তাঁরা শিক্ষার্থী, তাঁরা উদ্যোক্তা

রেফায়েত উল্যাহ রুপক

মো. ইমাম হোসাইন (বামে), জুবাইয়া সুলতানা জেরিন (ছবি নেই), মাহফুজুর রহমান (নিচে বামে) এবং নিজাম উদ্দিন ফরশ (নিচে ডানে)

বিশ্ববিদ্যালয় নানাবিধ জ্ঞানে নিজেকে সমৃদ্ধ করার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। এখানে রয়েছে বৈচিত্র্যময়তা আর তীব্র প্রতিযোগিতার মাঝে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ। তাই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি, কর্মক্ষেত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন শিক্ষার্থীরা। আবার অনেকে নিজেই বনে যান উদ্যোক্তায়। এমনই চারজন উদ্যমী তরুণ-তরুণীর উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প তুলে ধরেছেন রেফায়েত উল্যাহ রুপক।

স্বাবলম্বী হওয়ার চিন্তা থেকেই ব্যবসা শুরু করেছি: মো. ইমাম হোসাইন, শিক্ষার্থী, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পড়াশোনার পাশাপাশি আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী হওয়ার চিন্তা থেকে আমি আর আমার আরও দুই বন্ধু মিলে ফুড কুইন শুরু করি। ক্যাম্পাসে এখন ফুড কুইন সবাই একনামে চিনে। রাতে স্টেশনে প্রচুর বিক্রি হয়। বলা যায়, ফুড কুইন দিয়ে আমরা স্বাবলম্বী। আগামীতে আমাদের চিন্তা আছে, এটা আরও ব্যাপক পরিসরে করার।

আমি মনে করি পড়াশোনার পাশাপাশি যেকোন একটা কাজ করতে পারলে নিজের চলার মতো টাকা যেমন পাওয়া যায়, তেমনি কর্মসংস্থান করাও সম্ভব। যেকেউ ইচ্ছা করলেই একজন উদ্যোক্তা হয়ে সাফল্য পেতে পারে।

শখের বসেই শুরু করা: মাহফুজুর রহমান, শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আমি মাহফুজ। পড়ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। আসলে শখের বসেই আম নিয়ে কাজ করা শুরু, এরপর এত ব্যাপক পরিমাণে সাড়া পাচ্ছি, ভাবলাম পড়াশোনার পাশাপাশি এটা করা যায়। এবছর প্রচুর আম বিক্রয় করেছি, আরও অনেক অর্ডার আসছে। ইতিমধ্যে আমি নিজে বাগান থেকে কেমিক্যাল ও কার্বাইড মুক্ত আম সংগ্রহ করে ডেলিভারি দিয়েছি। হিমসাগর, গোপালভোগ প্রায় ২০-২৫ মন বিক্রয় করেছি। সামনে আরও বেশি বিক্রয় হবে আশা করছি।

বর্তমানে মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে ভুগছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা কেমিক্যাল মিশিয়ে খাদ্য বিষাক্ত করছে। তাই আমাদের মতো সচেতন শিক্ষার্থীরা এসব ব্যবসায় আসলে মানুষ উপকৃত হবে। আর এর মাধ্যমে আত্ম-কর্মসংস্থানের পাশাপাশি নিজেও স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আরও ব্যাপক আকারে কাজ করার ইচ্ছা আছে। আশা করি, আমার মতো শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করেও সফল উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে।

লকডাউনের বন্দিদশায় মনে হলো কিছু করি: জুবাইয়া সুলতানা জেরিন, শিক্ষার্থী, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

আমি জুবাইয়া জেরিন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি মনোবিজ্ঞান নিয়ে। আসলে আমার রেজিনের কাজ শুরু করা লকডাউনের শেষের দিকে। প্রথমে প্রায় দু’মাসের মতো এটা নিয়ে কাজ করি, পরে ২১ সালের জুন-জুলাইয়ের দিকে মূলত পেইজে পোস্ট দেওয়া স্টার্ট করেছিলাম। রেজিন দিয়ে যেভাবে ফুলসহ নানাকিছু প্রিজার্ভ করা যায়, নিজের পছন্দমতো এত্তকিছু বানানো যায়, এই ব্যাপারগুলো দেখেই রেজিন নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা জাগে। যাঁরা ভিন্ন কিছু বানাতে পছন্দ করে, তাদের ক্রিয়েটিভিটি শো করার জন্যে বেস্ট একটা কাজ হতে পারে রেজিন ক্রাফট।পার্টটাইম যে কাজগুলো আছে তার মধ্যে রেজিন ক্রাফট অন্যতম। এতে যেহেতু অন্যের অধীনে কাজ করতে হয়না তাই নিজের সুবিধামতো সময় দেওয়া যায়।

