ছাত্র অধিকারের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০

আবরারের স্মরণসভা পণ্ড

ঢাবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বার্ষিকীতে আয়োজিত স্মরণসভা পণ্ড হয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শুক্রবার বিকালে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের ব্যানারে এর আয়োজন করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। এ স্মরণ সমাবেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। এ সময় তারা সমাবেশস্থলে থাকা চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করেন। পুড়িয়ে দেন ব্যানার-ফেস্টুনও। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেনসহ অন্তত ১৫ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানান পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। অন্যদিকে পুলিশ বলেছে, তারা ২০-২২ জনকে আটক করেছে। এদিকে এ ঘটনায় ছাত্র অধিকার পরিষদকে দায়ী করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ শুরুর পর পরই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এমএম মহিন উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন রহমান, উপদপ্তর সম্পাদক শিমুল খান, আব্দুর রাহিম, জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা, সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনসহ একদল নেতাকর্মী অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার কয়েকশ নেতাকর্মী এসে অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেন।

ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও পরিষদ নেতা আখতার হোসেন বলেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী স্মরণসভা শুরুর পর পরই প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতে আমাদের ওপর হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আহতদের ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। আমরা কোনো দলীয় ব্যানারে এ প্রোগ্রাম করিনি। আমরা প্রোগ্রাম করেছি আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের ব্যানারে। আমরা এ ন্যক্কারজনক হামলায় ধিক্কার জানাই।

এদিকে ঘটনার সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বলেন, তারা (ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা) ক্যাম্পাসে বহিরাগত, মৌলবাদীদের নিয়ে কর্মসূচি করেন। আমরা তাদের জিজ্ঞাসা করতে যাই, তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কি-না? এ সময় তারা কোনো কিছু না দেখিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিরোধ করেছেন।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বার্ষিকীতে বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে স্মরণসভা করা হয়। এ সময় হঠাৎ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আহত হন আমাদের ১০-১৫ জন। তাদের ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু হাসপাতালেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আমিসহ আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের আটকে রাখলে পুলিশ এসে আমাদের প্রায় ১০ জনকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন বলেন, আমরা টিএসসিতে একটি প্রোগ্রামে আসছিলাম। সেখানে দেখি বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে কর্মসূচি করছেন। আমরা তাদের জিজ্ঞেস করি তারা ক্যাম্পাসের কি-না? এ সময় তারা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে হামলা চালান। এতে আমিসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ যুগান্তরকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাসহ ২০-২২ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের থানায় নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়া জড়িত আরও কয়েকজনকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান শাহবাগ থানার ওসি।

ছাত্রদলের প্রতিবাদ : ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। শুক্রবার রাতে সংগঠনটির দপ্তর সেল থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়, স্মরণসভার আয়োজন আবরারের হত্যাকারীদের উত্তরসূরি ও আধিপত্যবাদের দোসরদের পছন্দ হয়নি। তাই বিনা উসকানিতে তারা হামলা চালিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে হামলা ও পরিষদের নেতাকর্মীদের আটকের নিন্দা জানানো হয়।

ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে ছাত্রলীগ-সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট : আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

হামলার নিন্দা জানিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। নেতারা বলেন, এই পাশবিক হামলার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ আবার প্রমাণ করল যে তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। প্রশাসনের অব্যাহত নির্লিপ্ততার কারণেই আজ ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।

ছাত্র অধিকারের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০

আবরারের স্মরণসভা পণ্ড

ঢাবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বার্ষিকীতে আয়োজিত স্মরণসভা পণ্ড হয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শুক্রবার বিকালে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের ব্যানারে এর আয়োজন করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। এ স্মরণ সমাবেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। এ সময় তারা সমাবেশস্থলে থাকা চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করেন। পুড়িয়ে দেন ব্যানার-ফেস্টুনও। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেনসহ অন্তত ১৫ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানান পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। অন্যদিকে পুলিশ বলেছে, তারা ২০-২২ জনকে আটক করেছে। এদিকে এ ঘটনায় ছাত্র অধিকার পরিষদকে দায়ী করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ শুরুর পর পরই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এমএম মহিন উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন রহমান, উপদপ্তর সম্পাদক শিমুল খান, আব্দুর রাহিম, জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা, সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনসহ একদল নেতাকর্মী অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার কয়েকশ নেতাকর্মী এসে অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেন।

ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও পরিষদ নেতা আখতার হোসেন বলেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী স্মরণসভা শুরুর পর পরই প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতে আমাদের ওপর হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আহতদের ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। আমরা কোনো দলীয় ব্যানারে এ প্রোগ্রাম করিনি। আমরা প্রোগ্রাম করেছি আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের ব্যানারে। আমরা এ ন্যক্কারজনক হামলায় ধিক্কার জানাই।

এদিকে ঘটনার সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বলেন, তারা (ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা) ক্যাম্পাসে বহিরাগত, মৌলবাদীদের নিয়ে কর্মসূচি করেন। আমরা তাদের জিজ্ঞাসা করতে যাই, তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কি-না? এ সময় তারা কোনো কিছু না দেখিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিরোধ করেছেন।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বার্ষিকীতে বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে স্মরণসভা করা হয়। এ সময় হঠাৎ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আহত হন আমাদের ১০-১৫ জন। তাদের ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু হাসপাতালেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আমিসহ আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের আটকে রাখলে পুলিশ এসে আমাদের প্রায় ১০ জনকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন বলেন, আমরা টিএসসিতে একটি প্রোগ্রামে আসছিলাম। সেখানে দেখি বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে কর্মসূচি করছেন। আমরা তাদের জিজ্ঞেস করি তারা ক্যাম্পাসের কি-না? এ সময় তারা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে হামলা চালান। এতে আমিসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ যুগান্তরকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাসহ ২০-২২ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের থানায় নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়া জড়িত আরও কয়েকজনকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান শাহবাগ থানার ওসি।

ছাত্রদলের প্রতিবাদ : ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। শুক্রবার রাতে সংগঠনটির দপ্তর সেল থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়, স্মরণসভার আয়োজন আবরারের হত্যাকারীদের উত্তরসূরি ও আধিপত্যবাদের দোসরদের পছন্দ হয়নি। তাই বিনা উসকানিতে তারা হামলা চালিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে হামলা ও পরিষদের নেতাকর্মীদের আটকের নিন্দা জানানো হয়।

ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে ছাত্রলীগ-সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট : আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

হামলার নিন্দা জানিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। নেতারা বলেন, এই পাশবিক হামলার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ আবার প্রমাণ করল যে তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। প্রশাসনের অব্যাহত নির্লিপ্ততার কারণেই আজ ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।