জাবিতে বিভাগীয় আপত্তি সত্ত্বেও নতুন শিক্ষক নিয়োগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।ছবি : সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে অস্থায়ী প্রভাষক পদে নতুন দুইজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকমাস যাবত এই নিয়োগকে অপ্রয়োজনীয় বলে বন্ধ করার দাবি জানিয়ে এসেছে বিভাগের শিক্ষকরা।

তবে শিক্ষকদের এই দাবি উপেক্ষা করে রবিবার (০৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় এ নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা। পাশাপাশি নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা অনুপযোগী বলেও অভিযোগ তাদের। সোমবার উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা এ নিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকরা বলেন, ‘বিভাগে নতুন যে দুই শিক্ষক নেওয়া হয়েছে, সেই পদে চারজন শিক্ষক রয়েছেন; যা যথেষ্ট। তবে অন্য ‘ব্রাঞ্চে’ শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে। দরকারী পদে শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে, যে পদে প্রয়োজন নেই সেই পদেই নিয়োগ দেওয়া হলো। বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নূহু আলম তড়িঘড়ি করে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। এতে করে বিভিন্ন বিষয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।’

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের একাডেমিক সভাতেও এই নিয়োগ বন্ধের ব্যাপারে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত হয়। তারপরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সঙ্গে দেখা করে নিয়োগ বন্ধের দাবি করেন শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ছালেহ আহাম্মদ খান জানান, ‘যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে একজনের উচ্চতর ডিগ্রী নেই এবং অন্যজন তার স্নাতকোত্তরে থিথিস করেননি। এ নিয়োগের ফলে বিভাগের উপকার নয় বরং কোর্স বণ্টনে আরো অসুবিধার সৃষ্টি হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুসারে বিভাগের সবচেয়ে মেধাবী তথা প্রথম কিংবা দ্বিতীয় হওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। একইসাথে যারা গবেষণায় ভালো করছে তাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কাজেই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে বিতর্কিত কোন বিষয় থাকার সুযোগ নেই।’

জাবিতে বিভাগীয় আপত্তি সত্ত্বেও নতুন শিক্ষক নিয়োগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।ছবি : সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে অস্থায়ী প্রভাষক পদে নতুন দুইজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকমাস যাবত এই নিয়োগকে অপ্রয়োজনীয় বলে বন্ধ করার দাবি জানিয়ে এসেছে বিভাগের শিক্ষকরা।

তবে শিক্ষকদের এই দাবি উপেক্ষা করে রবিবার (০৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় এ নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা। পাশাপাশি নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা অনুপযোগী বলেও অভিযোগ তাদের। সোমবার উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা এ নিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকরা বলেন, ‘বিভাগে নতুন যে দুই শিক্ষক নেওয়া হয়েছে, সেই পদে চারজন শিক্ষক রয়েছেন; যা যথেষ্ট। তবে অন্য ‘ব্রাঞ্চে’ শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে। দরকারী পদে শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে, যে পদে প্রয়োজন নেই সেই পদেই নিয়োগ দেওয়া হলো। বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নূহু আলম তড়িঘড়ি করে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। এতে করে বিভিন্ন বিষয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।’

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের একাডেমিক সভাতেও এই নিয়োগ বন্ধের ব্যাপারে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত হয়। তারপরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সঙ্গে দেখা করে নিয়োগ বন্ধের দাবি করেন শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ছালেহ আহাম্মদ খান জানান, ‘যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে একজনের উচ্চতর ডিগ্রী নেই এবং অন্যজন তার স্নাতকোত্তরে থিথিস করেননি। এ নিয়োগের ফলে বিভাগের উপকার নয় বরং কোর্স বণ্টনে আরো অসুবিধার সৃষ্টি হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুসারে বিভাগের সবচেয়ে মেধাবী তথা প্রথম কিংবা দ্বিতীয় হওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। একইসাথে যারা গবেষণায় ভালো করছে তাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কাজেই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে বিতর্কিত কোন বিষয় থাকার সুযোগ নেই।’