চাকরি-ঠিকাদারিতে ব্যস্ত নেতারা সংসার পেতেছেন অনেকেই

  • অর্ধযুগের পথে রাবি ছাত্রলীগের কমিটি

  • সবার শিক্ষাজীবন শেষ, পদপ্রত্যাশী ছাড়া ক্যাম্পাসে নেই কেউ

এনায়েত করিম, রাজশাহী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে উর্দু বিভাগে ভর্তি হন। স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করেন ২০১৬ সালে। সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্বদ্যিালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হলেও স্নাতক ডিগ্রি অর্জনে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রত্ব হারান (ড্রপ আউট)। ছাত্রত্ব না থাকলেও ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর তারাই রাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসেন। এক বছর মেয়াদি সেই কমিটি চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে পার করবে অর্ধযুগ।

শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকই নন, ২৫১ সদস্যের কমিটির প্রায় সবাই ছাত্রত্ব শেষ করে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। বর্তমানে ওই কমিটির ১৫ থেকে ২০ জন নেতা ক্যাম্পাসে সক্রিয় রাজনীতি করছেন। তবে তারাও কেবল পরবর্তী কমিটিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ অথবা ক্যাম্পাসে চাকরির আশায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ক্যাম্পাস ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর ২৫তম সম্মেলনের তিন দিন পর গোলাম কিবরিয়াকে সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকে সাধারণ সম্পাদক করে রাবি শাখা ছাত্রলীগের ১৩ সদস্যের আংশিক কমিটি গঠন হয়। প্রায় ছয় মাস পর ২০১৭ সালের ১৯ জুন ২৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

এই ছয় বছরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে দুবার পরিবর্তন এসেছে। শিগগিরই আবারও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটির ঘোষণা আসতে পারে। তবুও রাবি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন নেই। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে প্রায় সবাই চাকরি, ব্যবসা, ঠিকাদারিসহ নানা ব্যস্ততায় ছেড়েছেন ক্যাম্পাস। অধিকাংশ নেতাই বিয়ে করে পেতেছেন সংসার। আবার অনেকে গেছেন বিদেশে। কেউ কেউ এলাকার রাজনীতিতে যোগ দিয়ে হয়েছেন চেয়ারম্যান। রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজেও নওহাটা পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

সূত্র আরও জানায়, রাবি শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির ৬৩ জন সহ-সভাপতির মধ্যে বর্তমানে সক্রিয় রয়েছেন মাত্র চারজন। তারা হলেন— সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, কাজী আমিনুল হক লিংকন, জাকিরুল ইসলাম জ্যাক ও মেসবাহুল ইসলাম। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই ক্যাম্পাস ছেড়েছেন, সক্রিয় কেবল শাহিনুর সরকার ডন। সাংগঠনিক সম্পাদক ১০ জনের মধ্যে সক্রিয় আছেন মেহেদী হাসান মিশু, ইমতিয়াজ আহমেদ ও এনায়েত হক রাজু।

সক্রিয়দের মধ্যে আরও যারা আছেন উপধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম দুর্জয়, সহ-সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্ত, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এইচ এম তারেক রহমান ও কার্যনির্বাহী সদস্য আল মুক্তাদির তরঙ্গ। তবে ছয় বছর ধরে নেতৃত্বে থাকায় ছাত্রজীবন শেষ করেছেন সবাই। আবার কেউ কেউ স্নাতক পাস করতে না পেরে ছাত্রত্ব হারিয়েছেন (ড্রপ আউট) এবং অনেকে গোপনে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে নতুন নেতৃত্ব না আসায় প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাবি শাখা ছাত্রলীগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘শিক্ষাজীবন শেষে ক্যাম্পাস ছাড়লেও এক বছরের কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে না। অথচ এ সংগঠনের পেছনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। কর্মী পরিচয় নিয়েই ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাবির ২৬তম সম্মেলন চেয়ে পদপ্রত্যাশীরা স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে লবিং-তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নানা সময় কমিটির প্রতিশ্রুতি দিয়ে নেতা-কর্মীদের চাঙা করা হলেও পরে শুধু হতাশই হয়েছেন পদপ্রত্যাশীরা। এতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নানা গ্রুপ, উপ-গ্রুপ তৈরি হয়েছে। শৃঙ্খলা না থাকায় নেতা-কর্মীরা নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। শিক্ষক লাঞ্ছিত, শিক্ষার্থী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, সিট ও ভর্তি-বাণিজ্যসহ নেতিবাচক নানা কর্মকাণ্ডে উঠে আসছে ছাত্রলীগের নাম।