রেজিনের কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দেখতে কাঁচের মতো,  হাত থেকে পড়ে গেলেও ভাঙ্গার চান্স কম থাকে, যেগুলোর কারণে সবাই খুব সহজেই এর প্রতি আকৃষ্ট হয়। বিশেষ করে ফুল, পাতা, শামুক ,দাঁত,  আম্বিলিক্যাল কর্ড, পাখির পালক, চুল, চকলেট র‍্যাপার এইসব প্রিজার্ভ করার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে। এছাড়াও বিভিন্ন থিমে গয়না, ফটোফ্রেম, পেপার ওয়েট বানানো, নাম দিয়ে বুকমার্ক, কিচেইন বানানো এগুলোই বেশি করা হয়।

রেজিনের প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে সবকিছুই হাতে করতে হয়, ফলে পড়াশোনার পাশাপাশি বড় আকারে এই কাজ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আমাদের দেশে বর্তমানে রেজিনের মাধ্যমে ইন্টেরিয়রের কাজ করা হয়, ঘড়ি, টি-টেবলও বানানো হয়। এইসব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব। আমি মনে করি পড়াশোনার পাশাপাশি রেজিন ক্রাফটের কাজ করে ভালো কিছু করা সম্ভব।

ফুটবলের প্রতি ঝোঁক থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার ভাবনা: মো. নিজাম উদ্দিন ফরশ, শিক্ষার্থী, ফিশারিজ ডিপার্টমেন্ট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

আমি ফরশ, পড়াশোনা করছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের ৪র্থ বর্ষে। পাশাপাশি কাজ করছি ফুটবল টিশার্ট, জার্সি কাপড় নিয়ে।উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছে অনেক আগে থেকেই ছিলো।বিগত মৌসুমগুলো তে বাংলাদেশে, বিশেষ করে তরুনদের মাঝে ফুটবলের প্রতি একটা বিশেষ ঝোঁক তৈরি হয়েছে। সেই সাথে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে জার্সি গায়ে দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।বর্তমানে জার্সির চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার এই টিশার্ট, জার্সি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ পায়।বিগত ১ বছর ধরে আমি এই ব্যবসায় জড়িত আছি।

ছাত্র বয়সে পার্ট টাইম ইনকাম আসলেই অনেক বড় উপাদেয় জিনিস।এটার মাধ্যমে সবার মাঝে একটা পরিশ্রমিক মনোভাব তৈরি হয়। নিজের খরচ চালানোর পাশাপাশি নিজের শখ আহ্লাদ ও পূরণ করা যায়।পার্ট টাইম কাজের মধ্যে অনেকগুলো কাজ আছে-টিউশন,ব্যবসা,অফিস ওয়ার্ক ইত্যাদি। শৌখিন কাজ হিসেবে আমার কাছে ব্যবসা কেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছিলো।যার জন্য এই পথে আসা। ভবিষ্যতে আমার এই কাজ অন্যান্যদের ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস আছে। ব্যবসা নিয়ে আপাতত চিন্তা হচ্ছে শুধু মাত্র এর প্রসার ঘটানো,অনলাইন এবং অফলাইনে। ভবিষ্যতে হয়তো এর জন্য আরো বড় পরিসরে কিছু করার চিন্তা আছে আমার মাঝে।আপাতত আমার ব্যবসার যে পরিচিতি তা সবার সামনে তুলে ধরাটাই প্রধান লক্ষ্য।

আমার ব্যবসার প্রধান উপাদান হচ্ছে ফুটবল খেলার সব ধরনের জার্সি নিয়ে।আর সে অনুসারে পেইজের নাম দেওয়া হয়েছে জার্সিবাজার।ফেইসবুকে জার্সিবাজার নামে পেইজ এবং গ্রুপ এভেইলএবল আছে।আপাতত ফেইসবুকে এর প্রচার করছি।ওয়েবসাইট খোলার সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে এর অগ্রগতি দেখে চিন্তা করবো। সেসকল শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমার মত হতে চান সবার জন্য শুভ কামনা রইল।

