চবিতে বৃক্ষরোপণ করল ‘অভয়ারণ্য ন্যাচার কনজার্ভেশন ফাউন্ডেশন’

রেফায়েত উল্যাহ রুপক

চবিতে বৃক্ষরোপণ করেছে ‘অভয়ারণ্য ন্যাচার কনজার্ভেশন ফাউন্ডেশন’।

অলাভজনক-প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠন অভায়ারণ্য ন্যাচার কনজার্ভেশন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস এর একাডেমিক এবং হল প্রাঙ্গনে ২৩ প্রজাতির ৮৮টি ফলের চারা রোপণ করা হয়েছে। এই ২৩ প্রজাতির মধ্যে রয়েছে বিলুপ্ত হতে যাওয়া অড়-বড়ই,বিলুম্বি, দেশি গাব, করমচা, জাম, আম, লিচুসহ দেশি প্রজাতির বৃক্ষ।

এই ফলের চারা রোপন উৎসব সম্পর্কে ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী ফাহরিয়াল ইমরোজ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজাড়, শিল্পায়নসহ বেশ কিছু ব্যাপারে প্রতিনিয়তই শুনে থাকি। এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের জীববৈচিত্র্য। খাদ্যের উৎস, ওষুধ, জিন ভাণ্ডার, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশ রক্ষায় জীববৈচিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বায়নের এই যুগে জীববৈচিত্র্য যখন অবলুপ্তির আশংকায়, এদের রক্ষা করার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার লক্ষ্য নিয়ে ‘অভয়ারণ্য’ কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। ফলজ বা বিলুপ্তপ্রায় গাছের চারা বিতরন, রোপন করা সহ বিভিন্ন দৃষ্টান্তমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে ‘অভয়ারণ্য’ একটি সচেতন জনসম্প্রদায় গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সংগঠনের সভাপতি শ্যামল দত্ত জানান, গাছের চারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসসহ আবাসিক এলাকায় বৃক্ষ রোপণের ক্ষেত্রে বিলুপ্তপ্রায় এবং নান্দনিক বৃক্ষের সাথে বেশি করে দেশিয় প্রজাতির ফলের চারা রোপণ করা হলে এর ফলাফল বহুমাত্রিক হয়।

অভয়ারণ্যে সম্পর্কে জানতে চাইলে সংগঠনের শুভাকাঙ্ক্ষী ও সদস্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কিশোয়ার জাহান চৌধুরী জানান, অভয়ারণ্য বিলুপ্তপ্রায় দেশিয় প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছের বৈচিত্র্য রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছে। অভয়ারণ্যের এই উদ্যোগ সফল হোক।এই যাত্রায় অভয়ারণ্যের সহযোগী সকলের জন্যে রইল শুভকামনা।

সংগঠন এর সিনিয়র রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি মো. তানজিমুল আলম আরিফ জানান, অভয়ারণ্য প্রকৃতি সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন তাদের নিজস্ব অর্থায়ন ও উদ্যোগে বরাবরের মতোই প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

তারই ধারাবাহিকতায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ও জীববৈচিত্র্যে ভরপুর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে বিলুপ্তপ্রায় দেশিয় প্রজাতির চারা সম্বলিত যে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমটি সম্পন্ন করা হলো তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

২০১২ সালে প্রকৃতি সংরক্ষণের চিন্তা থেকেই এই সংগঠনের যাত্রা শুরু। সংগঠনটি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক স্বহদেব চন্দ্র মজুমদার জানান, শুধুমাত্র প্রকৃতির টানেই শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময় এই সংগঠন এর সাথে পথচলা শুরু শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরীজীবনে এসে আরো প্রবলভাবে অনুভব করছি প্রকৃতি সংরক্ষন এর জন্য এরকম সংগঠন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, এর আগেও আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনেই ‘পাখিদের বাসস্থান’ নিশ্চিত করার জন্য গাছের ঢালে ঢালে কৃত্রিমভাবে তৈরি পাখির বাসা স্থাপন করেছিলাম এবং বিভিন্ন এলাকায় আমাদের ফলের চারা রোপণ উৎসব এখনো চলমান আছে।

