চবির সকল কর্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুশিয়ারি শিক্ষার্থীদের

নাজমুল ইসলাম রাবি

দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন আজকের মধ্যে ভিসি নিয়োগ না দেওয়া হলে আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার (১৭সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে মূলফটক বন্ধ করে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে তারা।

এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর ভিসি নিয়োগের জন্য দুই দিনের ও ১১ সেপ্টেম্বর একদিনের এবং ১২ সেপ্টেম্বর থেকে টানা আন্দলনের ঘোষনা দেয় শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা, ‘ঢাবি রাবি স্বর্গে, চবি কেন মর্গে’; ভিসি নিয়ে নয়-ছয় আর নয় আর নয়’; ‘ঢাবি রাবি সবাই পেল,চবি কেন পিছিয়ে গেল’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ বলেন, আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই কিন্তু আমাদের ভিসি না থাকার কারণে আমরা ক্লাসে যেতে পারছি না। আমরা গত আট তারিখ থেকে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু কর্তৃপক্ষের টনক নরছে না। ভিসি নিয়োগের নামে অনেক বিজ্ঞাপন খেলা হয়েছে এখন আমরা প্রজ্ঞাপন চাই। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন না দেওয়া হয় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্যক্রম বন্ধ করে দিব।

আরেক শিক্ষর্থী ফাতেমা বলেন, আমাদের প্রতিদিন কেন ভিসি নিয়োগের জন্য আন্দোলন করতে হবে? আমরা কি এখানে পড়ালেখা করার জন্য এসেছি নাকি আন্দোলনের জন্য এসেছি? আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম সায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়, তাহলে কেন আমাদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে? ঢাবি, রাবিতে ভিসি নিয়োগ হলেও চবিতে কেন হচ্ছে না? আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানাই তিনি যেন আমাদের জন্য অতি দ্রুত ভিসি নিয়োগ দেয়। যাতে আমরা আমাদের পড়াশোনায় আবার ফিরে যেতে পারি।

প্রসঙ্গত গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য, পর্যায়ক্রমে দুই উপউপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি, সকল আবাসিক হলের প্রাধ্যাক্ষরা, আবাসিক শিক্ষক, ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রেস প্রশাসক। এতে কার্যতই প্রশাসনশূন্য হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। স্থবির হয়ে আছে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।

ইবিহো/এসএস

চবির সকল কর্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুশিয়ারি শিক্ষার্থীদের

নাজমুল ইসলাম রাবি

দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন আজকের মধ্যে ভিসি নিয়োগ না দেওয়া হলে আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার (১৭সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে মূলফটক বন্ধ করে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে তারা।

এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর ভিসি নিয়োগের জন্য দুই দিনের ও ১১ সেপ্টেম্বর একদিনের এবং ১২ সেপ্টেম্বর থেকে টানা আন্দলনের ঘোষনা দেয় শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা, ‘ঢাবি রাবি স্বর্গে, চবি কেন মর্গে’; ভিসি নিয়ে নয়-ছয় আর নয় আর নয়’; ‘ঢাবি রাবি সবাই পেল,চবি কেন পিছিয়ে গেল’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ বলেন, আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই কিন্তু আমাদের ভিসি না থাকার কারণে আমরা ক্লাসে যেতে পারছি না। আমরা গত আট তারিখ থেকে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু কর্তৃপক্ষের টনক নরছে না। ভিসি নিয়োগের নামে অনেক বিজ্ঞাপন খেলা হয়েছে এখন আমরা প্রজ্ঞাপন চাই। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন না দেওয়া হয় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্যক্রম বন্ধ করে দিব।

আরেক শিক্ষর্থী ফাতেমা বলেন, আমাদের প্রতিদিন কেন ভিসি নিয়োগের জন্য আন্দোলন করতে হবে? আমরা কি এখানে পড়ালেখা করার জন্য এসেছি নাকি আন্দোলনের জন্য এসেছি? আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম সায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়, তাহলে কেন আমাদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে? ঢাবি, রাবিতে ভিসি নিয়োগ হলেও চবিতে কেন হচ্ছে না? আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানাই তিনি যেন আমাদের জন্য অতি দ্রুত ভিসি নিয়োগ দেয়। যাতে আমরা আমাদের পড়াশোনায় আবার ফিরে যেতে পারি।

প্রসঙ্গত গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য, পর্যায়ক্রমে দুই উপউপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি, সকল আবাসিক হলের প্রাধ্যাক্ষরা, আবাসিক শিক্ষক, ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রেস প্রশাসক। এতে কার্যতই প্রশাসনশূন্য হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। স্থবির হয়ে আছে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।

ইবিহো/এসএস