কানাডায় উচ্চশিক্ষা: বৃত্তি পেলাম যেভাবে

মো. আবদুল আজিজ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগ থেকে ২০১৯ সালে অনার্স (বি.ফার্ম) এবং ২০২১ সালে ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজিতে মাস্টার্স (এম.ফার্ম) সম্পন্ন করেছি। মাস্টার্সের ফলাফল প্রকাশের পরপরই স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে প্রভাষক হিসেবে ফার্মেসি বিভাগে যোগদান করি।

শিক্ষকতার প্রায় এক বছর পর কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবায় পড়াশোনা করার জন্য ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপ পাই। আমি মূলত ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবায় ফার্মেসি বিভাগে ফুল ফান্ডিং এবং ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট এন্ট্রান্স স্কলারশিপ নিয়ে এসেছি। এই স্কলারশিপের অধীনে মাস্টার্স এবং পরে পিএইচডি সম্পন্ন করা যাবে। এই স্কলারশিপের অন্যতম একটা সুবিধা হলো, এর দ্বারা টিউশন ফি এবং ভরণপোষণ উভয়ই চলবে। বিদেশি যত ছাত্র আসে, তাদের সবাইকে ভর্তির সময় এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। তবে এই স্কলারশিপের পূর্বশর্ত হলো, আবেদনের আগে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অধ্যাপকের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক, অর্থাৎ যাঁর সঙ্গে গবেষণা সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, তাঁর অনুমতি প্রয়োজন।

অনুমতির জন্য তাঁর প্রকাশিত এবং চলমান গবেষণা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। অধ্যাপককে ই-মেইলের মাধ্যমে ভালো মানের সিভি, কাভার লেটার এবং রিকমেন্ডেশন লেটারও পাঠাতে হয়। তিনি রাজি হলে তাঁর সঙ্গে দুই-তিনটি ইন্টারভিউর মাধ্যমে নিজের পরিচয়, গবেষণাকাজের অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হয়। এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে দরকার হবে অনার্সে ন্যূনতম ৩.৫০ সিজিপিএ, আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬.৫ এবং ভালো মানের আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র। আমার গবেষণার হাতেখড়ি শুরু হয় ২০১৮ সালের শেষের দিকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক, দেশবরেণ্য গবেষক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম স্যারের হাত ধরে।

ওনার তত্ত্বাবধানে অনার্সে প্রজেক্ট এবং মাস্টার্সে থিসিস সম্পন্ন করি। শিক্ষা ও গবেষণায় তাঁর অসীম আগ্রহ, নিত্যনতুন চিন্তাধারা আর পরিশ্রম দেখেই গবেষণার প্রতি আমার ভালোবাসা জন্মায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাই। করোনা মহামারির সময়ও আমার গবেষণা চলতে থাকে। আমার এত দূর আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল আমার মায়ের। তাঁর অনুপ্রেরণায় আমি এত দূর আসতে পেরেছি।

আমি মূলত ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবায় ফার্মেসি বিভাগে ফুল ফান্ডিং এবং ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট এন্ট্রান্স স্কলারশিপ নিয়ে এসেছি। এই স্কলারশিপের অধীনে মাস্টার্স এবং পরে পিএইচডি সম্পন্ন করা যাবে।

প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব শিক্ষক মহোদয়, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবের কাছে আমি ঋণী। কানাডার পরিবেশ অনেক সুন্দর। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মানুষ নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করে। সবকিছুই সাজানো-গোছানো। বিশ্বমানের পড়াশোনা এবং গবেষণার জন্য তারা সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। তারা সবাইকে সমানভাবে মূল্যায়ন করে, যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেয়। এখানে মানুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই।

মো. আবদুল আজিজ, শিক্ষার্থী, কলেজ অব ফার্মেসি, ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা, কানাডা।

অনুলিখন: এম. জাহিদুল ইসলাম

কানাডায় উচ্চশিক্ষা: বৃত্তি পেলাম যেভাবে

মো. আবদুল আজিজ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগ থেকে ২০১৯ সালে অনার্স (বি.ফার্ম) এবং ২০২১ সালে ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজিতে মাস্টার্স (এম.ফার্ম) সম্পন্ন করেছি। মাস্টার্সের ফলাফল প্রকাশের পরপরই স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে প্রভাষক হিসেবে ফার্মেসি বিভাগে যোগদান করি।

শিক্ষকতার প্রায় এক বছর পর কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবায় পড়াশোনা করার জন্য ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপ পাই। আমি মূলত ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবায় ফার্মেসি বিভাগে ফুল ফান্ডিং এবং ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট এন্ট্রান্স স্কলারশিপ নিয়ে এসেছি। এই স্কলারশিপের অধীনে মাস্টার্স এবং পরে পিএইচডি সম্পন্ন করা যাবে। এই স্কলারশিপের অন্যতম একটা সুবিধা হলো, এর দ্বারা টিউশন ফি এবং ভরণপোষণ উভয়ই চলবে। বিদেশি যত ছাত্র আসে, তাদের সবাইকে ভর্তির সময় এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। তবে এই স্কলারশিপের পূর্বশর্ত হলো, আবেদনের আগে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অধ্যাপকের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক, অর্থাৎ যাঁর সঙ্গে গবেষণা সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, তাঁর অনুমতি প্রয়োজন।

অনুমতির জন্য তাঁর প্রকাশিত এবং চলমান গবেষণা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। অধ্যাপককে ই-মেইলের মাধ্যমে ভালো মানের সিভি, কাভার লেটার এবং রিকমেন্ডেশন লেটারও পাঠাতে হয়। তিনি রাজি হলে তাঁর সঙ্গে দুই-তিনটি ইন্টারভিউর মাধ্যমে নিজের পরিচয়, গবেষণাকাজের অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হয়। এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে দরকার হবে অনার্সে ন্যূনতম ৩.৫০ সিজিপিএ, আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬.৫ এবং ভালো মানের আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র। আমার গবেষণার হাতেখড়ি শুরু হয় ২০১৮ সালের শেষের দিকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক, দেশবরেণ্য গবেষক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম স্যারের হাত ধরে।

ওনার তত্ত্বাবধানে অনার্সে প্রজেক্ট এবং মাস্টার্সে থিসিস সম্পন্ন করি। শিক্ষা ও গবেষণায় তাঁর অসীম আগ্রহ, নিত্যনতুন চিন্তাধারা আর পরিশ্রম দেখেই গবেষণার প্রতি আমার ভালোবাসা জন্মায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাই। করোনা মহামারির সময়ও আমার গবেষণা চলতে থাকে। আমার এত দূর আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল আমার মায়ের। তাঁর অনুপ্রেরণায় আমি এত দূর আসতে পেরেছি।

আমি মূলত ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবায় ফার্মেসি বিভাগে ফুল ফান্ডিং এবং ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট এন্ট্রান্স স্কলারশিপ নিয়ে এসেছি। এই স্কলারশিপের অধীনে মাস্টার্স এবং পরে পিএইচডি সম্পন্ন করা যাবে।

প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব শিক্ষক মহোদয়, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবের কাছে আমি ঋণী। কানাডার পরিবেশ অনেক সুন্দর। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মানুষ নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করে। সবকিছুই সাজানো-গোছানো। বিশ্বমানের পড়াশোনা এবং গবেষণার জন্য তারা সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। তারা সবাইকে সমানভাবে মূল্যায়ন করে, যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেয়। এখানে মানুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই।

মো. আবদুল আজিজ, শিক্ষার্থী, কলেজ অব ফার্মেসি, ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা, কানাডা।

অনুলিখন: এম. জাহিদুল ইসলাম