জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

শিক্ষা, গবেষণা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য কীর্তি জাতিকে পথ দেখাচ্ছে: উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম
শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেছেন, শিক্ষা ও গবেষণায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে খ্যাতি অর্জন করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন।

বিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবে আর্ন্তজাতিক তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঋদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালের এ দিনে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা সূচিত হয়েছিল, সে লক্ষ্য পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রসরমান। শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি দেশ এবং জাতির কল্যাণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অতুলনীয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য কীর্তি স্থাপন করে এ বিশ্ববিদ্যালয় জাতিকে পথ দেখাচ্ছে। সকাল দশটায় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরে রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) রহিমা কানিজের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য সমবেত সকলকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় উপাচার্য ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহিদদের প্রতি এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে হত্যাকান্ডে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহিদদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম জাতীয় পতাকা এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন। উদ্বোধনী মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, হল প্রভোস্টগণ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়।

এরপর সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের আয়োজনে চাকরি মেলা, বৃক্ষ রোপণ, বিকেলে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ পুতুল নাট্য গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিবেশনায় পুতুল নাট্য, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শিল্পী শফি মন্ডল বাউল গান পরিবেশন করেন।

১৯৭০-১৯৭১ শিক্ষাবর্ষে ৪ জানুয়ারি অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান-এই চারটি বিভাগে ভর্তিকৃত (প্রথম ব্যাচে) ১৫০জন ছাত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ছিলেন ড. সুরত আলী। বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক ড. মফিজ উদ্দিন আহমদ প্রথম উপাচার্য হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এমবিএইচ/এসএস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

শিক্ষা, গবেষণা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য কীর্তি জাতিকে পথ দেখাচ্ছে: উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম
শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেছেন, শিক্ষা ও গবেষণায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে খ্যাতি অর্জন করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন।

বিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবে আর্ন্তজাতিক তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঋদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালের এ দিনে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা সূচিত হয়েছিল, সে লক্ষ্য পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রসরমান। শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি দেশ এবং জাতির কল্যাণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অতুলনীয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য কীর্তি স্থাপন করে এ বিশ্ববিদ্যালয় জাতিকে পথ দেখাচ্ছে। সকাল দশটায় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরে রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) রহিমা কানিজের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য সমবেত সকলকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় উপাচার্য ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহিদদের প্রতি এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে হত্যাকান্ডে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহিদদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম জাতীয় পতাকা এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন। উদ্বোধনী মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, হল প্রভোস্টগণ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়।

এরপর সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের আয়োজনে চাকরি মেলা, বৃক্ষ রোপণ, বিকেলে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ পুতুল নাট্য গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিবেশনায় পুতুল নাট্য, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শিল্পী শফি মন্ডল বাউল গান পরিবেশন করেন।

১৯৭০-১৯৭১ শিক্ষাবর্ষে ৪ জানুয়ারি অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান-এই চারটি বিভাগে ভর্তিকৃত (প্রথম ব্যাচে) ১৫০জন ছাত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ছিলেন ড. সুরত আলী। বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক ড. মফিজ উদ্দিন আহমদ প্রথম উপাচার্য হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এমবিএইচ/এসএস