চবিতে হলুদ দলের নির্বাচন দিতে ২০১ শিক্ষকের চিঠি

প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন দিতে আহ্বায়কের কাছে চিঠি দিয়েছেন ২০১ শিক্ষক। মেয়াদোত্তীর্ণ এ কমিটি সাধারণ সদস্যদের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পাল্টা বক্তব্যে হলুদ দলের আহ্বায়কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চিঠিতে স্বাক্ষরকারী অনেকেই সংগঠনের সদস্য নন।

২০১ শিক্ষকের চিঠিতে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন স্ট্যান্ডিং কমিটি না আসা পর্যন্ত সব বিধিবদ্ধ পর্ষদের নির্বাচন আয়োজন না করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ৯ নভেম্বর চিঠিটি লেখা হয়। সম্প্রতি চিঠির একটি কপি সাংবাদিকদের হাতে আসে। এর আগে ১১ নভেম্বর চিঠিটি হাতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী। সোমবার দুপুরে বিবৃতির মাধ্যমে তিনি চিঠির জবাব দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ হলুদ দল হিসেবে পরিচিত। ২০১ শিক্ষকের চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল স্ট্যান্ডিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৭ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ছয়জন অবসর গ্রহণ, শিক্ষা ছুটি প্রভৃতি কারণে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এ ছাড়া, স্ট্যান্ডিং কমিটি সদস্যদের মতামতের প্রতিফল ঘটাতে ব্যর্থ হওয়ায় অনেক নিবেদিত সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে বাধ্য হয়েছেন। তারা জয়ী হওয়ায় স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতি সুস্পষ্ট অনাস্থার বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে।

এ বিষয়ে হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষে আহ্বায়ক সেকান্দর চৌধুরী লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে জবাব দিয়েছেন। সেখানে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ অনুযায়ী সিন্ডিকেটসহ সব বিধিবদ্ধ পর্ষদের মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচন বন্ধ করা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজকে বিভক্ত করার অভিপ্রায়ে চিঠিটি দেয়া হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিদের সরাসরি ইন্ধন আছে।

সেকান্দর চৌধুরীর লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, দলের সদস্য নন এমন প্রায় ৪০ জনসহ কতিপয় শিক্ষকের একটি চিঠি সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে। স্বাক্ষরকারীদের তালিকায় জামায়াত-বিএনপিপন্থি সাদা দলের শিক্ষকদেরও নাম রয়েছে। এ বিষয়ে অধিকতর যাচাই সাপেক্ষে পরবর্তীতে তথ্য তুলে ধরা হবে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, চিঠি প্রদানকারীদের মূল উদ্দেশ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট নির্বাচন বিলম্বিত করে বিশেষ ব্যক্তি স্বার্থসিদ্ধি করা। কেননা, শিক্ষকদের আদর্শিক প্ল্যাটফর্মের অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব নির্বাচনের অজুহাতে বিধিবদ্ধ ও অলংঘনীয় নির্বাচন বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ বা যৌক্তিকতা নেই।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ২০১ শিক্ষকের মধ্যে আছেন অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল মনছুর। সংগঠনের আহ্বায়কের বিবৃতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হলুদ দলের সদস্য করার দায়িত্ব তো তাদের। তারা তো নতুন করে সদস্য করেন নাই।’

আবুল মনছুর বলেন, ‘নির্বাচন এক সপ্তাহ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে করে ফেলতে পারে। এতে টাকা খরচের ব্যাপার ও জটিলতা নেই। সদস্যদের হালনাগাদ করেই নির্বাচন করে ফেলা যায়। কিন্তু সদিচ্ছার অভাবে তা করছে না।’

চবিতে হলুদ দলের নির্বাচন দিতে ২০১ শিক্ষকের চিঠি

প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন দিতে আহ্বায়কের কাছে চিঠি দিয়েছেন ২০১ শিক্ষক। মেয়াদোত্তীর্ণ এ কমিটি সাধারণ সদস্যদের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পাল্টা বক্তব্যে হলুদ দলের আহ্বায়কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চিঠিতে স্বাক্ষরকারী অনেকেই সংগঠনের সদস্য নন।

২০১ শিক্ষকের চিঠিতে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন স্ট্যান্ডিং কমিটি না আসা পর্যন্ত সব বিধিবদ্ধ পর্ষদের নির্বাচন আয়োজন না করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ৯ নভেম্বর চিঠিটি লেখা হয়। সম্প্রতি চিঠির একটি কপি সাংবাদিকদের হাতে আসে। এর আগে ১১ নভেম্বর চিঠিটি হাতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী। সোমবার দুপুরে বিবৃতির মাধ্যমে তিনি চিঠির জবাব দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ হলুদ দল হিসেবে পরিচিত। ২০১ শিক্ষকের চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল স্ট্যান্ডিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৭ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ছয়জন অবসর গ্রহণ, শিক্ষা ছুটি প্রভৃতি কারণে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এ ছাড়া, স্ট্যান্ডিং কমিটি সদস্যদের মতামতের প্রতিফল ঘটাতে ব্যর্থ হওয়ায় অনেক নিবেদিত সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে বাধ্য হয়েছেন। তারা জয়ী হওয়ায় স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতি সুস্পষ্ট অনাস্থার বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে।

এ বিষয়ে হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষে আহ্বায়ক সেকান্দর চৌধুরী লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে জবাব দিয়েছেন। সেখানে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ অনুযায়ী সিন্ডিকেটসহ সব বিধিবদ্ধ পর্ষদের মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচন বন্ধ করা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজকে বিভক্ত করার অভিপ্রায়ে চিঠিটি দেয়া হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিদের সরাসরি ইন্ধন আছে।

সেকান্দর চৌধুরীর লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, দলের সদস্য নন এমন প্রায় ৪০ জনসহ কতিপয় শিক্ষকের একটি চিঠি সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে। স্বাক্ষরকারীদের তালিকায় জামায়াত-বিএনপিপন্থি সাদা দলের শিক্ষকদেরও নাম রয়েছে। এ বিষয়ে অধিকতর যাচাই সাপেক্ষে পরবর্তীতে তথ্য তুলে ধরা হবে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, চিঠি প্রদানকারীদের মূল উদ্দেশ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট নির্বাচন বিলম্বিত করে বিশেষ ব্যক্তি স্বার্থসিদ্ধি করা। কেননা, শিক্ষকদের আদর্শিক প্ল্যাটফর্মের অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব নির্বাচনের অজুহাতে বিধিবদ্ধ ও অলংঘনীয় নির্বাচন বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ বা যৌক্তিকতা নেই।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ২০১ শিক্ষকের মধ্যে আছেন অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল মনছুর। সংগঠনের আহ্বায়কের বিবৃতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হলুদ দলের সদস্য করার দায়িত্ব তো তাদের। তারা তো নতুন করে সদস্য করেন নাই।’

আবুল মনছুর বলেন, ‘নির্বাচন এক সপ্তাহ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে করে ফেলতে পারে। এতে টাকা খরচের ব্যাপার ও জটিলতা নেই। সদস্যদের হালনাগাদ করেই নির্বাচন করে ফেলা যায়। কিন্তু সদিচ্ছার অভাবে তা করছে না।’