড. তাহমিনা তার সংগ্রামী জীবনে সফলতার পাশাপাশি একজন আদর্শ নারী। তাঁর দুই কন্যা সন্তান। তাঁরা দু’জনই নিজেদেরকে মায়ের মতোই সফল করে তুলেছেন। নিজে নিজের মহিমায় উদ্ভাসিত। জ্যেষ্ঠ কন্যা তাসমিনা খান সমাজকর্ম বিষয়ে মাস্টার্স শেষে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের অবস্থান গড়ে তুলেছেন।

জীবনের শুরুতে ড. তাহমিনা যেমন একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলেন, তেমনই নিবেদিত ছিলেন লোকগীতি চর্চায়ও। সেইসাথে শখ ছিল তাঁর লেখক হওয়ারও।

কিন্তু সঠিক সময়ের আগেই সংসার জীবনে প্রবেশের কারণে তিনি সাংস্কৃতিক জীবন থেকে দূরে সরে কেবল অ্যাকাডেমিক দিকেই নিজেকে নিয়োজিত রাখার সংগ্রাম করেছেন।

১৯৮৩-৮৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সত্ত্বেও পারিবারিক সহযোগিতা না পেয়ে ২য় বর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সা’দত কলেজ টাঙ্গাইলে মাইগ্রেশন নিয়ে শিক্ষাজীবন শেষে ১৩তম বিসিএস এ উত্তীর্ণ হন।

কিন্তু ১৪তম বিসিএস এ নিয়োগ আগেই পাওয়ায় প্রভাষক পদে যোগদান করেন টাঙ্গাইলের সরকারি সা’দত কলেজে ১৯৯৩ সালে, তখন তিনি দুই কন্যা সন্তানের জননী। সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রাপ্তির পর, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল পর্যায়ে গবেষণা শুরু করে অ্যাওয়ার্ড পান ২০১১ সালে।

২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর একটি স্বপ্ন পূরণ হয়। গবেষণার পাশাপাশি সুনামের সাথে তিনি সহযোগী অধ্যাপক পদেও কর্মকাল অতিবাহিত করেন নেত্রকোনা সরকারি কলেজ ও টাঙ্গাইলের মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে।

মা ও মেয়ে।

ইতোমধ্যে তার কন্যা তাসমিয়াহ খান ভর্তি হন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ মার্কেটিং ১ম ব্যাচে। যথাসময়ে ফলাফল না পাওয়ার কারণে সে ২০১৫ সালের পরিবর্তে ২০২৩ সালের সমাবর্তনে অংশ নিয়েছে। স্বভাবতই মায়ের পিএইচডি অ্যাওয়ার্ড অর্জন তার জন্য একটি অনন্য প্রাপ্তি ছিলো।

মা তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমি জানিনা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা আরও আছে কিনা। আমি আমার সন্তান একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে একসাথে অ্যাওয়ার্ড নিব, কখনো কল্পনাও করিনি। এর মাধ্যমে আমি মনে করি, আমার সংগ্রামী জীবনের সমস্ত সাধনার পূর্ণতা পেয়েছি। এর পেছনে আমার সন্তানের বাবার অবদানও কম নয়। নীরবে তাঁর অবদানও অসীম।

মেয়ে তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা; আমার মমতাময়ী মা ও আমি একই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। একজন সন্তান হয়ে এমন একজন মা পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। আমরা এমন রত্নগর্ভা মাকে নিয়ে গর্ববোধ করছি।

অ্যাকাডেমিক ক্যারিয়ার ছাড়াও ড. তাহমিনার রয়েছে বিরল প্রতিভার স্ফূরণ। তিনি একজন সুপরিচিত রোটারিয়ান। তিনবার ক্লাব প্রেসিডেন্টর দায়িত্ব পালন করেছেন। রোটারি ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮২ তে ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট গভর্নর এবং ৩২৮১ এ ছিলেন ডেপুটি গভর্নর। তিনি একজন সফল শ্যুটারও । সে হিসেবেই তিনি টাঙ্গাইল রাইফেল ক্লাবের আজীবন সদস্য।

বর্তমান তিনি রোটারি ক্লাব অব টাঙ্গাইল সিটির প্রসিডেন্ট। আমিও সুভাগ্যবান এই হিসেবে যে, ওনার সাথে ওই ক্লাবের সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করার সুযোগ হয়েছে।

