ঢাবি প্রক্টরের বিরুদ্ধে অধ্যাপকের ব্যক্তিগত নথি ‘তল্লাশি’র অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী (বাঁয়ে) ও অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান (ডানে)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খানের ব্যক্তিগত নথি ‘তল্লাশি’র অভিযোগ উঠেছে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন অধ্যাপক তানজীম। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রক্টর গোলাম রব্বানী।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে সোমবার দুপুরে তানজীমউদ্দিনসহ কয়েকজন শিক্ষক ঢাবির প্রক্টরের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে একটি স্মারকলিপি দেন।

এরপরই বিভাগীয় কার্যালয়ে ‘তল্লাশি’, ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে যাওয়া ও স্থায়ী ঠিকানায় পুলিশ দিয়ে খোঁজ নেওয়ার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এই অধ্যাপকের।

উপাচার্যকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন উল্লেখ করেন, ‘গত ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর নিরাপত্তাসহ আবাসিক হলগুলোকে শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীবান্ধব করে তোলার দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য আমিসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে আরও তিনজন শিক্ষকসহ আপনার (উপাচার্য) অফিসে গিয়েছিলাম। আপনি আমাদের স্মারকলিপিও সাদরে গ্রহণ করেছেন এবং খোলা মনে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’

‘দুঃখজনক হলো, সেদিন বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ প্রক্টর অফিস থেকে দুজন কর্মচারী আমার বিভাগের অফিসে যান। তারা প্রক্টরের কথা জানিয়ে বিভাগের অফিস কর্মকর্তার কাছে স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানাসহ ব্যক্তিগত কিছু তথ্যের খোঁজ করেন। গতকাল (১৮ অক্টোবর) অফিস কর্মকর্তা জানান, প্রক্টর অফিসের দুইজন আমার পারসোনাল ফাইলের খোঁজ করেছিলেন।’

অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রক্টরের এ রকম কোনো অধিকার নেই উল্লেখ করে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান লেখেন, ‘আমার যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে সুরক্ষিত থাকার কথা। কোনো তথ্য দরকার হলে রেজিষ্ট্রার অফিসই যথেষ্ট নয় কি? কোন ক্ষমতাবলে প্রক্টর একজন শিক্ষকের ব্যক্তিগত তথ্যের খোঁজ এভাবে নিতে চান? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ, যা প্রক্টর অফিসের ওয়েবসাইটে বর্ণিত আছে, সেই অনুযায়ী, শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রক্টরের এ রকম কোনো অধিকার কিংবা এখতিয়ার নেই।’

‘কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে আমার সঙ্গে সহজেই সরাসরি বা রেজিষ্ট্রার অফিসে যোগাযোগ করা যেত। কিন্তু অত্যন্ত অশিক্ষকসুলভভাবে এবং অন্য কোনো দুরভিসন্ধি নিয়ে এ রকম অগ্রহণযোগ্য কাজটি করা হলো প্রক্টর অফিস থেকে। ঘটনা এখানেই থেমে থাকলেও হতো। ঘটনার দিনই রাত পৌনে সাতটায় আমার স্থায়ী ঠিকানায় একজন পুলিশের এসআই গিয়ে উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে তিনি জানান, ভেরিফিকেশনের জন্য এসেছেন। আমি খবর পেয়ে ফোনে কথা বললে, তিনি জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের একটা তালিকা করা হচ্ছে।’

‘সবকিছু মিলিয়ে উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান, আত্মমর্যাদা ও স্বকীয়তা বলতে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট কিছু আছে কি না জানিনা। প্রক্টর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এখন যা বলছেন, তা কতটুকু সঠিক, সেটা কিন্তু শ্রোতা বা পাঠক সমাজ সহজেই অনুধাবন করতে পারে। উদ্ভট এই কাণ্ডের মধ্য দিয়ে অন্তত তিনটি কাজ তিনি করেছেন। প্রথমত তিনি এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে শিক্ষকের তথ্যের জন্য কর্মচারী পাঠিয়েছেন, দ্বিতীয়ত ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা ভঙ্গ এবং তৃতীয়ত মানসিক হয়রানি করেছেন।’

