কক্সবাজারে ১১০ শ্রেণিকক্ষ হস্তান্তর করল ইউনিসেফ

দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হরিপুর অর্ধেন্দু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র। ছবি: ইউনিসেফ

কক্সবাজারের ২২টি স্কুলের ১১০টি শ্রেণিকক্ষ বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে ইউনিসেফ। এর মধ্যে ৭৪টি নতুন এবং ৩৬টি সংস্কার করা। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আট হাজারের বেশি শিশুকে শিশুবান্ধব শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষা গ্রহণে আরও ভালো সুযোগ করে দেবে শ্রেণিকক্ষগুলো।

এতে আরও বলা হয়, কক্সবাজার মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার চাপ মোকাবেলা করছে। ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারকে অনুদানের মাধ্যমে শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণের ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে। যার মাধ্যমে কক্সবাজারের ৬৫৭টি স্কুল উপকৃত হয়েছে। ‘স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান’ শীর্ষক অনুদান কর্মসূচি স্কুলগুলোকে তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা শনাক্ত এবং তা সমাধানের সুযোগ করে দেয়।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেছেন, ‘শিশুরা তাদের জেগে থাকা সময়ের একটি বড় অংশ কাটায় শ্রেণিকক্ষে। তাই সত্যিকার অর্থেই শ্রেণিকক্ষ তাদের কাছে দ্বিতীয় বাড়ির মতো মনে হওয়া উচিত। গবেষণায় দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষ যখন শিশুবান্ধব ও নিরাপদ হয় তখন শিশুরা শিখতে অনুপ্রাণিত হয়। তাদের স্কুলে ভর্তি ও উপস্থিতি বেড়ে যায়। একই সঙ্গে স্কুল শেষ করার হারও বাড়ে।’

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য ডেস্ক, বেঞ্চ ও চেয়ার দিয়ে সম্পূর্ণভাবে সজ্জিত শ্রেণিকক্ষগুলো নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশনের সহায়তায়। ইউনিসেফ ওইসব স্কুলে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য র‌্যাম্প ও শিশুবান্ধব স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করেছে বলেও জানানো হয়েছে।

নির্মাণ কাজের আগে ইউনিসেফ কক্সবাজারের ১০০টি স্কুলের প্রয়োজনীয়তা বিশদভাবে মূল্যায়ন করে এবং সেখান থেকে শিশুবান্ধব শ্রেণিকক্ষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এমন ২২টি স্কুল চিহ্নিত করা হয়। ওই ১১০ শ্রেণিকক্ষ ইউনিসেফের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ‘কক্সবাজারের আট উপজেলায় স্কুলগুলোতে অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর বিষয়টি ছিল শিশুদের জন্য একটি সমস্যা। এই স্কুলগুলো এখন শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষার পরিবেশ দিচ্ছে। যা কোভিড-১৯ এর সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের পথে শিশুদের লেখাপড়ার জন্য অপরিহার্য ছিল।’

কক্সবাজারে ১১০ শ্রেণিকক্ষ হস্তান্তর করল ইউনিসেফ

দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হরিপুর অর্ধেন্দু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র। ছবি: ইউনিসেফ

কক্সবাজারের ২২টি স্কুলের ১১০টি শ্রেণিকক্ষ বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে ইউনিসেফ। এর মধ্যে ৭৪টি নতুন এবং ৩৬টি সংস্কার করা। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আট হাজারের বেশি শিশুকে শিশুবান্ধব শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষা গ্রহণে আরও ভালো সুযোগ করে দেবে শ্রেণিকক্ষগুলো।

এতে আরও বলা হয়, কক্সবাজার মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার চাপ মোকাবেলা করছে। ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারকে অনুদানের মাধ্যমে শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণের ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে। যার মাধ্যমে কক্সবাজারের ৬৫৭টি স্কুল উপকৃত হয়েছে। ‘স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান’ শীর্ষক অনুদান কর্মসূচি স্কুলগুলোকে তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা শনাক্ত এবং তা সমাধানের সুযোগ করে দেয়।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেছেন, ‘শিশুরা তাদের জেগে থাকা সময়ের একটি বড় অংশ কাটায় শ্রেণিকক্ষে। তাই সত্যিকার অর্থেই শ্রেণিকক্ষ তাদের কাছে দ্বিতীয় বাড়ির মতো মনে হওয়া উচিত। গবেষণায় দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষ যখন শিশুবান্ধব ও নিরাপদ হয় তখন শিশুরা শিখতে অনুপ্রাণিত হয়। তাদের স্কুলে ভর্তি ও উপস্থিতি বেড়ে যায়। একই সঙ্গে স্কুল শেষ করার হারও বাড়ে।’

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য ডেস্ক, বেঞ্চ ও চেয়ার দিয়ে সম্পূর্ণভাবে সজ্জিত শ্রেণিকক্ষগুলো নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশনের সহায়তায়। ইউনিসেফ ওইসব স্কুলে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য র‌্যাম্প ও শিশুবান্ধব স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করেছে বলেও জানানো হয়েছে।

নির্মাণ কাজের আগে ইউনিসেফ কক্সবাজারের ১০০টি স্কুলের প্রয়োজনীয়তা বিশদভাবে মূল্যায়ন করে এবং সেখান থেকে শিশুবান্ধব শ্রেণিকক্ষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এমন ২২টি স্কুল চিহ্নিত করা হয়। ওই ১১০ শ্রেণিকক্ষ ইউনিসেফের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ‘কক্সবাজারের আট উপজেলায় স্কুলগুলোতে অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর বিষয়টি ছিল শিশুদের জন্য একটি সমস্যা। এই স্কুলগুলো এখন শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষার পরিবেশ দিচ্ছে। যা কোভিড-১৯ এর সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের পথে শিশুদের লেখাপড়ার জন্য অপরিহার্য ছিল।’