এশিয়ার ১০০ এর মধ্যে যেতে চাই

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পথিকৃৎ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। দেশের গন্ডি পেরিয়ে তারা বিশ্ব পরিমন্ডলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিনিয়ত ভারী হচ্ছে অর্জনের পাল্লা। দেশ রূপান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম

দেশ রূপান্তর : এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে কতখানি পৌঁছাতে পেরেছেন?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : আটের দশক পর্যন্ত দেশে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা ছিল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। ১৯৯২ সালে বেসরকারিভাবে উচ্চ শিক্ষাদানের লক্ষ্যে দেশের প্রথম বেসরকারিভাবে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়। শিক্ষার্থীরা যাতে আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট হয়ে গড়ে উঠতে পারেন, সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমি মনে করি, আমাদের লক্ষ্যে আমরা অনেকটা পৌঁছে গিয়েছি। আমাদের ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করা গ্র্যাজুয়েটরা বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়, যেমন হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। এরপরও আমরা তৃপ্ত নই। আমরা চাই অতিদ্রুত এশিয়ার সেরা ১০০ ইউনিভার্সিটির তালিকায় স্থান করে নিতে। আমাদের শিক্ষকম-লী বিদেশি ডিগ্রিধারী এবং এনএসইউর গ্র্যাজুয়েটদের ডিগ্রি বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।

দেশ রূপান্তর : অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয় কেন ব্যতিক্রম?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস শিক্ষার্থীদের সব থেকে পছন্দের জায়গা। আমাদের ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে ২০টি শিক্ষার্থী ক্লাব। এসব ক্লাবে যুক্ত থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারছে। আমাদের রয়েছে সুপ্রশস্ত খেলার মাঠ, আধুনিক লাইব্রেরি, জিমনেশিয়াম, স্পোর্টস সেন্টার, বিশ্রামাগার, মেডিকেল সেন্টার, মডার্ন ফার্মেসি, প্যাথলজি ল্যাব, জেনোম রিসার্চ সেন্টারসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।

দেশ রূপান্তর : আপনাদের কী কী ধরনের বৃত্তি বা সুবিধা চালু আছে?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য আর্থিক সহায়তা (কোটাভিত্তিক আর্থিক মওকুফ), ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা (মেরিট স্কলারশিপ), উচ্চ শিক্ষায় ভালো ফল অর্জনের ভিত্তিতে (এনএসইউ মেধাভিত্তিক), আর্থিক চাহিদার ওপর ভিত্তি করে (মানবিক ভিত্তিতে), টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্স এবং ছাত্র কর্মসংস্থান (ছাত্র কর্মসংস্থানভিত্তিক) এবং আংশিকভাবে যোগ্যতা ও প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে (মেরিট নিড বেজড) বৃত্তি দেওয়া হয়।

এনএসইউ কভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৪০ কোটি টাকা ফি মওকুফ করেছে। ৮৯ জন শিক্ষার্থী যারা কভিড-১৯-এর কারণে তাদের পিতা-মাতাকে হারিয়েছে, তাদের পাশাপাশি ২৬৪ জন ভুক্তভোগীকে টিউশন ফি  ছাড় দিয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা ১ হাজার ৪০০-এর বেশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়েছি।

দেশ রূপান্তর : কেন একজন শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসবেন?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয় মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ, কারিগরি ও ল্যাব সুবিধা বৃদ্ধি এবং সময়োপযোগী পাঠ্যক্রম চালুর মাধ্যমে শিক্ষার মান বজায় রাখছে, যে কারণে প্রাইভেট সেক্টরে এনএসইউ সব দিক দিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। এনএসইউ নির্ধারিত সময়ে কোর্স সম্পন্ন করে ডিগ্রি প্রদান, মেধাবী এবং বিদেশি ডিগ্রিধারী ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকদের কাছ থেকে পাঠ গ্রহণ, রাজনীতিমুক্ত পরিবেশে শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, সময়োপযোগী বিষয়ের প্রবর্তন ও আধুনিক পাঠ্যক্রম অনুসরণ, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালন, আধুনিক উপকরণসংবলিত ক্লাসরুমে পাঠদান করে। আমাদের বিশ^বিদ্যালয়ে অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় সাহায্য করার জন্য রয়েছে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট।