নিন্দা জানিয়ে এই অধ্যাপক লেখেন, ‘ক্ষণস্থায়ী ক্ষমতার দাপটে কোনো সহকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করাই যায় বিভিন্ন উপায়ে। তবে একটি সত্য আমাদের অনুধাবন করা জরুরি— সমাজের কাছে এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে হেয়প্রতিপন্ন হলে শিক্ষক হিসেবে আমাদের কারোর মান-মর্যাদা রক্ষিত হয় না। এতে কে সহমত শিক্ষক বা কে ভিন্ন মতের শিক্ষক, তাতে কী আসে যায়? প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বর্তমানের শিক্ষক হিসেবে এটা অন্তত জেনে গেছি, কোনো অভিযোগ, তদন্তের দাবি বা প্রতিবাদ করে এসব সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ বা দুরভিসন্ধির সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড কখনো বন্ধ হয় না। তাই এসব কিছুর প্রতিক্রিয়ায় অন্তত নিন্দা জানাতে চাই, প্রক্টরের এরকম আত্মমর্যাদাবিহীন এবং অশিক্ষকসুলভ কর্মকাণ্ডের।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘প্রক্টরের এমন কর্মকাণ্ড একজন শিক্ষক হিসেবে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আজ দুপুর দেড়টার দিকে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি তা নিয়েছেন এবং আমার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন যে, এভাবে তথ্য নেওয়া ঠিক হয়নি, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো গবেষণা-প্রকাশনা মেলা হচ্ছে। এটি খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। কিন্তু আমি এতে অংশ নেব না। সেখান থেকে আমি আমার সব কাগজপত্র নিয়ে এসেছি। প্রক্টরের এমন আচরণের জন্য এ মেলায় আমার কোনো কিছু আমি রাখব না। যেখানে আমার বাক স্বাধীনতা নেই, চিন্তার স্বাধীনতা নেই সেখানে আমার প্রকাশনা রাখার প্রশ্ন উঠে না।’

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘তিনি যা লিখেছেন, তার একটি কথাও সত্য নয়। তিনি মিথ্যার আশ্রয়ে বাকসন্ত্রাস করছেন। তার উচিত নিজ বিভাগের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সত্য ঘটনা জেনে তারপর এসব লেখা। সত্য লেখার জন্য তাকে আমি আপনাদের মাধ্যমে পরামর্শ দিচ্ছি।’

ঢাবি প্রক্টরের বিরুদ্ধে অধ্যাপকের ব্যক্তিগত নথি ‘তল্লাশি’র অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী (বাঁয়ে) ও অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান (ডানে)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খানের ব্যক্তিগত নথি ‘তল্লাশি’র অভিযোগ উঠেছে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন অধ্যাপক তানজীম। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রক্টর গোলাম রব্বানী।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে সোমবার দুপুরে তানজীমউদ্দিনসহ কয়েকজন শিক্ষক ঢাবির প্রক্টরের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে একটি স্মারকলিপি দেন।

এরপরই বিভাগীয় কার্যালয়ে ‘তল্লাশি’, ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে যাওয়া ও স্থায়ী ঠিকানায় পুলিশ দিয়ে খোঁজ নেওয়ার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এই অধ্যাপকের।

উপাচার্যকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন উল্লেখ করেন, ‘গত ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর নিরাপত্তাসহ আবাসিক হলগুলোকে শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীবান্ধব করে তোলার দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য আমিসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে আরও তিনজন শিক্ষকসহ আপনার (উপাচার্য) অফিসে গিয়েছিলাম। আপনি আমাদের স্মারকলিপিও সাদরে গ্রহণ করেছেন এবং খোলা মনে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’

‘দুঃখজনক হলো, সেদিন বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ প্রক্টর অফিস থেকে দুজন কর্মচারী আমার বিভাগের অফিসে যান। তারা প্রক্টরের কথা জানিয়ে বিভাগের অফিস কর্মকর্তার কাছে স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানাসহ ব্যক্তিগত কিছু তথ্যের খোঁজ করেন। গতকাল (১৮ অক্টোবর) অফিস কর্মকর্তা জানান, প্রক্টর অফিসের দুইজন আমার পারসোনাল ফাইলের খোঁজ করেছিলেন।’

অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রক্টরের এ রকম কোনো অধিকার নেই উল্লেখ করে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান লেখেন, ‘আমার যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে সুরক্ষিত থাকার কথা। কোনো তথ্য দরকার হলে রেজিষ্ট্রার অফিসই যথেষ্ট নয় কি? কোন ক্ষমতাবলে প্রক্টর একজন শিক্ষকের ব্যক্তিগত তথ্যের খোঁজ এভাবে নিতে চান? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ, যা প্রক্টর অফিসের ওয়েবসাইটে বর্ণিত আছে, সেই অনুযায়ী, শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রক্টরের এ রকম কোনো অধিকার কিংবা এখতিয়ার নেই।’

‘কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে আমার সঙ্গে সহজেই সরাসরি বা রেজিষ্ট্রার অফিসে যোগাযোগ করা যেত। কিন্তু অত্যন্ত অশিক্ষকসুলভভাবে এবং অন্য কোনো দুরভিসন্ধি নিয়ে এ রকম অগ্রহণযোগ্য কাজটি করা হলো প্রক্টর অফিস থেকে। ঘটনা এখানেই থেমে থাকলেও হতো। ঘটনার দিনই রাত পৌনে সাতটায় আমার স্থায়ী ঠিকানায় একজন পুলিশের এসআই গিয়ে উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে তিনি জানান, ভেরিফিকেশনের জন্য এসেছেন। আমি খবর পেয়ে ফোনে কথা বললে, তিনি জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের একটা তালিকা করা হচ্ছে।’

‘সবকিছু মিলিয়ে উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান, আত্মমর্যাদা ও স্বকীয়তা বলতে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট কিছু আছে কি না জানিনা। প্রক্টর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এখন যা বলছেন, তা কতটুকু সঠিক, সেটা কিন্তু শ্রোতা বা পাঠক সমাজ সহজেই অনুধাবন করতে পারে। উদ্ভট এই কাণ্ডের মধ্য দিয়ে অন্তত তিনটি কাজ তিনি করেছেন। প্রথমত তিনি এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে শিক্ষকের তথ্যের জন্য কর্মচারী পাঠিয়েছেন, দ্বিতীয়ত ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা ভঙ্গ এবং তৃতীয়ত মানসিক হয়রানি করেছেন।’

নিন্দা জানিয়ে এই অধ্যাপক লেখেন, ‘ক্ষণস্থায়ী ক্ষমতার দাপটে কোনো সহকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করাই যায় বিভিন্ন উপায়ে। তবে একটি সত্য আমাদের অনুধাবন করা জরুরি— সমাজের কাছে এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে হেয়প্রতিপন্ন হলে শিক্ষক হিসেবে আমাদের কারোর মান-মর্যাদা রক্ষিত হয় না। এতে কে সহমত শিক্ষক বা কে ভিন্ন মতের শিক্ষক, তাতে কী আসে যায়? প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বর্তমানের শিক্ষক হিসেবে এটা অন্তত জেনে গেছি, কোনো অভিযোগ, তদন্তের দাবি বা প্রতিবাদ করে এসব সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ বা দুরভিসন্ধির সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড কখনো বন্ধ হয় না। তাই এসব কিছুর প্রতিক্রিয়ায় অন্তত নিন্দা জানাতে চাই, প্রক্টরের এরকম আত্মমর্যাদাবিহীন এবং অশিক্ষকসুলভ কর্মকাণ্ডের।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘প্রক্টরের এমন কর্মকাণ্ড একজন শিক্ষক হিসেবে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আজ দুপুর দেড়টার দিকে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি তা নিয়েছেন এবং আমার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন যে, এভাবে তথ্য নেওয়া ঠিক হয়নি, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো গবেষণা-প্রকাশনা মেলা হচ্ছে। এটি খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। কিন্তু আমি এতে অংশ নেব না। সেখান থেকে আমি আমার সব কাগজপত্র নিয়ে এসেছি। প্রক্টরের এমন আচরণের জন্য এ মেলায় আমার কোনো কিছু আমি রাখব না। যেখানে আমার বাক স্বাধীনতা নেই, চিন্তার স্বাধীনতা নেই সেখানে আমার প্রকাশনা রাখার প্রশ্ন উঠে না।’

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘তিনি যা লিখেছেন, তার একটি কথাও সত্য নয়। তিনি মিথ্যার আশ্রয়ে বাকসন্ত্রাস করছেন। তার উচিত নিজ বিভাগের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সত্য ঘটনা জেনে তারপর এসব লেখা। সত্য লেখার জন্য তাকে আমি আপনাদের মাধ্যমে পরামর্শ দিচ্ছি।’