কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরীক্ষার উত্তরপত্র হারিয়ে ফেলার অভিযোগ

একা তালুকদার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানোন্নয়ন পরীক্ষার তিনটি উত্তরপত্র হারিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সাদিয়া জাহান। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

জানা যায়, গত বছর নভেম্বর মাসে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে উক্ত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তিনজন শিক্ষার্থী ‘ফার্ম-২২০২ : ফার্মাসিউটিক্যাল অর্গানিক কেমিস্ট্রি-২’ নামক একটি কোর্সের মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেন। সেই পরীক্ষার খাতা পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা কোর্স শিক্ষক সাদিয়া জাহানকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এই উত্তরপত্রগুলো হারিয়ে ফেলেন। ফলাফল তৈরি করতে গিয়ে খাতাগুলো খুঁজে না পাওয়ার কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানান তিনি।

এই ঘটনায় রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম রায়হান উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল করিম চৌধুরী।

তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ নূরুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘তিনি এই বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর একটা চিঠি দিয়েছেন। এর জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদের এই বিষয়ে একটা মিটিং হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলে ৮/৯ তারিখে আরেকটা মিটিং হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা জানা যাবে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দেয়ার পর।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক সাদিয়া জাহান বলেন, ‘আসলে খাতাটা পাওয়া যাচ্ছে না। যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তদন্ত কমিটি হয়েছে, তদন্ত হচ্ছে। এর বাহিরে আমি কিছু বলতে পারবো না।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি এই বিষয়ে অবগত আছি। আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুসারে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত শিক্ষক সাদিয়া জাহান এই বিষয়ে তদন্ত চলাকালেই বিদেশে উচ্চশিক্ষায় অনাপত্তিপত্র পেয়েছেন। তবে উপাচার্য বলছেন তাকে অনাপত্তিপত্র দেয়া হলেও শিক্ষা ছুটি দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, এই অনাপত্তিপত্র দিয়ে সে ভিসা জন্য আবেদন করতে পারবে, শিক্ষা ছুটির জন্য না। আমাদের আপাতত শিক্ষক সংকট আছে। তাই তাকে শিক্ষা ছুটি দেয়া হয় নাই।’

এই ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক সাদিয়া জাহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে আমি শিক্ষা ছুটি পাইনি। প্রসেসিং করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। ছুটি আমাকে পরে দিবে নিয়ম অনুসারে।

ইবিহো/এসএস

কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরীক্ষার উত্তরপত্র হারিয়ে ফেলার অভিযোগ

একা তালুকদার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানোন্নয়ন পরীক্ষার তিনটি উত্তরপত্র হারিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সাদিয়া জাহান। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

জানা যায়, গত বছর নভেম্বর মাসে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে উক্ত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তিনজন শিক্ষার্থী ‘ফার্ম-২২০২ : ফার্মাসিউটিক্যাল অর্গানিক কেমিস্ট্রি-২’ নামক একটি কোর্সের মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেন। সেই পরীক্ষার খাতা পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা কোর্স শিক্ষক সাদিয়া জাহানকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এই উত্তরপত্রগুলো হারিয়ে ফেলেন। ফলাফল তৈরি করতে গিয়ে খাতাগুলো খুঁজে না পাওয়ার কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানান তিনি।

এই ঘটনায় রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম রায়হান উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল করিম চৌধুরী।

তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ নূরুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘তিনি এই বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর একটা চিঠি দিয়েছেন। এর জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদের এই বিষয়ে একটা মিটিং হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলে ৮/৯ তারিখে আরেকটা মিটিং হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা জানা যাবে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দেয়ার পর।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক সাদিয়া জাহান বলেন, ‘আসলে খাতাটা পাওয়া যাচ্ছে না। যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তদন্ত কমিটি হয়েছে, তদন্ত হচ্ছে। এর বাহিরে আমি কিছু বলতে পারবো না।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি এই বিষয়ে অবগত আছি। আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুসারে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত শিক্ষক সাদিয়া জাহান এই বিষয়ে তদন্ত চলাকালেই বিদেশে উচ্চশিক্ষায় অনাপত্তিপত্র পেয়েছেন। তবে উপাচার্য বলছেন তাকে অনাপত্তিপত্র দেয়া হলেও শিক্ষা ছুটি দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, এই অনাপত্তিপত্র দিয়ে সে ভিসা জন্য আবেদন করতে পারবে, শিক্ষা ছুটির জন্য না। আমাদের আপাতত শিক্ষক সংকট আছে। তাই তাকে শিক্ষা ছুটি দেয়া হয় নাই।’

এই ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক সাদিয়া জাহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে আমি শিক্ষা ছুটি পাইনি। প্রসেসিং করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। ছুটি আমাকে পরে দিবে নিয়ম অনুসারে।

ইবিহো/এসএস