“কাগজবিহীন লেখাপড়ার কারিকুলাম তৈরি করতে হবে”

ডাক, টেলি যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ৬ জানুয়ারি ঢাকাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটউটে দুইদিনব্যাপী ইনক্লুসিভ হায়ার এডুকেশন: বাংলাদেশ কনটেস্ট শিরোনামে আন্তর্জাতিক কর্মশালা শুরু হয়েছে।

সকাল দশটায় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে ডাক, টেলি যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বা প্রতিবন্ধীদের লেখাপড়া এবং দেখভালের দায়িত্ব সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য যুৎসই শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।

বক্তব্য দিচ্ছেন ডাক, টেলি যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

মন্ত্রী তাঁর ভাষণে আরও বলেন, বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য সবাইকে তথ্য-প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ হতে হবে। করোনাকালে বাংলাদেশ ই-লাণিং অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এখন কাগজ বিহীন লেখাপড়ার কারিকুলাম তৈরি করতে হবে। সকলকে ইন্টারনেট থেকে শিক্ষা গ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। ইমেল-ইন্টারনেট ডিজিটাল লাইব্রেরী থেকে জ্ঞান আহরণ সুলভ এবং সহজ করে দিয়েছে।

বক্তব্য দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে রূপান্তরের জন্য ডিজিটাল জ্ঞান অর্জন করতে হবে। স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সহজ হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, ডাইভার্সএশিয়া’র সমন্বয়কারী যুক্তরাজ্যের নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ডেভিড ব্রাউন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যলয়ের আইআইটির পরিচালক এবং ডাইভার্সএশিয়া’র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রধান অধ্যাপক ড. এম শামীম কায়সার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর টেকনিক্যাল সেশনে দেশ-বিদেশ থেকে সমবেত শিক্ষক ও গবেষকগণ তাঁদের গবেষণা ও অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন।

নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং বুয়েটের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালা আগামীকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে সম্পন্ন হবে।

এমবিএইচ/এসএস

“কাগজবিহীন লেখাপড়ার কারিকুলাম তৈরি করতে হবে”

ডাক, টেলি যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ৬ জানুয়ারি ঢাকাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটউটে দুইদিনব্যাপী ইনক্লুসিভ হায়ার এডুকেশন: বাংলাদেশ কনটেস্ট শিরোনামে আন্তর্জাতিক কর্মশালা শুরু হয়েছে।

সকাল দশটায় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে ডাক, টেলি যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বা প্রতিবন্ধীদের লেখাপড়া এবং দেখভালের দায়িত্ব সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য যুৎসই শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।

বক্তব্য দিচ্ছেন ডাক, টেলি যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

মন্ত্রী তাঁর ভাষণে আরও বলেন, বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য সবাইকে তথ্য-প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ হতে হবে। করোনাকালে বাংলাদেশ ই-লাণিং অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এখন কাগজ বিহীন লেখাপড়ার কারিকুলাম তৈরি করতে হবে। সকলকে ইন্টারনেট থেকে শিক্ষা গ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। ইমেল-ইন্টারনেট ডিজিটাল লাইব্রেরী থেকে জ্ঞান আহরণ সুলভ এবং সহজ করে দিয়েছে।

বক্তব্য দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে রূপান্তরের জন্য ডিজিটাল জ্ঞান অর্জন করতে হবে। স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সহজ হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, ডাইভার্সএশিয়া’র সমন্বয়কারী যুক্তরাজ্যের নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ডেভিড ব্রাউন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যলয়ের আইআইটির পরিচালক এবং ডাইভার্সএশিয়া’র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রধান অধ্যাপক ড. এম শামীম কায়সার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর টেকনিক্যাল সেশনে দেশ-বিদেশ থেকে সমবেত শিক্ষক ও গবেষকগণ তাঁদের গবেষণা ও অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন।

নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং বুয়েটের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালা আগামীকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে সম্পন্ন হবে।

এমবিএইচ/এসএস