চলমান কমিটির উপধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম দূর্জয় বলেন, রাবির ২৬তম সম্মেলন চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন নেতা-কর্মীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে নানা সময় কমিটির গুঞ্জনও উঠেছে। তবুও কমিটি না হওয়ায় নেতা-কর্মীরা হতাশ। অনেক সিনিয়র নেতা-কর্মী ক্ষোভ ও অভিমান নিয়ে রাজনীতি থেকে সরে গেছেন।

রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘সম্মেলনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে জানানো হয়েছে। তারা যখনই বলবেন তখনই সম্মেলন করতে আমরা প্রস্তুত।’

একই সুরে কথা বলেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘জীবন-জীবিকার তাগিতে পড়াশোনা শেষ করে হয়তো অনেকেই ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। তবে নেতা-কর্মী একেবারেই যে নেই, তা না। হল কমিটির নেতা-কর্মীসহ সর্বশেষ বর্ধিত কমিটিতে ৬০-৬৫ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।’

গোলাম কিবরিয়াও বললেন, রাবি ছাত্রলীগের কমিটি দেয়ার বিষয়টি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটির মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের ওপর নির্ভর করছে।

এসব বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি খালিদ হাসান নয়ন বলেন, ‘যেকোনো সংগঠন চাঙা রাখার ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা জরুরি। তাই শিগগিরই রাবিতে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে।

চাকরি-ঠিকাদারিতে ব্যস্ত নেতারা সংসার পেতেছেন অনেকেই

  • অর্ধযুগের পথে রাবি ছাত্রলীগের কমিটি

  • সবার শিক্ষাজীবন শেষ, পদপ্রত্যাশী ছাড়া ক্যাম্পাসে নেই কেউ

এনায়েত করিম, রাজশাহী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে উর্দু বিভাগে ভর্তি হন। স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করেন ২০১৬ সালে। সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্বদ্যিালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হলেও স্নাতক ডিগ্রি অর্জনে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রত্ব হারান (ড্রপ আউট)। ছাত্রত্ব না থাকলেও ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর তারাই রাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসেন। এক বছর মেয়াদি সেই কমিটি চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে পার করবে অর্ধযুগ।

শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকই নন, ২৫১ সদস্যের কমিটির প্রায় সবাই ছাত্রত্ব শেষ করে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। বর্তমানে ওই কমিটির ১৫ থেকে ২০ জন নেতা ক্যাম্পাসে সক্রিয় রাজনীতি করছেন। তবে তারাও কেবল পরবর্তী কমিটিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ অথবা ক্যাম্পাসে চাকরির আশায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ক্যাম্পাস ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর ২৫তম সম্মেলনের তিন দিন পর গোলাম কিবরিয়াকে সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকে সাধারণ সম্পাদক করে রাবি শাখা ছাত্রলীগের ১৩ সদস্যের আংশিক কমিটি গঠন হয়। প্রায় ছয় মাস পর ২০১৭ সালের ১৯ জুন ২৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

এই ছয় বছরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে দুবার পরিবর্তন এসেছে। শিগগিরই আবারও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটির ঘোষণা আসতে পারে। তবুও রাবি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন নেই। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে প্রায় সবাই চাকরি, ব্যবসা, ঠিকাদারিসহ নানা ব্যস্ততায় ছেড়েছেন ক্যাম্পাস। অধিকাংশ নেতাই বিয়ে করে পেতেছেন সংসার। আবার অনেকে গেছেন বিদেশে। কেউ কেউ এলাকার রাজনীতিতে যোগ দিয়ে হয়েছেন চেয়ারম্যান। রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজেও নওহাটা পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

