তীব্র দাবদাহে অনলাইনে ক্লাস চায় ইবি শিক্ষার্থীরা

ফরহাদ খাদেম

ঈদের ছুটি শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একাডেমিক কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হয়েছে। সারাদেশে বইছে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপ প্রবাহ। সূর্যের প্রখর তাপ ও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যেই কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ পরিস্থিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছেন।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মনির বলেন, আমরা চাই এই গরমে ক্যাম্পাস পুরোপুরি বন্ধ না রেখে অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হোক। এমনিতেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগেই সেশনজট। যদি এই সময় ক্যাম্পাস বন্ধ রাখা হয়, তাহলে সেশনজট অনেকটাই বেড়ে যাবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত গরমে ক্যাম্পাস বন্ধ না রেখে অনলাইনে ক্লাস চালু রাখা।

আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে চলমান উষ্ণতায় জনজীবন অতিষ্ঠ। প্রচন্ড খরতাপে বাইরে বের হওয়া দুষ্কর। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিৎ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, তীব্র দাবদাহে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমাদের ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ গাছপালা থাকার কারনে গরম তুলনামূলক কম। তাই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করে ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, চলমান তাপদাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সাতদিন দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

ইবিহো/এসএস

তীব্র দাবদাহে অনলাইনে ক্লাস চায় ইবি শিক্ষার্থীরা

ফরহাদ খাদেম

ঈদের ছুটি শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একাডেমিক কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হয়েছে। সারাদেশে বইছে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপ প্রবাহ। সূর্যের প্রখর তাপ ও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যেই কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ পরিস্থিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছেন।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মনির বলেন, আমরা চাই এই গরমে ক্যাম্পাস পুরোপুরি বন্ধ না রেখে অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হোক। এমনিতেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগেই সেশনজট। যদি এই সময় ক্যাম্পাস বন্ধ রাখা হয়, তাহলে সেশনজট অনেকটাই বেড়ে যাবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত গরমে ক্যাম্পাস বন্ধ না রেখে অনলাইনে ক্লাস চালু রাখা।

আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে চলমান উষ্ণতায় জনজীবন অতিষ্ঠ। প্রচন্ড খরতাপে বাইরে বের হওয়া দুষ্কর। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিৎ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, তীব্র দাবদাহে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমাদের ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ গাছপালা থাকার কারনে গরম তুলনামূলক কম। তাই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করে ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, চলমান তাপদাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সাতদিন দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

ইবিহো/এসএস