কৃষিশিক্ষার আঁতুড়ঘর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

মো. আশিকুর রহমান

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমাণ বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্র সৃষ্টি, আধুনিক জ্ঞানচর্চা এবং কৃষি বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষাদান, গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালনা, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও জাতির কল্যাণে হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে ১৪ বছর আগে ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সামগ্রিক কৃষিব্যবস্থা উন্নত করতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

অবস্থান
সিলেট বিভাগীয় শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পূর্বে এবং রাজধানী ঢাকা থেকে ২৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে টিলাগড় নামক স্থানে ২০ দশমিক ২৩ হেক্টর (৫০ একর) জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস। এ ছাড়া মূল ক্যাম্পাস থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে তামাবিল বাইপাস রাস্তার উত্তর পাশে বিকেএসপির পূর্ব দিকে ৪ দশমিক ৯৭ হেক্টর (১২.২৯ একর) এলাকায় বহিঃক্যাম্পাস হিসেবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণা মাঠ গড়ে তোলা হয়েছে।

অনুষদ ও বিভাগ
তিনটি অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু সিকৃবির। এরপর চালু হয় আরও তিনটি অনুষদ। রয়েছে ৪৮টি বিভাগ। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য পাঁচটি এবং ছাত্রীদের দুটি আবাসিক হল রয়েছে। রয়েছে অত্যাধুনিক গবেষণাগার ও ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল।

গবেষণা
২০২২ সালের এডি সায়েন্টিফিক প্রতিবেদনে জায়গা করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৫৯ জন গবেষক, যার মধ্যে দুজন শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এ ছাড়া অ্যাকুয়াটিক সায়েন্স বিভাগ গবেষণায় হয়েছে দেশসেরা। এরই মধ্যে দুটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ করেছে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ। এ ছাড়া বৈজ্ঞানিক গবেষণারের ওপর সম্মেলন করেছে কৃষি অনুষদের কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগ। প্রায় সব বিভাগের জন্য দেওয়া হয়েছে অত্যাধুনিক গবেষণাগার। ফলে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও গবেষণামুখী হচ্ছেন।

সংগঠন
সিকৃবিতে রয়েছে আর্ট ক্লাব, ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ, বিনোদন সংঘ, সিকৃবি সাংবাদিক সমিতি, ডিবেটিং সোসাইটি, পলেমিক ক্লাব, লুব্ধক থিয়েটার, মৃত্তিকা, প্রাধিকার, বাঁধন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাঠশালা একুশ, শৈবাল, ক্যারিয়ার ক্লাব, টুরিস্ট ক্লাব ইত্যাদি। অনন্য সিকৃবি; স্পেনভিত্তিক SCimago Institutions Ranking-এর ওয়েবসাইটে সম্প্রতি র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের Aquatic Science নিয়ে ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ১ নম্বর হয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। সবুজ ক্যাম্পাসের দুটি টিলায় শুরু হয়েছে চা নিয়ে গবেষণা। দুই একর জায়গা নিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম এই অর্থকরী ফসলের চাষ ও গবেষণা চলছে। এই চা-বাগান গড়ে তুলেছেন কৃষি অনুষদের ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান ও চা উৎপাদন প্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর ড. এ এফ এম সাইফুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনের ছাদে স্থাপিত হয়েছে একটি আদর্শ ছাদবাগান।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (সাউরেস) অর্থায়নে কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. চন্দ্র কান্ত দাশ এই ছাদবাগান গড়ে তুলেছেন। ড. চন্দ্র কান্ত তাঁর মডেল ছাদবাগানে ২২ প্রজাতির সবজি, ৩৫ প্রজাতির ফল, ৩০ প্রজাতির ফুল, ১৩ প্রজাতির মসলা এবং ইনডোর প্ল্যান্ট, সাকুলেন্ট ও ক্যাকটাস মিলে মোট ১৬৫টিরও বেশি প্রজাতির গাছ লাগিয়েছেন। ফুল ও ফল গাছের সারিগুলো তিনি এমনভাবে সাজিয়েছেন, যেন ফল গাছের পরাগায়নে সুবিধা হয়। পরাগায়নের সুবিধার্থে তিনি ছাদে কয়েকটি মৌচাক বাক্স স্থাপন করেছেন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. শহীদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে শিমের গ্রীষ্মকালীন নতুন দুটি জাত অনুমোদন পেয়েছে। প্রোটিনসমৃদ্ধ এই জাতগুলোর তিনি নাম দিয়েছেন সিকৃবি শিম-১ ও সিকৃবি শিম-২। সিলেট অঞ্চলের কৃষি আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য জানার জন্য প্রথমবারের মতো স্থাপন করা হয়েছে অটোমেটেড অ্যাগ্রোমেটিওরোলজিক্যাল স্টেশন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) কৃষি বনায়ন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার ল্যাবের তত্ত্বাবধানে এই অত্যাধুনিক অ্যাগ্রোমেটিওরোলজিক্যাল স্টেশনটি চালু করা হয়েছে। গৃহপালিত গবাদিপশুতে মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে প্রাণিদেহে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়, যা পরে বাজারে বিদ্যমান প্রাণীর মাংসের মাধ্যমে মানব শরীরে অনুপ্রবেশ করার মাধ্যমে মানবদেহে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা বিনষ্ট করে, যা মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এ নিয়ে গবেষণা করছে সিকৃবির প্যাথলজি বিভাগ।

ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞাডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা

স্বল্পসময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসে বড় ধরনের কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিতে চাই। ক্যাম্পাসের বিজ্ঞানীরা বহু বছর থেকে তাঁদের গবেষণা চলমান রেখেছেন। ক্যাম্পাসের উদ্ভাবক দলের গবেষণালব্ধ ফলাফলের পেটেন্ট, অর্থাৎ সরকার কর্তৃক অধিকার প্রদানের অনুমোদনপত্র আদায়ের চেষ্টা করছি। আশা করি পেটেন্টগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে চালু হবে। এটি আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে স্থান নিতে সহায়তা করবে। ক্যাম্পাসের উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩০ বছরব্যাপী একটি কর্মপরিকল্পনা ইতিমধ্যে চালু রয়েছে। শিল্পোন্নয়নের জন্য একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করব। সেখানে প্রায়োরিটি ভিত্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ উৎপাদন করাই হবে প্রধান লক্ষ্য।

ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, উপাচার্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃষিশিক্ষার আঁতুড়ঘর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

মো. আশিকুর রহমান

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমাণ বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্র সৃষ্টি, আধুনিক জ্ঞানচর্চা এবং কৃষি বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষাদান, গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালনা, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও জাতির কল্যাণে হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে ১৪ বছর আগে ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সামগ্রিক কৃষিব্যবস্থা উন্নত করতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

অবস্থান
সিলেট বিভাগীয় শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পূর্বে এবং রাজধানী ঢাকা থেকে ২৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে টিলাগড় নামক স্থানে ২০ দশমিক ২৩ হেক্টর (৫০ একর) জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস। এ ছাড়া মূল ক্যাম্পাস থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে তামাবিল বাইপাস রাস্তার উত্তর পাশে বিকেএসপির পূর্ব দিকে ৪ দশমিক ৯৭ হেক্টর (১২.২৯ একর) এলাকায় বহিঃক্যাম্পাস হিসেবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণা মাঠ গড়ে তোলা হয়েছে।

অনুষদ ও বিভাগ
তিনটি অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু সিকৃবির। এরপর চালু হয় আরও তিনটি অনুষদ। রয়েছে ৪৮টি বিভাগ। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য পাঁচটি এবং ছাত্রীদের দুটি আবাসিক হল রয়েছে। রয়েছে অত্যাধুনিক গবেষণাগার ও ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল।

গবেষণা
২০২২ সালের এডি সায়েন্টিফিক প্রতিবেদনে জায়গা করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৫৯ জন গবেষক, যার মধ্যে দুজন শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এ ছাড়া অ্যাকুয়াটিক সায়েন্স বিভাগ গবেষণায় হয়েছে দেশসেরা। এরই মধ্যে দুটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ করেছে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ। এ ছাড়া বৈজ্ঞানিক গবেষণারের ওপর সম্মেলন করেছে কৃষি অনুষদের কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগ। প্রায় সব বিভাগের জন্য দেওয়া হয়েছে অত্যাধুনিক গবেষণাগার। ফলে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও গবেষণামুখী হচ্ছেন।

