গবেষণা সফরে জাপান যাচ্ছেন বশেফমুবিপ্রবির শিক্ষক ড. মাহমুদুল হাছান

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিজ্ঞানী ড. মাহমুদুল হাছান জাপানের নাগাহামা ইনস্টিটিউট অফ বায়োসায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক ড. আটসুসি কুরাবায়োশির আমন্ত্রণে আজ জাপান যাচ্ছেন।

সেখানে তিনি সাপ ও ব্যাঙের মধ্যে হরাইজন্টাল (আনুভূমিক) জিন ট্রান্সফার নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা করবেন। এছাড়া যমুনা নদীর রুইমাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য প্রাণীর মলিকুলার বিষয়ে গবেষণা করবেন।

তাঁর ৩টি নতুন প্রজাতির ব্যাঙ (হোপলোব্যাট্র্যাকাস লিটোরালিস, মাইক্রোহিলা মোখলেসুরি ও মাইক্রোহিলা মাইমেনসিংহেসিস) আবিষ্কারসহ অনেক মৌলিক গবেষণা রয়েছে এবং ২৮টির বেশি গবেষণাপত্র দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।তিনি এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স অনুযায়ী বশেফমুবিপ্রবিতে
বিশ্বসেরা গবেষক র‌্যাংকিংয়ে প্রথম স্থানে রয়েছেন।

তিনি বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে মৌলিক বিষয়ে গবেষণা করে মানবজাতি ও সভ্যতার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ড. হাছানের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ফান্ডে বশেফমুবিপ্রবির জন্য জেনেটিক অ্যানালাইজার নামক এক কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা মূল্যের যন্ত্র ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে ড. হাছান বলেন “আমার এ গবেষণা সফরের মূল উদ্দেশ্য ব্যাঙ ও সাপের মধ্যে যে হরাইজন্টাল জিন ট্রান্সফার হয় সে বিষয়ে এবং যমুনা নদীর রুই মাছের জীবন রহস্য নিয়ে গবেষণা করা। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা ও বিশ্ব দরবারে তা ছড়িয়ে দেওয়া।”

তিনি আরও বলেন, জেনেটিক অ্যানালাইজার মেশিনটি আমরা নিয়ে আসতে পারলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মলিকুলার লেভেলে গবেষণার দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এরফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গবেষকরা যেমন জিন সিকোয়েন্স নিয়ে গবেষণা করতে পারবে তেমনি অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও এখানে এসে কাজ করিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন।”

লেখা ও ছবি: এস এম আল-ফাহাদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এমবিএইচ/এসএস

গবেষণা সফরে জাপান যাচ্ছেন বশেফমুবিপ্রবির শিক্ষক ড. মাহমুদুল হাছান

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিজ্ঞানী ড. মাহমুদুল হাছান জাপানের নাগাহামা ইনস্টিটিউট অফ বায়োসায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক ড. আটসুসি কুরাবায়োশির আমন্ত্রণে আজ জাপান যাচ্ছেন।

সেখানে তিনি সাপ ও ব্যাঙের মধ্যে হরাইজন্টাল (আনুভূমিক) জিন ট্রান্সফার নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা করবেন। এছাড়া যমুনা নদীর রুইমাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য প্রাণীর মলিকুলার বিষয়ে গবেষণা করবেন।

তাঁর ৩টি নতুন প্রজাতির ব্যাঙ (হোপলোব্যাট্র্যাকাস লিটোরালিস, মাইক্রোহিলা মোখলেসুরি ও মাইক্রোহিলা মাইমেনসিংহেসিস) আবিষ্কারসহ অনেক মৌলিক গবেষণা রয়েছে এবং ২৮টির বেশি গবেষণাপত্র দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।তিনি এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স অনুযায়ী বশেফমুবিপ্রবিতে
বিশ্বসেরা গবেষক র‌্যাংকিংয়ে প্রথম স্থানে রয়েছেন।

তিনি বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে মৌলিক বিষয়ে গবেষণা করে মানবজাতি ও সভ্যতার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ড. হাছানের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ফান্ডে বশেফমুবিপ্রবির জন্য জেনেটিক অ্যানালাইজার নামক এক কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা মূল্যের যন্ত্র ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে ড. হাছান বলেন “আমার এ গবেষণা সফরের মূল উদ্দেশ্য ব্যাঙ ও সাপের মধ্যে যে হরাইজন্টাল জিন ট্রান্সফার হয় সে বিষয়ে এবং যমুনা নদীর রুই মাছের জীবন রহস্য নিয়ে গবেষণা করা। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা ও বিশ্ব দরবারে তা ছড়িয়ে দেওয়া।”

তিনি আরও বলেন, জেনেটিক অ্যানালাইজার মেশিনটি আমরা নিয়ে আসতে পারলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মলিকুলার লেভেলে গবেষণার দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এরফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গবেষকরা যেমন জিন সিকোয়েন্স নিয়ে গবেষণা করতে পারবে তেমনি অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও এখানে এসে কাজ করিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন।”

লেখা ও ছবি: এস এম আল-ফাহাদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এমবিএইচ/এসএস