ছয় বছরের মধ্যে ৪৫তম বিসিএসে সবচেয়ে কম আবেদন

৪৫তম বিসিএসে মোট আবেদন করেছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার প্রার্থী। মডেল: বৃষ্টিছবি: খালেদ সরকার।

গত ছয় বছরে আটটি বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এর মধ্যে ৩৯তম ও ৪২তম ছিল বিশেষ বিসিএস। শুধু চিকিৎসক নেওয়া হয়েছিল। বাকিগুলো সাধারণ বিসিএস। সেগুলো হলো—৩৮তম বিসিএস, ৪০তম বিসিএস, ৪১তম বিসিএস, ৪৩তম বিসিএস, ৪৪তম বিসিএস ও ৪৫তম বিসিএস।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনফাইল ছবি

পিএসসি সূত্রে জানা যায়, ৩৮তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন প্রার্থী। ৪০তম বিসিএসে ৪ লাখ ১২ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ৪১তম বিসিএসে রেকর্ডসংখ্যক ৪ লাখ ৭৫ হাজার প্রার্থীর আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। ৪৩তম বিসিএসে আবেদন জমা পড়ে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০টি। ৪৪তম বিসিএসে মোট আবেদন করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন।

আবেদনকারীর সংখ্যা থেকে দেখা যায়, সবশেষ ছয়টি সাধারণ বিসিএসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল ৪১তম বিসিএসে। আবেদনের হিসাবে ৪৩তম বিসিএস দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থায় আছে। ব্রুনাই, বাহামা, আইসল্যান্ড, বার্বাডোজ, সেন্ট লুসিয়া, গ্রানাডাসহ কয়েকটি দেশের জনসংখ্যাও এত নয়, যতজন ৪৩তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা হাফিজুর রহমান নামের একজন চাকরিপ্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, আগে যাঁদের প্রস্তুতি ছিল না, তাঁরাও আবেদন করতেন। তাই প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হতো। এখন যাঁরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নেন, শুধু তাঁরাই আবেদন করেন। তাই আবেদনকারীর সংখ্যা কম দেখে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে বিসিএসের প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের আগ্রহ কমেছে।

৪৫তম বিসিএসে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এবারই প্রথমবারের মতো ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। আবেদনের সময় ক্যাডার পদে যেমন পছন্দ নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়, তেমনই নন-ক্যাডার পদেও পছন্দের তালিকা নির্দিষ্ট করার সুযোগ পান প্রার্থীরা। তবে নন-ক্যাডার পদে আবেদন করতে গিয়ে কিছু সমস্যায় পড়েন প্রার্থীরা।

আবেদনকারী প্রার্থীদের সমস্যা নিয়ে প্রথম আলোতে ‘৪৫তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে আবেদনে সমস্যা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপর ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের কয়েকটি কোড সংশোধন করে পিএসসি। ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে কিছু পদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয় কোড এবং লিখিত পরীক্ষার পদ–সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কোড নম্বর পরিবর্তন করা হয়।

পিএসসির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবার বিসিএসে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়। আবেদনের জন্য প্রায় এক মাসের বেশি সময় পেতেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু এবার আবেদনের সময় ছিল ২০ দিন। এ জন্য হয়তো আবেদনকারীর সংখ্যা কম হতে পারে। এ ছাড়া কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলমান। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলে তাঁরাও আবেদন করতে পারতেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এ ছাড়া পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪, প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে।

ছয় বছরের মধ্যে ৪৫তম বিসিএসে সবচেয়ে কম আবেদন

৪৫তম বিসিএসে মোট আবেদন করেছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার প্রার্থী। মডেল: বৃষ্টিছবি: খালেদ সরকার।

গত ছয় বছরে আটটি বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এর মধ্যে ৩৯তম ও ৪২তম ছিল বিশেষ বিসিএস। শুধু চিকিৎসক নেওয়া হয়েছিল। বাকিগুলো সাধারণ বিসিএস। সেগুলো হলো—৩৮তম বিসিএস, ৪০তম বিসিএস, ৪১তম বিসিএস, ৪৩তম বিসিএস, ৪৪তম বিসিএস ও ৪৫তম বিসিএস।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনফাইল ছবি

পিএসসি সূত্রে জানা যায়, ৩৮তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন প্রার্থী। ৪০তম বিসিএসে ৪ লাখ ১২ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ৪১তম বিসিএসে রেকর্ডসংখ্যক ৪ লাখ ৭৫ হাজার প্রার্থীর আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। ৪৩তম বিসিএসে আবেদন জমা পড়ে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০টি। ৪৪তম বিসিএসে মোট আবেদন করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন।

আবেদনকারীর সংখ্যা থেকে দেখা যায়, সবশেষ ছয়টি সাধারণ বিসিএসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল ৪১তম বিসিএসে। আবেদনের হিসাবে ৪৩তম বিসিএস দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থায় আছে। ব্রুনাই, বাহামা, আইসল্যান্ড, বার্বাডোজ, সেন্ট লুসিয়া, গ্রানাডাসহ কয়েকটি দেশের জনসংখ্যাও এত নয়, যতজন ৪৩তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা হাফিজুর রহমান নামের একজন চাকরিপ্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, আগে যাঁদের প্রস্তুতি ছিল না, তাঁরাও আবেদন করতেন। তাই প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হতো। এখন যাঁরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নেন, শুধু তাঁরাই আবেদন করেন। তাই আবেদনকারীর সংখ্যা কম দেখে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে বিসিএসের প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের আগ্রহ কমেছে।

৪৫তম বিসিএসে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এবারই প্রথমবারের মতো ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। আবেদনের সময় ক্যাডার পদে যেমন পছন্দ নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়, তেমনই নন-ক্যাডার পদেও পছন্দের তালিকা নির্দিষ্ট করার সুযোগ পান প্রার্থীরা। তবে নন-ক্যাডার পদে আবেদন করতে গিয়ে কিছু সমস্যায় পড়েন প্রার্থীরা।

আবেদনকারী প্রার্থীদের সমস্যা নিয়ে প্রথম আলোতে ‘৪৫তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে আবেদনে সমস্যা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপর ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের কয়েকটি কোড সংশোধন করে পিএসসি। ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে কিছু পদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয় কোড এবং লিখিত পরীক্ষার পদ–সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কোড নম্বর পরিবর্তন করা হয়।

পিএসসির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবার বিসিএসে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়। আবেদনের জন্য প্রায় এক মাসের বেশি সময় পেতেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু এবার আবেদনের সময় ছিল ২০ দিন। এ জন্য হয়তো আবেদনকারীর সংখ্যা কম হতে পারে। এ ছাড়া কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলমান। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলে তাঁরাও আবেদন করতে পারতেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এ ছাড়া পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪, প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে।