ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকা কলেজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ঢাকা কলেজ প্রতিবেদক

 

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট বাতাস ও টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর ঢাকা কলেজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গেছে নতুন নির্মাণ করা নিরাপত্তা দেয়াল, ল্যাম্পপোস্ট ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। উপড়ে গেছে বড় বড় ১০টি গাছ। এছাড়া, বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কর্মচারী কোয়ার্টারের প্রায় ৯০টি পরিবারের এক হাজার সদস্য।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে ঢাকা কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক এলাকা, আবাসিক ছাত্রাবাস, কর্মচারী কোয়ার্টার, খেলার মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।কলেজের আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস ছাত্রাবাস, দক্ষিণায়ন ছাত্রাবাস, উত্তর ছাত্রাবাসের সামনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি মাড়িয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ অন্যান্য কাজে ছাত্রাবাস থেকে বের হতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে থাকা কর্মচারী কোয়ার্টারের বাসিন্দারা জানান, দিনে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও রাতের প্রচণ্ড বৃষ্টি ও বাতাসে ঘরে পানি ঢুকে গেছে। বাতাসে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। আতঙ্ক নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। প্রায় সবার ঘরেই হাঁটু পরিমাণ পানি। এতে নষ্ট হয়েছে অসংখ্য জিনিসপত্র।ঢাকা কলেজের অফিস সহায়ক মশিউর রহমান বলেন, স্টাফ কোয়ার্টারের সব ঘরেই পানি ঢুকেছে। সারারাত আমরা কেউ ঘুমাতে পারিনি। সবাই খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ঘুম খাওয়া-দাওয়া কোনো কিছুই নেই। নতুন করে যদি আবারও বৃষ্টি শুরু হয় তাহলে আর কোনো উপায় থাকবে না।

দুলাল মিয়া নামে এক কর্মচারী জানান, গতকাল সন্ধ্যা থেকেই পানি জমতে শুরু করে। রাত ৮টা-৯টা থেকে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তখনই ঘরে পানি প্রবেশ করে। আতঙ্ক নিয়ে রাত কাটিয়েছি। অনেকের টিনশেড ঘরের ওপরে গাছ ভেঙে পড়েছে। ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছি।

এদিকে আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা কলেজের পানি নিষ্কাশনের জন্য যে লাইনটি ছিল, সেটি বিজিবি বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে কলেজ থেকে পানি বের হওয়ার তেমন কোনো জায়গা নেই। তাই ভারী বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধানে কলেজ প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।

তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দ্রুতই সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ।  তিনি বলেন, ঝড়ে আমাদের ভালো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরএইচটি/এমএইচএস

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকা কলেজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ঢাকা কলেজ প্রতিবেদক

 

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট বাতাস ও টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর ঢাকা কলেজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গেছে নতুন নির্মাণ করা নিরাপত্তা দেয়াল, ল্যাম্পপোস্ট ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। উপড়ে গেছে বড় বড় ১০টি গাছ। এছাড়া, বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কর্মচারী কোয়ার্টারের প্রায় ৯০টি পরিবারের এক হাজার সদস্য।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে ঢাকা কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক এলাকা, আবাসিক ছাত্রাবাস, কর্মচারী কোয়ার্টার, খেলার মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।কলেজের আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস ছাত্রাবাস, দক্ষিণায়ন ছাত্রাবাস, উত্তর ছাত্রাবাসের সামনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি মাড়িয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ অন্যান্য কাজে ছাত্রাবাস থেকে বের হতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে থাকা কর্মচারী কোয়ার্টারের বাসিন্দারা জানান, দিনে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও রাতের প্রচণ্ড বৃষ্টি ও বাতাসে ঘরে পানি ঢুকে গেছে। বাতাসে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। আতঙ্ক নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। প্রায় সবার ঘরেই হাঁটু পরিমাণ পানি। এতে নষ্ট হয়েছে অসংখ্য জিনিসপত্র।ঢাকা কলেজের অফিস সহায়ক মশিউর রহমান বলেন, স্টাফ কোয়ার্টারের সব ঘরেই পানি ঢুকেছে। সারারাত আমরা কেউ ঘুমাতে পারিনি। সবাই খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ঘুম খাওয়া-দাওয়া কোনো কিছুই নেই। নতুন করে যদি আবারও বৃষ্টি শুরু হয় তাহলে আর কোনো উপায় থাকবে না।

দুলাল মিয়া নামে এক কর্মচারী জানান, গতকাল সন্ধ্যা থেকেই পানি জমতে শুরু করে। রাত ৮টা-৯টা থেকে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তখনই ঘরে পানি প্রবেশ করে। আতঙ্ক নিয়ে রাত কাটিয়েছি। অনেকের টিনশেড ঘরের ওপরে গাছ ভেঙে পড়েছে। ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছি।

এদিকে আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা কলেজের পানি নিষ্কাশনের জন্য যে লাইনটি ছিল, সেটি বিজিবি বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে কলেজ থেকে পানি বের হওয়ার তেমন কোনো জায়গা নেই। তাই ভারী বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধানে কলেজ প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।

তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দ্রুতই সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ।  তিনি বলেন, ঝড়ে আমাদের ভালো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরএইচটি/এমএইচএস

ট্যাগ