ছিনতাইকারীকে ধরিয়ে দিয়েও মোবাইল ফেরত পাননি হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী

 

জেলা প্রতিনিধি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক ছিনতাইকারীকে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে পুলিশে দেওয়ার এক সপ্তাহ পরও নিজের মোবাইলটি পাননি হাবিপ্রবির কাবির আব্দুল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী।

গত ১৫ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী টিউশনি শেষে ইজিবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন। ইজিবাইকে ভ্রমণরত তিনজন ছিনতাইকারী দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সামনে ইজিবাইকটি দাঁড় করিয়ে ভুক্তভোগীর পেটে ধারালো চাকু ধরে হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ছিনিয়ে নেয়।

ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে ধরে ফেলেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। পরে কয়েকজনের সহায়তায় ছিনতাইকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী কাবির আব্দুল্লাহ জানান, টিউশনি শেষে শহরের পিডিবি মোড় থেকে ক্যাম্পাসে আসছিলাম। ইজিবাইকে আগে থেকেই তিনজন থাকায় কোনো দ্বিধা ছাড়াই উঠে পড়ি। শিক্ষা বোর্ডের একটু দক্ষিণ পাশে ইজিবাইকটি হঠাৎ থেমে যায়। সেখানে থাকা একজন আমার হাতে থাকা ফোনটি কেড়ে নিয়ে পেটে ছুরি ধরে। এরপর আমার কাছে মোবাইলের পাসওয়ার্ড চাইলে সেটি না দিয়ে ইজিবাইক থেকে লাফ দেই। এসময় আমার পেটের কিছু অংশ কেটে যায়।

তিনি জানান, ইজিবাইক থেকে লাফিয়ে চিৎকার শুরু করি। দুই ছিনতাইকারী পালিয়ে গেলেও একজন পিছনে পড়ে যায়। পেছন থেকে দৌড়ে একজনকে ধরে ফেলি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় তাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসি। পরে সহকারী প্রক্টর ইয়াছিন প্রধান তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসার খায়রুল আলম জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ছিনতাইকারীকে ধরে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসার পর সহকারী প্রক্টরের তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আমি বাদী হয়ে একটি ডাকাতির মামলা কারি। পাশাপাশি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীও মোবাইল হারানোর জন্য একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

কোতোয়ালি থানার এস আই সালাউদ্দিন জানান, পুলিশের অনেক কাজের মধ্যে একটা হলো মোবাইল উদ্ধার। এটা একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। জিডির কপি আমার কাছে আসলে আমি ব্যবস্থা নিতে পারবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ জানান, কাবির আব্দুল্লাহর মোবাইল উদ্ধারের বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে বলেছেন।

আরএইচ/জেআইএম

ছিনতাইকারীকে ধরিয়ে দিয়েও মোবাইল ফেরত পাননি হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী

 

জেলা প্রতিনিধি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক ছিনতাইকারীকে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে পুলিশে দেওয়ার এক সপ্তাহ পরও নিজের মোবাইলটি পাননি হাবিপ্রবির কাবির আব্দুল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী।

গত ১৫ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী টিউশনি শেষে ইজিবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন। ইজিবাইকে ভ্রমণরত তিনজন ছিনতাইকারী দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সামনে ইজিবাইকটি দাঁড় করিয়ে ভুক্তভোগীর পেটে ধারালো চাকু ধরে হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ছিনিয়ে নেয়।

ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে ধরে ফেলেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। পরে কয়েকজনের সহায়তায় ছিনতাইকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী কাবির আব্দুল্লাহ জানান, টিউশনি শেষে শহরের পিডিবি মোড় থেকে ক্যাম্পাসে আসছিলাম। ইজিবাইকে আগে থেকেই তিনজন থাকায় কোনো দ্বিধা ছাড়াই উঠে পড়ি। শিক্ষা বোর্ডের একটু দক্ষিণ পাশে ইজিবাইকটি হঠাৎ থেমে যায়। সেখানে থাকা একজন আমার হাতে থাকা ফোনটি কেড়ে নিয়ে পেটে ছুরি ধরে। এরপর আমার কাছে মোবাইলের পাসওয়ার্ড চাইলে সেটি না দিয়ে ইজিবাইক থেকে লাফ দেই। এসময় আমার পেটের কিছু অংশ কেটে যায়।

তিনি জানান, ইজিবাইক থেকে লাফিয়ে চিৎকার শুরু করি। দুই ছিনতাইকারী পালিয়ে গেলেও একজন পিছনে পড়ে যায়। পেছন থেকে দৌড়ে একজনকে ধরে ফেলি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় তাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসি। পরে সহকারী প্রক্টর ইয়াছিন প্রধান তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসার খায়রুল আলম জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ছিনতাইকারীকে ধরে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসার পর সহকারী প্রক্টরের তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আমি বাদী হয়ে একটি ডাকাতির মামলা কারি। পাশাপাশি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীও মোবাইল হারানোর জন্য একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

কোতোয়ালি থানার এস আই সালাউদ্দিন জানান, পুলিশের অনেক কাজের মধ্যে একটা হলো মোবাইল উদ্ধার। এটা একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। জিডির কপি আমার কাছে আসলে আমি ব্যবস্থা নিতে পারবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ জানান, কাবির আব্দুল্লাহর মোবাইল উদ্ধারের বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে বলেছেন।

আরএইচ/জেআইএম