লেখা: বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

তাঁরা শিক্ষার্থী, তাঁরা উদ্যোক্তা

রেফায়েত উল্যাহ রুপক

মো. ইমাম হোসাইন (বামে), জুবাইয়া সুলতানা জেরিন (ছবি নেই), মাহফুজুর রহমান (নিচে বামে) এবং নিজাম উদ্দিন ফরশ (নিচে ডানে)

বিশ্ববিদ্যালয় নানাবিধ জ্ঞানে নিজেকে সমৃদ্ধ করার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। এখানে রয়েছে বৈচিত্র্যময়তা আর তীব্র প্রতিযোগিতার মাঝে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ। তাই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি, কর্মক্ষেত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন শিক্ষার্থীরা। আবার অনেকে নিজেই বনে যান উদ্যোক্তায়। এমনই চারজন উদ্যমী তরুণ-তরুণীর উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প তুলে ধরেছেন রেফায়েত উল্যাহ রুপক।

স্বাবলম্বী হওয়ার চিন্তা থেকেই ব্যবসা শুরু করেছি: মো. ইমাম হোসাইন, শিক্ষার্থী, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পড়াশোনার পাশাপাশি আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী হওয়ার চিন্তা থেকে আমি আর আমার আরও দুই বন্ধু মিলে ফুড কুইন শুরু করি। ক্যাম্পাসে এখন ফুড কুইন সবাই একনামে চিনে। রাতে স্টেশনে প্রচুর বিক্রি হয়। বলা যায়, ফুড কুইন দিয়ে আমরা স্বাবলম্বী। আগামীতে আমাদের চিন্তা আছে, এটা আরও ব্যাপক পরিসরে করার।

আমি মনে করি পড়াশোনার পাশাপাশি যেকোন একটা কাজ করতে পারলে নিজের চলার মতো টাকা যেমন পাওয়া যায়, তেমনি কর্মসংস্থান করাও সম্ভব। যেকেউ ইচ্ছা করলেই একজন উদ্যোক্তা হয়ে সাফল্য পেতে পারে।

শখের বসেই শুরু করা: মাহফুজুর রহমান, শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আমি মাহফুজ। পড়ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। আসলে শখের বসেই আম নিয়ে কাজ করা শুরু, এরপর এত ব্যাপক পরিমাণে সাড়া পাচ্ছি, ভাবলাম পড়াশোনার পাশাপাশি এটা করা যায়। এবছর প্রচুর আম বিক্রয় করেছি, আরও অনেক অর্ডার আসছে। ইতিমধ্যে আমি নিজে বাগান থেকে কেমিক্যাল ও কার্বাইড মুক্ত আম সংগ্রহ করে ডেলিভারি দিয়েছি। হিমসাগর, গোপালভোগ প্রায় ২০-২৫ মন বিক্রয় করেছি। সামনে আরও বেশি বিক্রয় হবে আশা করছি।

বর্তমানে মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে ভুগছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা কেমিক্যাল মিশিয়ে খাদ্য বিষাক্ত করছে। তাই আমাদের মতো সচেতন শিক্ষার্থীরা এসব ব্যবসায় আসলে মানুষ উপকৃত হবে। আর এর মাধ্যমে আত্ম-কর্মসংস্থানের পাশাপাশি নিজেও স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আরও ব্যাপক আকারে কাজ করার ইচ্ছা আছে। আশা করি, আমার মতো শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করেও সফল উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে।

লকডাউনের বন্দিদশায় মনে হলো কিছু করি: জুবাইয়া সুলতানা জেরিন, শিক্ষার্থী, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

আমি জুবাইয়া জেরিন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি মনোবিজ্ঞান নিয়ে। আসলে আমার রেজিনের কাজ শুরু করা লকডাউনের শেষের দিকে। প্রথমে প্রায় দু’মাসের মতো এটা নিয়ে কাজ করি, পরে ২১ সালের জুন-জুলাইয়ের দিকে মূলত পেইজে পোস্ট দেওয়া স্টার্ট করেছিলাম। রেজিন দিয়ে যেভাবে ফুলসহ নানাকিছু প্রিজার্ভ করা যায়, নিজের পছন্দমতো এত্তকিছু বানানো যায়, এই ব্যাপারগুলো দেখেই রেজিন নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা জাগে। যাঁরা ভিন্ন কিছু বানাতে পছন্দ করে, তাদের ক্রিয়েটিভিটি শো করার জন্যে বেস্ট একটা কাজ হতে পারে রেজিন ক্রাফট।পার্টটাইম যে কাজগুলো আছে তার মধ্যে রেজিন ক্রাফট অন্যতম। এতে যেহেতু অন্যের অধীনে কাজ করতে হয়না তাই নিজের সুবিধামতো সময় দেওয়া যায়।