স্কুলজীবনে জাতীয় জারিগান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন এবং লোকগীতিতে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন ড. তাহমিনা। বর্তমানে পঞ্চাশোর্ধ বয়সেও নতুন করে সঙ্গীত চর্চায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, হারিয়ে যাওয়া লোকগীতি নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করার কাজে।

এখন তিনি একজন সফল লেখকও। ইতিহাস বিষয়ে গবেষণাধর্মী দুটি বই প্রকাশ হয়েছে তার এবং কবিতা গ্রন্থ ৩টি। এ বারের বইমেলায়ও অনেকের হাতে শোভা পাচ্ছে তাঁর লেখা বইগুলো। এই সফল মা-মেয়ে সবার কাছে দোয়াপ্রার্থী।

লেখক: উপ-পরিচালক, জনসংযোগ ও প্রেস প্রকাশনা দপ্তর, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

মা-মেয়ের এক সাথে সমাবর্তন

সামছুল আলম শিবলী

মা ও মেয়ে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি। এ সমাবর্তনের প্রধান আকর্ষণ ছিল মা ও মেয়ের একসাথে সনদ গ্রহণ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সনদগ্রহণের জন্য এসেছিলেন টাঙ্গাইল সা’দত সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাহমিনা খান ও তাঁর কনিষ্ঠ কন্যা তাসমিয়াহ খান।

একজন কৃতি ইতিহাসবিদই নন, একজন কৃতি মা হিসেবেও অধ্যাপক ড. তাহমিনা খানের জীবনের আরেকটি স্বার্থক দিন ছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। তিনি গর্বিত তাঁর এ সন্তানের জন্যও।

এই তীব্র প্রতিযোগিতার যুগেও দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর এই কনিষ্ঠ কন্যা পড়ার সুযোগ পাওয়ার পর নিজেকে যোগ্য করার পেছনেও রয়েছে মায়ের নীরবে নিরলস চেষ্টা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন ঘটনা আরও ঘটেছে কিনা জানিনা। মা-মেয়ে একসাথে একই সমাবর্তনে নিজেদের কৃতিত্বের সাক্ষর রেখে অংশগ্রহণ করেছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তনে এমনই ঘটেছে। ড. তাহমিনা খান অংশগগ্রহণ করেছেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ইতিহাস বিভাগ থেকে ২০১৯ সালে পিএইচডি অ্যাওয়ার্ড অর্জনের জন্য এবং তার কনিষ্ঠ কন্যা তাসমিয়াহ খান অংশগ্রহণ করেছেন বাণিজ্য অনুষদের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে ২০১৪ সালের বিবিএ ডিগ্রির সনদ গ্রহণের জন্য।

মা ১৩তম বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। বর্তমানে কর্মরত আছেন সরকারি সা’দত কলেজের ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপক পদে। দায়িত্ব পালন করছেন বিভাগীয় প্রধান হিসেবেও। কন্যা একজন ব্যাংকার। বর্তমানে এইচএসবিসি ব্যাংকে অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কর্মরত রয়েছেন।

মজার ব্যাপার হলো মা-মেয়ে উভয়ের প্রাথমিক শিক্ষা জীবন টাঙ্গাইল জেলা শহরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে মাধ্যমিকে দেশব্যাপী সুপরিচিত বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও টাঙ্গাইলে অবস্থিত স্বনামধন্য মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে অধ্যয়ন করেন।

ড. তাহমিনা তার সংগ্রামী জীবনে সফলতার পাশাপাশি একজন আদর্শ নারী। তাঁর দুই কন্যা সন্তান। তাঁরা দু’জনই নিজেদেরকে মায়ের মতোই সফল করে তুলেছেন। নিজে নিজের মহিমায় উদ্ভাসিত। জ্যেষ্ঠ কন্যা তাসমিনা খান সমাজকর্ম বিষয়ে মাস্টার্স শেষে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের অবস্থান গড়ে তুলেছেন।

জীবনের শুরুতে ড. তাহমিনা যেমন একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলেন, তেমনই নিবেদিত ছিলেন লোকগীতি চর্চায়ও। সেইসাথে শখ ছিল তাঁর লেখক হওয়ারও।