সংগঠন
সিকৃবিতে রয়েছে আর্ট ক্লাব, ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ, বিনোদন সংঘ, সিকৃবি সাংবাদিক সমিতি, ডিবেটিং সোসাইটি, পলেমিক ক্লাব, লুব্ধক থিয়েটার, মৃত্তিকা, প্রাধিকার, বাঁধন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাঠশালা একুশ, শৈবাল, ক্যারিয়ার ক্লাব, টুরিস্ট ক্লাব ইত্যাদি। অনন্য সিকৃবি; স্পেনভিত্তিক SCimago Institutions Ranking-এর ওয়েবসাইটে সম্প্রতি র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের Aquatic Science নিয়ে ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ১ নম্বর হয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। সবুজ ক্যাম্পাসের দুটি টিলায় শুরু হয়েছে চা নিয়ে গবেষণা। দুই একর জায়গা নিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম এই অর্থকরী ফসলের চাষ ও গবেষণা চলছে। এই চা-বাগান গড়ে তুলেছেন কৃষি অনুষদের ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান ও চা উৎপাদন প্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর ড. এ এফ এম সাইফুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনের ছাদে স্থাপিত হয়েছে একটি আদর্শ ছাদবাগান।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (সাউরেস) অর্থায়নে কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. চন্দ্র কান্ত দাশ এই ছাদবাগান গড়ে তুলেছেন। ড. চন্দ্র কান্ত তাঁর মডেল ছাদবাগানে ২২ প্রজাতির সবজি, ৩৫ প্রজাতির ফল, ৩০ প্রজাতির ফুল, ১৩ প্রজাতির মসলা এবং ইনডোর প্ল্যান্ট, সাকুলেন্ট ও ক্যাকটাস মিলে মোট ১৬৫টিরও বেশি প্রজাতির গাছ লাগিয়েছেন। ফুল ও ফল গাছের সারিগুলো তিনি এমনভাবে সাজিয়েছেন, যেন ফল গাছের পরাগায়নে সুবিধা হয়। পরাগায়নের সুবিধার্থে তিনি ছাদে কয়েকটি মৌচাক বাক্স স্থাপন করেছেন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. শহীদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে শিমের গ্রীষ্মকালীন নতুন দুটি জাত অনুমোদন পেয়েছে। প্রোটিনসমৃদ্ধ এই জাতগুলোর তিনি নাম দিয়েছেন সিকৃবি শিম-১ ও সিকৃবি শিম-২। সিলেট অঞ্চলের কৃষি আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য জানার জন্য প্রথমবারের মতো স্থাপন করা হয়েছে অটোমেটেড অ্যাগ্রোমেটিওরোলজিক্যাল স্টেশন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) কৃষি বনায়ন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার ল্যাবের তত্ত্বাবধানে এই অত্যাধুনিক অ্যাগ্রোমেটিওরোলজিক্যাল স্টেশনটি চালু করা হয়েছে। গৃহপালিত গবাদিপশুতে মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে প্রাণিদেহে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়, যা পরে বাজারে বিদ্যমান প্রাণীর মাংসের মাধ্যমে মানব শরীরে অনুপ্রবেশ করার মাধ্যমে মানবদেহে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা বিনষ্ট করে, যা মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এ নিয়ে গবেষণা করছে সিকৃবির প্যাথলজি বিভাগ।

ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞাডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা

স্বল্পসময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসে বড় ধরনের কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিতে চাই। ক্যাম্পাসের বিজ্ঞানীরা বহু বছর থেকে তাঁদের গবেষণা চলমান রেখেছেন। ক্যাম্পাসের উদ্ভাবক দলের গবেষণালব্ধ ফলাফলের পেটেন্ট, অর্থাৎ সরকার কর্তৃক অধিকার প্রদানের অনুমোদনপত্র আদায়ের চেষ্টা করছি। আশা করি পেটেন্টগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে চালু হবে। এটি আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে স্থান নিতে সহায়তা করবে। ক্যাম্পাসের উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩০ বছরব্যাপী একটি কর্মপরিকল্পনা ইতিমধ্যে চালু রয়েছে। শিল্পোন্নয়নের জন্য একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করব। সেখানে প্রায়োরিটি ভিত্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ উৎপাদন করাই হবে প্রধান লক্ষ্য।

ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, উপাচার্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।