ইবিহো/এসএস

চবিতে বৃক্ষরোপণ করল ‘অভয়ারণ্য ন্যাচার কনজার্ভেশন ফাউন্ডেশন’

রেফায়েত উল্যাহ রুপক

চবিতে বৃক্ষরোপণ করেছে ‘অভয়ারণ্য ন্যাচার কনজার্ভেশন ফাউন্ডেশন’।

অলাভজনক-প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠন অভায়ারণ্য ন্যাচার কনজার্ভেশন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস এর একাডেমিক এবং হল প্রাঙ্গনে ২৩ প্রজাতির ৮৮টি ফলের চারা রোপণ করা হয়েছে। এই ২৩ প্রজাতির মধ্যে রয়েছে বিলুপ্ত হতে যাওয়া অড়-বড়ই,বিলুম্বি, দেশি গাব, করমচা, জাম, আম, লিচুসহ দেশি প্রজাতির বৃক্ষ।

এই ফলের চারা রোপন উৎসব সম্পর্কে ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী ফাহরিয়াল ইমরোজ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজাড়, শিল্পায়নসহ বেশ কিছু ব্যাপারে প্রতিনিয়তই শুনে থাকি। এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের জীববৈচিত্র্য। খাদ্যের উৎস, ওষুধ, জিন ভাণ্ডার, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশ রক্ষায় জীববৈচিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বায়নের এই যুগে জীববৈচিত্র্য যখন অবলুপ্তির আশংকায়, এদের রক্ষা করার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার লক্ষ্য নিয়ে ‘অভয়ারণ্য’ কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। ফলজ বা বিলুপ্তপ্রায় গাছের চারা বিতরন, রোপন করা সহ বিভিন্ন দৃষ্টান্তমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে ‘অভয়ারণ্য’ একটি সচেতন জনসম্প্রদায় গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সংগঠনের সভাপতি শ্যামল দত্ত জানান, গাছের চারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসসহ আবাসিক এলাকায় বৃক্ষ রোপণের ক্ষেত্রে বিলুপ্তপ্রায় এবং নান্দনিক বৃক্ষের সাথে বেশি করে দেশিয় প্রজাতির ফলের চারা রোপণ করা হলে এর ফলাফল বহুমাত্রিক হয়।

অভয়ারণ্যে সম্পর্কে জানতে চাইলে সংগঠনের শুভাকাঙ্ক্ষী ও সদস্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কিশোয়ার জাহান চৌধুরী জানান, অভয়ারণ্য বিলুপ্তপ্রায় দেশিয় প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছের বৈচিত্র্য রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছে। অভয়ারণ্যের এই উদ্যোগ সফল হোক।এই যাত্রায় অভয়ারণ্যের সহযোগী সকলের জন্যে রইল শুভকামনা।

সংগঠন এর সিনিয়র রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি মো. তানজিমুল আলম আরিফ জানান, অভয়ারণ্য প্রকৃতি সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন তাদের নিজস্ব অর্থায়ন ও উদ্যোগে বরাবরের মতোই প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

তারই ধারাবাহিকতায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ও জীববৈচিত্র্যে ভরপুর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে বিলুপ্তপ্রায় দেশিয় প্রজাতির চারা সম্বলিত যে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমটি সম্পন্ন করা হলো তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

২০১২ সালে প্রকৃতি সংরক্ষণের চিন্তা থেকেই এই সংগঠনের যাত্রা শুরু। সংগঠনটি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক স্বহদেব চন্দ্র মজুমদার জানান, শুধুমাত্র প্রকৃতির টানেই শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময় এই সংগঠন এর সাথে পথচলা শুরু শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরীজীবনে এসে আরো প্রবলভাবে অনুভব করছি প্রকৃতি সংরক্ষন এর জন্য এরকম সংগঠন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, এর আগেও আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনেই ‘পাখিদের বাসস্থান’ নিশ্চিত করার জন্য গাছের ঢালে ঢালে কৃত্রিমভাবে তৈরি পাখির বাসা স্থাপন করেছিলাম এবং বিভিন্ন এলাকায় আমাদের ফলের চারা রোপণ উৎসব এখনো চলমান আছে।

ইবিহো/এসএস