কিন্তু সঠিক সময়ের আগেই সংসার জীবনে প্রবেশের কারণে তিনি সাংস্কৃতিক জীবন থেকে দূরে সরে কেবল অ্যাকাডেমিক দিকেই নিজেকে নিয়োজিত রাখার সংগ্রাম করেছেন।

১৯৮৩-৮৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সত্ত্বেও পারিবারিক সহযোগিতা না পেয়ে ২য় বর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সা’দত কলেজ টাঙ্গাইলে মাইগ্রেশন নিয়ে শিক্ষাজীবন শেষে ১৩তম বিসিএস এ উত্তীর্ণ হন।

কিন্তু ১৪তম বিসিএস এ নিয়োগ আগেই পাওয়ায় প্রভাষক পদে যোগদান করেন টাঙ্গাইলের সরকারি সা’দত কলেজে ১৯৯৩ সালে, তখন তিনি দুই কন্যা সন্তানের জননী। সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রাপ্তির পর, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল পর্যায়ে গবেষণা শুরু করে অ্যাওয়ার্ড পান ২০১১ সালে।

২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর একটি স্বপ্ন পূরণ হয়। গবেষণার পাশাপাশি সুনামের সাথে তিনি সহযোগী অধ্যাপক পদেও কর্মকাল অতিবাহিত করেন নেত্রকোনা সরকারি কলেজ ও টাঙ্গাইলের মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে।

মা ও মেয়ে।

ইতোমধ্যে তার কন্যা তাসমিয়াহ খান ভর্তি হন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ মার্কেটিং ১ম ব্যাচে। যথাসময়ে ফলাফল না পাওয়ার কারণে সে ২০১৫ সালের পরিবর্তে ২০২৩ সালের সমাবর্তনে অংশ নিয়েছে। স্বভাবতই মায়ের পিএইচডি অ্যাওয়ার্ড অর্জন তার জন্য একটি অনন্য প্রাপ্তি ছিলো।

মা তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমি জানিনা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা আরও আছে কিনা। আমি আমার সন্তান একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে একসাথে অ্যাওয়ার্ড নিব, কখনো কল্পনাও করিনি। এর মাধ্যমে আমি মনে করি, আমার সংগ্রামী জীবনের সমস্ত সাধনার পূর্ণতা পেয়েছি। এর পেছনে আমার সন্তানের বাবার অবদানও কম নয়। নীরবে তাঁর অবদানও অসীম।

মেয়ে তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা; আমার মমতাময়ী মা ও আমি একই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। একজন সন্তান হয়ে এমন একজন মা পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। আমরা এমন রত্নগর্ভা মাকে নিয়ে গর্ববোধ করছি।

অ্যাকাডেমিক ক্যারিয়ার ছাড়াও ড. তাহমিনার রয়েছে বিরল প্রতিভার স্ফূরণ। তিনি একজন সুপরিচিত রোটারিয়ান। তিনবার ক্লাব প্রেসিডেন্টর দায়িত্ব পালন করেছেন। রোটারি ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮২ তে ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট গভর্নর এবং ৩২৮১ এ ছিলেন ডেপুটি গভর্নর। তিনি একজন সফল শ্যুটারও । সে হিসেবেই তিনি টাঙ্গাইল রাইফেল ক্লাবের আজীবন সদস্য।

বর্তমান তিনি রোটারি ক্লাব অব টাঙ্গাইল সিটির প্রসিডেন্ট। আমিও সুভাগ্যবান এই হিসেবে যে, ওনার সাথে ওই ক্লাবের সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করার সুযোগ হয়েছে।

স্কুলজীবনে জাতীয় জারিগান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন এবং লোকগীতিতে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন ড. তাহমিনা। বর্তমানে পঞ্চাশোর্ধ বয়সেও নতুন করে সঙ্গীত চর্চায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, হারিয়ে যাওয়া লোকগীতি নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করার কাজে।

এখন তিনি একজন সফল লেখকও। ইতিহাস বিষয়ে গবেষণাধর্মী দুটি বই প্রকাশ হয়েছে তার এবং কবিতা গ্রন্থ ৩টি। এ বারের বইমেলায়ও অনেকের হাতে শোভা পাচ্ছে তাঁর লেখা বইগুলো। এই সফল মা-মেয়ে সবার কাছে দোয়াপ্রার্থী।

লেখক: উপ-পরিচালক, জনসংযোগ ও প্রেস প্রকাশনা দপ্তর, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।