রেজিনের কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দেখতে কাঁচের মতো,  হাত থেকে পড়ে গেলেও ভাঙ্গার চান্স কম থাকে, যেগুলোর কারণে সবাই খুব সহজেই এর প্রতি আকৃষ্ট হয়। বিশেষ করে ফুল, পাতা, শামুক ,দাঁত,  আম্বিলিক্যাল কর্ড, পাখির পালক, চুল, চকলেট র‍্যাপার এইসব প্রিজার্ভ করার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে। এছাড়াও বিভিন্ন থিমে গয়না, ফটোফ্রেম, পেপার ওয়েট বানানো, নাম দিয়ে বুকমার্ক, কিচেইন বানানো এগুলোই বেশি করা হয়।

রেজিনের প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে সবকিছুই হাতে করতে হয়, ফলে পড়াশোনার পাশাপাশি বড় আকারে এই কাজ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আমাদের দেশে বর্তমানে রেজিনের মাধ্যমে ইন্টেরিয়রের কাজ করা হয়, ঘড়ি, টি-টেবলও বানানো হয়। এইসব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব। আমি মনে করি পড়াশোনার পাশাপাশি রেজিন ক্রাফটের কাজ করে ভালো কিছু করা সম্ভব।

ফুটবলের প্রতি ঝোঁক থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার ভাবনা: মো. নিজাম উদ্দিন ফরশ, শিক্ষার্থী, ফিশারিজ ডিপার্টমেন্ট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

আমি ফরশ, পড়াশোনা করছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের ৪র্থ বর্ষে। পাশাপাশি কাজ করছি ফুটবল টিশার্ট, জার্সি কাপড় নিয়ে।উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছে অনেক আগে থেকেই ছিলো।বিগত মৌসুমগুলো তে বাংলাদেশে, বিশেষ করে তরুনদের মাঝে ফুটবলের প্রতি একটা বিশেষ ঝোঁক তৈরি হয়েছে। সেই সাথে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে জার্সি গায়ে দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।বর্তমানে জার্সির চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার এই টিশার্ট, জার্সি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ পায়।বিগত ১ বছর ধরে আমি এই ব্যবসায় জড়িত আছি।

ছাত্র বয়সে পার্ট টাইম ইনকাম আসলেই অনেক বড় উপাদেয় জিনিস।এটার মাধ্যমে সবার মাঝে একটা পরিশ্রমিক মনোভাব তৈরি হয়। নিজের খরচ চালানোর পাশাপাশি নিজের শখ আহ্লাদ ও পূরণ করা যায়।পার্ট টাইম কাজের মধ্যে অনেকগুলো কাজ আছে-টিউশন,ব্যবসা,অফিস ওয়ার্ক ইত্যাদি। শৌখিন কাজ হিসেবে আমার কাছে ব্যবসা কেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছিলো।যার জন্য এই পথে আসা। ভবিষ্যতে আমার এই কাজ অন্যান্যদের ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস আছে। ব্যবসা নিয়ে আপাতত চিন্তা হচ্ছে শুধু মাত্র এর প্রসার ঘটানো,অনলাইন এবং অফলাইনে। ভবিষ্যতে হয়তো এর জন্য আরো বড় পরিসরে কিছু করার চিন্তা আছে আমার মাঝে।আপাতত আমার ব্যবসার যে পরিচিতি তা সবার সামনে তুলে ধরাটাই প্রধান লক্ষ্য।

আমার ব্যবসার প্রধান উপাদান হচ্ছে ফুটবল খেলার সব ধরনের জার্সি নিয়ে।আর সে অনুসারে পেইজের নাম দেওয়া হয়েছে জার্সিবাজার।ফেইসবুকে জার্সিবাজার নামে পেইজ এবং গ্রুপ এভেইলএবল আছে।আপাতত ফেইসবুকে এর প্রচার করছি।ওয়েবসাইট খোলার সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে এর অগ্রগতি দেখে চিন্তা করবো। সেসকল শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমার মত হতে চান সবার জন্য শুভ কামনা রইল।

লেখা: বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।