একসঙ্গে ৪৩ শিক্ষার্থী ফেল, ১০ শিক্ষক সাত ঘণ্টা অবরুদ্ধ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
বীজবাগ নবকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়।ছবি : সংগৃহীত

নোয়াখালীর সেনবাগে এক বিদ্যালয়ের ৪৩ শিক্ষার্থী ফেল করায় ওই প্রতিষ্ঠানের ১০ শিক্ষককে তালা মেরে সাত ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, ঠিকমতো পরীক্ষার কাগজ না পৌঁছানোয় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে বীজবাগ নবকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ গিয়ে শিক্ষকদের উদ্ধার করে।

জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের এসএসসি ভোকেশনাল শাখায় ৪৩ শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশিত না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে ১০ শিক্ষক দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এ সময় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, বীজবাগ নবকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর ভোকেশনাল (ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাসাইনমেন্ট) বিভাগ থেকে ৪৩ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু সোমবার এসএসসি ফল প্রকাশিত হলে ভোকেশনাল বিভাগের ওই ৪৩ শিক্ষার্থীর সবাই ফেল করে। এতে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষককে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কক্ষে রেখে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হানিফ ৪৩ শিক্ষার্থী ফেল করার কথা স্বীকার করে বলেন, নবম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার কাগজপত্র করোনার কারণে সময়মতো না পৌঁছায় ওই বিষয়ের ফল প্রকাশিত হয়নি। ফলে তারা ফেল করেছে। আগামী দুই মাস পর নবম শ্রেণির ফল প্রকাশিত হলে ওই সময় এসএসসি পূর্ণ ফল প্রকাশিত হবে। এতে শিক্ষার্থীদের ফল পাওয়া যাবে বলে জানান।

সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করার বিষয়টি জানার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে কথা বলেছি। বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, আগামী দুই মাস পর ওই ৪৩ শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশিত হবে।

একসঙ্গে ৪৩ শিক্ষার্থী ফেল, ১০ শিক্ষক সাত ঘণ্টা অবরুদ্ধ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
বীজবাগ নবকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়।ছবি : সংগৃহীত

নোয়াখালীর সেনবাগে এক বিদ্যালয়ের ৪৩ শিক্ষার্থী ফেল করায় ওই প্রতিষ্ঠানের ১০ শিক্ষককে তালা মেরে সাত ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, ঠিকমতো পরীক্ষার কাগজ না পৌঁছানোয় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে বীজবাগ নবকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ গিয়ে শিক্ষকদের উদ্ধার করে।

জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের এসএসসি ভোকেশনাল শাখায় ৪৩ শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশিত না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে ১০ শিক্ষক দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এ সময় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, বীজবাগ নবকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর ভোকেশনাল (ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাসাইনমেন্ট) বিভাগ থেকে ৪৩ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু সোমবার এসএসসি ফল প্রকাশিত হলে ভোকেশনাল বিভাগের ওই ৪৩ শিক্ষার্থীর সবাই ফেল করে। এতে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষককে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কক্ষে রেখে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হানিফ ৪৩ শিক্ষার্থী ফেল করার কথা স্বীকার করে বলেন, নবম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার কাগজপত্র করোনার কারণে সময়মতো না পৌঁছায় ওই বিষয়ের ফল প্রকাশিত হয়নি। ফলে তারা ফেল করেছে। আগামী দুই মাস পর নবম শ্রেণির ফল প্রকাশিত হলে ওই সময় এসএসসি পূর্ণ ফল প্রকাশিত হবে। এতে শিক্ষার্থীদের ফল পাওয়া যাবে বলে জানান।

সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করার বিষয়টি জানার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে কথা বলেছি। বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, আগামী দুই মাস পর ওই ৪৩ শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশিত হবে।