চবি শিক্ষক সমিতির চার নেতার একাডেমিক কাউন্সিল সভা বয়কট

রেফায়েত উল্যাহ রুপক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির চার নেতা একাডেমিক কাউন্সিল সভা বয়কট করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সিন্ডিকেটে দীর্ঘদিন ধরে একাডেমিক কাউন্সিল প্রতিনিধি নির্বাচন না দেওয়ায় একাডেমিক কাউন্সিলের সভা থেকে ওয়াকআউট করেছেন শিক্ষক সমিতির চার নেতা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্যের সভাকক্ষে শুরু হওয়া একাডেমিক কাউন্সিলের ২৪৪তম সভার মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই ওই চার শিক্ষক ওয়াকআউট করে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন।

ওয়াকআউট করা চার শিক্ষক হলেন; চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী , সহসভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক ও সদস্য অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা আঁখি।

মঙ্গলবার উপাচার্য বরাবর প্রেরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নথিভুক্ত করার অনুরোধ করেন তারা। চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন যাবৎ চবির সিন্ডিকেটে একাডেমিক কাউন্সিলের প্রতিনিধি নেই। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৪৩তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভার আগে আপনার এবং উপ-উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় শিক্ষক সমিতির অনুরোধ সত্ত্বেও ওই সভায় একাডেমিক কাউন্সিল টু সিন্ডিকেট নির্বাচন না দিয়ে, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলে একাডেমিক কাউন্সিল টু সিন্ডিকেট নির্বাচন দেওয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এ পর্যন্ত তা কার্যকর না হওয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ আমরা আজকের একাডেমিক কাউন্সিল সভা থেকে ওয়াকআউট করছি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিল থেকে নির্বাচিত একজন সদস্য সিন্ডিকেটে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এই পদে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে। তখন প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ। গত ১১ জানুয়ারি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করলে পদটি শূন্য হয়ে যায়।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক ‘শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন’কে বলেন, বছর খানেক সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলন ও দাবির পরও তিনটি ক্যাটাগরির নির্বাচন দিচ্ছে না। গত সভার আগে উপ-উপাচার্যের কাছে আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করলে তিনি বলেন এই সভায় এটি সম্ভব হচ্ছে না, স্বল্প সময়ের মধ্যে আরেকটি সভা ডেকে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তুু স্বল্প সময়ের ব্যবধানে তো সভা অনুষ্ঠিত হয়নি বরং ৫ মাস অতিবাহিত হলেও এই সভায়ও নির্বাচনের কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। আমরা উনাকে অনুরোধ করেছি নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য, তাঁরপরও উপাচার্য তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন, এবং বলেন তিনি নির্বাচন দিতে বাধ্য নয়। একারণেই আমরা ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত নেই।

এ ব্যাপারে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে কল ও ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

ইবিহো/এসএস

চবি শিক্ষক সমিতির চার নেতার একাডেমিক কাউন্সিল সভা বয়কট

রেফায়েত উল্যাহ রুপক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির চার নেতা একাডেমিক কাউন্সিল সভা বয়কট করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সিন্ডিকেটে দীর্ঘদিন ধরে একাডেমিক কাউন্সিল প্রতিনিধি নির্বাচন না দেওয়ায় একাডেমিক কাউন্সিলের সভা থেকে ওয়াকআউট করেছেন শিক্ষক সমিতির চার নেতা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্যের সভাকক্ষে শুরু হওয়া একাডেমিক কাউন্সিলের ২৪৪তম সভার মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই ওই চার শিক্ষক ওয়াকআউট করে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন।

ওয়াকআউট করা চার শিক্ষক হলেন; চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী , সহসভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক ও সদস্য অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা আঁখি।

মঙ্গলবার উপাচার্য বরাবর প্রেরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নথিভুক্ত করার অনুরোধ করেন তারা। চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন যাবৎ চবির সিন্ডিকেটে একাডেমিক কাউন্সিলের প্রতিনিধি নেই। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৪৩তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভার আগে আপনার এবং উপ-উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় শিক্ষক সমিতির অনুরোধ সত্ত্বেও ওই সভায় একাডেমিক কাউন্সিল টু সিন্ডিকেট নির্বাচন না দিয়ে, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলে একাডেমিক কাউন্সিল টু সিন্ডিকেট নির্বাচন দেওয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এ পর্যন্ত তা কার্যকর না হওয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ আমরা আজকের একাডেমিক কাউন্সিল সভা থেকে ওয়াকআউট করছি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিল থেকে নির্বাচিত একজন সদস্য সিন্ডিকেটে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এই পদে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে। তখন প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ। গত ১১ জানুয়ারি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করলে পদটি শূন্য হয়ে যায়।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক ‘শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন’কে বলেন, বছর খানেক সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলন ও দাবির পরও তিনটি ক্যাটাগরির নির্বাচন দিচ্ছে না। গত সভার আগে উপ-উপাচার্যের কাছে আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করলে তিনি বলেন এই সভায় এটি সম্ভব হচ্ছে না, স্বল্প সময়ের মধ্যে আরেকটি সভা ডেকে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তুু স্বল্প সময়ের ব্যবধানে তো সভা অনুষ্ঠিত হয়নি বরং ৫ মাস অতিবাহিত হলেও এই সভায়ও নির্বাচনের কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। আমরা উনাকে অনুরোধ করেছি নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য, তাঁরপরও উপাচার্য তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন, এবং বলেন তিনি নির্বাচন দিতে বাধ্য নয়। একারণেই আমরা ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত নেই।

এ ব্যাপারে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে কল ও ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

ইবিহো/এসএস