দেশ রূপান্তর: দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কেমন?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পদ দখল করে আছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দেশে-বিদেশে নামীদামি প্রতিষ্ঠানে কাজের মাধ্যমে তারা মেধার স্বাক্ষর রাখছে। আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা আন্তর্জাতিক ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিতে, যেমন নাসা, গুগল, মাইক্রোসফট, বিশ্বব্যাংক প্রভৃতিতে উচ্চ পদে চাকরিরত। আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা অনেকে স্টার্টআপ, যেমন পাঠাও, চালডাল, সাটেলসহ অনেক সফল কোম্পানির উদ্যোক্তা হিসেবে মেধার স্বাক্ষর রেখে দেশের উন্নয়নে এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখছে।

দেশ রূপান্তর : এখন পর্যন্ত আপনাদের অর্জন সম্বন্ধে জানতে চাই?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : সম্প্রতি এনএসইউ বিশ্বে গ্র্যাজুয়েট নিয়োগে বাংলাদেশের একমাত্র বিশ^বিদ্যালয় হিসেবে শীর্ষ ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছে এবং কিউএস এশিয়া র‌্যাঙ্কিংয়ে ২১৫তম স্থান অর্জন করেছে। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং ২০২৩-এ বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং ২০২৩-এও এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম স্থান অর্জন করেছে।

দেশ রূপান্তর : এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কী কী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শুরু থেকেই বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়, যেমন হার্ভার্ড, ক্রাউন, ইয়েল, প্রিন্সটন, কলাম্বিয়া বা অক্সফোর্ড, কেমব্রিজের অনুসরণে শিক্ষা দিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এনএসইউ উন্নতমানের শিক্ষা পরিচালনা ব্যবস্থার (Learning Management System-LMS) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এনএসইউতে রয়েছে আধুনিক লাইব্রেরি, জিমনেশিয়াম, স্পোর্টস সেন্টার, খেলার মাঠ, বিশ্রামাগার, মেডিকেল সেন্টার, মডার্ন ফার্মেসি, প্যাথলজি ল্যাব, জেনোম রিসার্চ সেন্টারসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।

দেশ রূপান্তর : আগামীতে আপনাদের পরিকল্পনা কী?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : আমরা ২০০৯ সাল থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আমাদের ২৫ হাজার শিক্ষার্থী ধারণক্ষমতা রয়েছে। দেশ-বিদেশের বিপুলসংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করছে। রাজউক মডেল টাউনের পাশে ২৫০ বিঘা জমি কিনে বিশ^বিদ্যালয় সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করছি। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের ক্যাম্পাস বানানো হবে।

এশিয়ার ১০০ এর মধ্যে যেতে চাই

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পথিকৃৎ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। দেশের গন্ডি পেরিয়ে তারা বিশ্ব পরিমন্ডলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিনিয়ত ভারী হচ্ছে অর্জনের পাল্লা। দেশ রূপান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম

দেশ রূপান্তর : এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে কতখানি পৌঁছাতে পেরেছেন?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : আটের দশক পর্যন্ত দেশে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা ছিল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। ১৯৯২ সালে বেসরকারিভাবে উচ্চ শিক্ষাদানের লক্ষ্যে দেশের প্রথম বেসরকারিভাবে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়। শিক্ষার্থীরা যাতে আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট হয়ে গড়ে উঠতে পারেন, সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমি মনে করি, আমাদের লক্ষ্যে আমরা অনেকটা পৌঁছে গিয়েছি। আমাদের ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করা গ্র্যাজুয়েটরা বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়, যেমন হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। এরপরও আমরা তৃপ্ত নই। আমরা চাই অতিদ্রুত এশিয়ার সেরা ১০০ ইউনিভার্সিটির তালিকায় স্থান করে নিতে। আমাদের শিক্ষকম-লী বিদেশি ডিগ্রিধারী এবং এনএসইউর গ্র্যাজুয়েটদের ডিগ্রি বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।

দেশ রূপান্তর : অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয় কেন ব্যতিক্রম?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস শিক্ষার্থীদের সব থেকে পছন্দের জায়গা। আমাদের ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে ২০টি শিক্ষার্থী ক্লাব। এসব ক্লাবে যুক্ত থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারছে। আমাদের রয়েছে সুপ্রশস্ত খেলার মাঠ, আধুনিক লাইব্রেরি, জিমনেশিয়াম, স্পোর্টস সেন্টার, বিশ্রামাগার, মেডিকেল সেন্টার, মডার্ন ফার্মেসি, প্যাথলজি ল্যাব, জেনোম রিসার্চ সেন্টারসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।

