গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শুরু

মোজাহিদুল ইসলাম নিরব
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

‘দাও চিত্ত অ-নিরুদ্ধ, দাও শুদ্ধ জ্ঞান। হে সর্বশক্তিমান’ এই মন্ত্রকে ধারণ করে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৩ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০ টায় একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলামের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথমদিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

সারাদিন ব্যাপী চলমান প্রথমদিনের এই প্রতিযোগিতায় ৬ টি ইভেন্টের মধ্যে রবীন্দ্র সঙ্গীতে ১৮ জন, নজরুল সঙ্গীতে ১৫ জন, লোকগীতিতে ১৪ জন, দেশাত্মবোধক গানে ৬ জন, আধুনিক গানে ২৪ জন এবং নৃত্য পরিবেশনায় ২৫ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।

প্রথমদিন শেষে ৫ টি ইভেন্ট সম্পন্ন হয় এবং বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং নজরুল সঙ্গীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কাফসাত তাইয়ুশ (ইংরেজি), লোক সঙ্গীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন আবিদ হোসেন (রাজনীতি ও প্রশাসন), দেশাত্মবোধক গানে প্রথম হয়েছেন বিদিতা চৌধুরী (সিএসই), আধুনিক গানে প্রথম হয়েছে নিউটন গাইন (ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্সেস)।

রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং নজরুল সঙ্গীতে ১ম স্থান অধিকার করা কাফসাত তাইয়ুশ বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারাটাই একটা আনন্দের বিষয়। এরপর প্রথম হতে পারাটা আরো বেশি আনন্দের। ক্যাম্পাসের অনেকে আছেন যারা সংগীতে আগ্রহী এটা আজ প্রমান হলো। সাথে সাথে এমন অনুষ্ঠান যদি নিয়মিত করা যায় তবে প্রতিভা বিকাশের পথ আরো উন্মোচিত হবে।’

প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের বিচারক বাংলা গানের কিংবদন্তি শিল্পী খুরশীদ আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার অনেক চাপ থাকে। সেখানে এই চাপ মোকাবিলা করে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা আবার তাতে ছাত্রছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আজ আমাদের সামনে উপবিষ্ট ছাত্রছাত্রীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে আশা করি।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যার বলতেন লেখা পড়ার পাশাপাশি আমাদের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া এই দুটি বিষয় অবশ্যই চালিয়ে নিতে হবে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিলাম। করোনা মহামারির পরে এ বছর থেকে আবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করতে পেরে ভালো লাগছে।

তিনি আরো বলেন, খেলাধুলার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক দিক থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব। প্রয়োজনে গুণীজনদের সাহায্য নিব।

করোনা মহামারীর দীর্ঘসময় পর আবার এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম, সঙ্গীত প্রশিক্ষক ও সিনিয়র প্রভাষক এনায়েত-এ মওলা জিন্নাহ্ সহ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ।

ইবিহো/এসএস

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শুরু

মোজাহিদুল ইসলাম নিরব
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

‘দাও চিত্ত অ-নিরুদ্ধ, দাও শুদ্ধ জ্ঞান। হে সর্বশক্তিমান’ এই মন্ত্রকে ধারণ করে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৩ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০ টায় একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলামের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথমদিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

সারাদিন ব্যাপী চলমান প্রথমদিনের এই প্রতিযোগিতায় ৬ টি ইভেন্টের মধ্যে রবীন্দ্র সঙ্গীতে ১৮ জন, নজরুল সঙ্গীতে ১৫ জন, লোকগীতিতে ১৪ জন, দেশাত্মবোধক গানে ৬ জন, আধুনিক গানে ২৪ জন এবং নৃত্য পরিবেশনায় ২৫ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।

প্রথমদিন শেষে ৫ টি ইভেন্ট সম্পন্ন হয় এবং বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং নজরুল সঙ্গীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কাফসাত তাইয়ুশ (ইংরেজি), লোক সঙ্গীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন আবিদ হোসেন (রাজনীতি ও প্রশাসন), দেশাত্মবোধক গানে প্রথম হয়েছেন বিদিতা চৌধুরী (সিএসই), আধুনিক গানে প্রথম হয়েছে নিউটন গাইন (ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্সেস)।

রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং নজরুল সঙ্গীতে ১ম স্থান অধিকার করা কাফসাত তাইয়ুশ বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারাটাই একটা আনন্দের বিষয়। এরপর প্রথম হতে পারাটা আরো বেশি আনন্দের। ক্যাম্পাসের অনেকে আছেন যারা সংগীতে আগ্রহী এটা আজ প্রমান হলো। সাথে সাথে এমন অনুষ্ঠান যদি নিয়মিত করা যায় তবে প্রতিভা বিকাশের পথ আরো উন্মোচিত হবে।’

প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের বিচারক বাংলা গানের কিংবদন্তি শিল্পী খুরশীদ আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার অনেক চাপ থাকে। সেখানে এই চাপ মোকাবিলা করে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা আবার তাতে ছাত্রছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আজ আমাদের সামনে উপবিষ্ট ছাত্রছাত্রীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে আশা করি।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যার বলতেন লেখা পড়ার পাশাপাশি আমাদের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া এই দুটি বিষয় অবশ্যই চালিয়ে নিতে হবে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিলাম। করোনা মহামারির পরে এ বছর থেকে আবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করতে পেরে ভালো লাগছে।

তিনি আরো বলেন, খেলাধুলার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক দিক থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব। প্রয়োজনে গুণীজনদের সাহায্য নিব।

করোনা মহামারীর দীর্ঘসময় পর আবার এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম, সঙ্গীত প্রশিক্ষক ও সিনিয়র প্রভাষক এনায়েত-এ মওলা জিন্নাহ্ সহ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ।

ইবিহো/এসএস