সূত্র আরও জানায়, রাবি শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির ৬৩ জন সহ-সভাপতির মধ্যে বর্তমানে সক্রিয় রয়েছেন মাত্র চারজন। তারা হলেন— সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, কাজী আমিনুল হক লিংকন, জাকিরুল ইসলাম জ্যাক ও মেসবাহুল ইসলাম। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই ক্যাম্পাস ছেড়েছেন, সক্রিয় কেবল শাহিনুর সরকার ডন। সাংগঠনিক সম্পাদক ১০ জনের মধ্যে সক্রিয় আছেন মেহেদী হাসান মিশু, ইমতিয়াজ আহমেদ ও এনায়েত হক রাজু।

সক্রিয়দের মধ্যে আরও যারা আছেন উপধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম দুর্জয়, সহ-সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্ত, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এইচ এম তারেক রহমান ও কার্যনির্বাহী সদস্য আল মুক্তাদির তরঙ্গ। তবে ছয় বছর ধরে নেতৃত্বে থাকায় ছাত্রজীবন শেষ করেছেন সবাই। আবার কেউ কেউ স্নাতক পাস করতে না পেরে ছাত্রত্ব হারিয়েছেন (ড্রপ আউট) এবং অনেকে গোপনে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে নতুন নেতৃত্ব না আসায় প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাবি শাখা ছাত্রলীগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘শিক্ষাজীবন শেষে ক্যাম্পাস ছাড়লেও এক বছরের কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে না। অথচ এ সংগঠনের পেছনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। কর্মী পরিচয় নিয়েই ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাবির ২৬তম সম্মেলন চেয়ে পদপ্রত্যাশীরা স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে লবিং-তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নানা সময় কমিটির প্রতিশ্রুতি দিয়ে নেতা-কর্মীদের চাঙা করা হলেও পরে শুধু হতাশই হয়েছেন পদপ্রত্যাশীরা। এতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নানা গ্রুপ, উপ-গ্রুপ তৈরি হয়েছে। শৃঙ্খলা না থাকায় নেতা-কর্মীরা নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। শিক্ষক লাঞ্ছিত, শিক্ষার্থী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, সিট ও ভর্তি-বাণিজ্যসহ নেতিবাচক নানা কর্মকাণ্ডে উঠে আসছে ছাত্রলীগের নাম।

চলমান কমিটির উপধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম দূর্জয় বলেন, রাবির ২৬তম সম্মেলন চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন নেতা-কর্মীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে নানা সময় কমিটির গুঞ্জনও উঠেছে। তবুও কমিটি না হওয়ায় নেতা-কর্মীরা হতাশ। অনেক সিনিয়র নেতা-কর্মী ক্ষোভ ও অভিমান নিয়ে রাজনীতি থেকে সরে গেছেন।

রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘সম্মেলনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে জানানো হয়েছে। তারা যখনই বলবেন তখনই সম্মেলন করতে আমরা প্রস্তুত।’

একই সুরে কথা বলেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘জীবন-জীবিকার তাগিতে পড়াশোনা শেষ করে হয়তো অনেকেই ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। তবে নেতা-কর্মী একেবারেই যে নেই, তা না। হল কমিটির নেতা-কর্মীসহ সর্বশেষ বর্ধিত কমিটিতে ৬০-৬৫ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।’

গোলাম কিবরিয়াও বললেন, রাবি ছাত্রলীগের কমিটি দেয়ার বিষয়টি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটির মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের ওপর নির্ভর করছে।

এসব বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি খালিদ হাসান নয়ন বলেন, ‘যেকোনো সংগঠন চাঙা রাখার ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা জরুরি। তাই শিগগিরই রাবিতে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে।