ডিআইইউর ক্যান্টিনে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

মো. মনির

ক্যান্টিন।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মশা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আবাসিক হল, শ্রেণিকক্ষ এমনকি ক্যান্টিনে এসেও যেন নিস্তার নেই। ক্যাম্পাসের চারপাশ অপরিষ্কার থাকার কারণে গত বছরগুলোর তুলনায় ডিআইইউতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশার ভয়াবহ উৎপাতে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের চারপাশে রয়েছে ফুলগাছ এবং ঝোপঝাড়। মাঠ থেকে শুরু করে ক্লাস রুম ওয়াশরুম ক্যান্টিনসহ মশার যন্ত্রণায় ক্যাম্পাসের কোথাও টিকতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। টানা ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা দুদন্ড বিশ্রাম নিতে ক্যান্টিনে এসেও নিস্তার পাচ্ছে না মশার কামড় থেকে। এতে করে ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। ক্যান্টিনের পাশে ফুলের বাগান, টবে জমে থাকা পানি, ড্রেন, ক্যান্টিনের উচ্ছিষ্ট ময়লা থেকে ঘটে মশার সূত্রপাত, এর পিছনে রয়েছে ক্যান্টিনের অসচেতনতা, মশা বংশবিস্তারের জন্য বেছে নেয় বদ্ধ পানি, জমে থাকা পানি বৃষ্টির পানি, ড্রেন, প্লাস্টিকে জমে থাকা পানি ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, গোদরোগসহ ইত্যাদি রোগ ছড়ায়।এসব রোগে আক্রান্ত হলে তীব্র জ্বর, সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যথা এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের রেশ দেখা দেয়। বিগত বছরগুলোতে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়াশোনা থেকে অনেকাংশে পিছিয়ে পড়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হওয়াটা যেমন কষ্টকর তেমনি মৃত্যু ঝুঁকিপূর্ণ।

ক্যান্টিনে বিশ্রাম নিতে আসা শিক্ষার্থী রবিন বলেন, মশার উৎপাতে ক্যান্টিনে কোথাও আমরা শান্তিতে বসতে পারিনা। ক্যান্টিনের আশেপাশে মশা প্রজননের জায়গাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখায় মশার উৎপাত নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ক্যান্টিনের চারপাশে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ভনভন করে। এমনকি বিকেলের লাইব্রেরীতে গ্রুপ স্টাডি এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারছিনা মশার কামড়ে।

এদিকে আবাসিক হলে শিক্ষার্থীরা বলেন, পড়তে বসলে মশার কামড়ে পড়তে পারি না। মশার অত্যাচারে বিরক্ত লাগে এবং পড়াশোনায় অনীহা সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, মশা নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।আগে শুধু রাতেই মশার উৎপাত ছিল কিন্তু এখন দিনের বেলাতেও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জনজীবন। মশা বেড়ে যাওয়ায় ফগিং মেশিন দিয়ে মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে৷ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি হলে শিক্ষার্থীদেরই ভোগান্তি।

শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়মিত অন্তত সকাল বিকাল করে হলেও কিটনাশক স্প্রে দিতে হবে৷ একইসাথে তৃণমূল থেকে মশার লার্ভা নষ্ট করতে হবে।আমরা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে মশার উৎপাত নিয়ন্ত্রণে কোনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গণেশ চন্দ্র সাহাকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি

এমবিএইচ/এসএস

ডিআইইউর ক্যান্টিনে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

মো. মনির

ক্যান্টিন।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মশা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আবাসিক হল, শ্রেণিকক্ষ এমনকি ক্যান্টিনে এসেও যেন নিস্তার নেই। ক্যাম্পাসের চারপাশ অপরিষ্কার থাকার কারণে গত বছরগুলোর তুলনায় ডিআইইউতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশার ভয়াবহ উৎপাতে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের চারপাশে রয়েছে ফুলগাছ এবং ঝোপঝাড়। মাঠ থেকে শুরু করে ক্লাস রুম ওয়াশরুম ক্যান্টিনসহ মশার যন্ত্রণায় ক্যাম্পাসের কোথাও টিকতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। টানা ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা দুদন্ড বিশ্রাম নিতে ক্যান্টিনে এসেও নিস্তার পাচ্ছে না মশার কামড় থেকে। এতে করে ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। ক্যান্টিনের পাশে ফুলের বাগান, টবে জমে থাকা পানি, ড্রেন, ক্যান্টিনের উচ্ছিষ্ট ময়লা থেকে ঘটে মশার সূত্রপাত, এর পিছনে রয়েছে ক্যান্টিনের অসচেতনতা, মশা বংশবিস্তারের জন্য বেছে নেয় বদ্ধ পানি, জমে থাকা পানি বৃষ্টির পানি, ড্রেন, প্লাস্টিকে জমে থাকা পানি ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, গোদরোগসহ ইত্যাদি রোগ ছড়ায়।এসব রোগে আক্রান্ত হলে তীব্র জ্বর, সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যথা এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের রেশ দেখা দেয়। বিগত বছরগুলোতে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়াশোনা থেকে অনেকাংশে পিছিয়ে পড়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হওয়াটা যেমন কষ্টকর তেমনি মৃত্যু ঝুঁকিপূর্ণ।

ক্যান্টিনে বিশ্রাম নিতে আসা শিক্ষার্থী রবিন বলেন, মশার উৎপাতে ক্যান্টিনে কোথাও আমরা শান্তিতে বসতে পারিনা। ক্যান্টিনের আশেপাশে মশা প্রজননের জায়গাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখায় মশার উৎপাত নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ক্যান্টিনের চারপাশে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ভনভন করে। এমনকি বিকেলের লাইব্রেরীতে গ্রুপ স্টাডি এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারছিনা মশার কামড়ে।

এদিকে আবাসিক হলে শিক্ষার্থীরা বলেন, পড়তে বসলে মশার কামড়ে পড়তে পারি না। মশার অত্যাচারে বিরক্ত লাগে এবং পড়াশোনায় অনীহা সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, মশা নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।আগে শুধু রাতেই মশার উৎপাত ছিল কিন্তু এখন দিনের বেলাতেও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জনজীবন। মশা বেড়ে যাওয়ায় ফগিং মেশিন দিয়ে মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে৷ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি হলে শিক্ষার্থীদেরই ভোগান্তি।

শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়মিত অন্তত সকাল বিকাল করে হলেও কিটনাশক স্প্রে দিতে হবে৷ একইসাথে তৃণমূল থেকে মশার লার্ভা নষ্ট করতে হবে।আমরা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে মশার উৎপাত নিয়ন্ত্রণে কোনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গণেশ চন্দ্র সাহাকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি

এমবিএইচ/এসএস