দেশ রূপান্তর : আপনাদের কী কী ধরনের বৃত্তি বা সুবিধা চালু আছে?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য আর্থিক সহায়তা (কোটাভিত্তিক আর্থিক মওকুফ), ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা (মেরিট স্কলারশিপ), উচ্চ শিক্ষায় ভালো ফল অর্জনের ভিত্তিতে (এনএসইউ মেধাভিত্তিক), আর্থিক চাহিদার ওপর ভিত্তি করে (মানবিক ভিত্তিতে), টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্স এবং ছাত্র কর্মসংস্থান (ছাত্র কর্মসংস্থানভিত্তিক) এবং আংশিকভাবে যোগ্যতা ও প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে (মেরিট নিড বেজড) বৃত্তি দেওয়া হয়।

এনএসইউ কভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৪০ কোটি টাকা ফি মওকুফ করেছে। ৮৯ জন শিক্ষার্থী যারা কভিড-১৯-এর কারণে তাদের পিতা-মাতাকে হারিয়েছে, তাদের পাশাপাশি ২৬৪ জন ভুক্তভোগীকে টিউশন ফি  ছাড় দিয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা ১ হাজার ৪০০-এর বেশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়েছি।

দেশ রূপান্তর : কেন একজন শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসবেন?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয় মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ, কারিগরি ও ল্যাব সুবিধা বৃদ্ধি এবং সময়োপযোগী পাঠ্যক্রম চালুর মাধ্যমে শিক্ষার মান বজায় রাখছে, যে কারণে প্রাইভেট সেক্টরে এনএসইউ সব দিক দিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। এনএসইউ নির্ধারিত সময়ে কোর্স সম্পন্ন করে ডিগ্রি প্রদান, মেধাবী এবং বিদেশি ডিগ্রিধারী ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকদের কাছ থেকে পাঠ গ্রহণ, রাজনীতিমুক্ত পরিবেশে শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, সময়োপযোগী বিষয়ের প্রবর্তন ও আধুনিক পাঠ্যক্রম অনুসরণ, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালন, আধুনিক উপকরণসংবলিত ক্লাসরুমে পাঠদান করে। আমাদের বিশ^বিদ্যালয়ে অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় সাহায্য করার জন্য রয়েছে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট।

দেশ রূপান্তর: দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কেমন?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পদ দখল করে আছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দেশে-বিদেশে নামীদামি প্রতিষ্ঠানে কাজের মাধ্যমে তারা মেধার স্বাক্ষর রাখছে। আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা আন্তর্জাতিক ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিতে, যেমন নাসা, গুগল, মাইক্রোসফট, বিশ্বব্যাংক প্রভৃতিতে উচ্চ পদে চাকরিরত। আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা অনেকে স্টার্টআপ, যেমন পাঠাও, চালডাল, সাটেলসহ অনেক সফল কোম্পানির উদ্যোক্তা হিসেবে মেধার স্বাক্ষর রেখে দেশের উন্নয়নে এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখছে।

দেশ রূপান্তর : এখন পর্যন্ত আপনাদের অর্জন সম্বন্ধে জানতে চাই?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : সম্প্রতি এনএসইউ বিশ্বে গ্র্যাজুয়েট নিয়োগে বাংলাদেশের একমাত্র বিশ^বিদ্যালয় হিসেবে শীর্ষ ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছে এবং কিউএস এশিয়া র‌্যাঙ্কিংয়ে ২১৫তম স্থান অর্জন করেছে। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং ২০২৩-এ বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং ২০২৩-এও এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম স্থান অর্জন করেছে।

দেশ রূপান্তর : এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কী কী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শুরু থেকেই বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়, যেমন হার্ভার্ড, ক্রাউন, ইয়েল, প্রিন্সটন, কলাম্বিয়া বা অক্সফোর্ড, কেমব্রিজের অনুসরণে শিক্ষা দিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এনএসইউ উন্নতমানের শিক্ষা পরিচালনা ব্যবস্থার (Learning Management System-LMS) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এনএসইউতে রয়েছে আধুনিক লাইব্রেরি, জিমনেশিয়াম, স্পোর্টস সেন্টার, খেলার মাঠ, বিশ্রামাগার, মেডিকেল সেন্টার, মডার্ন ফার্মেসি, প্যাথলজি ল্যাব, জেনোম রিসার্চ সেন্টারসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।

দেশ রূপান্তর : আগামীতে আপনাদের পরিকল্পনা কী?

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম : আমরা ২০০৯ সাল থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আমাদের ২৫ হাজার শিক্ষার্থী ধারণক্ষমতা রয়েছে। দেশ-বিদেশের বিপুলসংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করছে। রাজউক মডেল টাউনের পাশে ২৫০ বিঘা জমি কিনে বিশ^বিদ্যালয় সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করছি। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের ক্যাম্পাস বানানো হবে।