দর্শন বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার

মো. আশিকুর রহমান

দর্শন হলো সমাজের দর্পণ। প্রত্যেকটা জাতি তার নিজস্ব চিন্তাচেতনা, মনন, আদর্শ, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এর মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে জাতির সভ্যতা, বিকশিত হয় বুদ্ধিবৃত্তিক প্রখরতা এবং এর ফলে অত্যাবশকীয়ভাবে সামাজিক পরিবর্তন হয়। এভাবেই জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যমে গড়ে ওঠে যেকোনো জাতির দর্শনচিন্তা।

জগৎ, জীবন, মানুষের সমাজ, তার মনন, চেতনা এবং জ্ঞানের প্রক্রিয়া নিয়ে যে শাস্ত্র আলোচনা করে তাকেই দর্শন শাস্ত্র বলা হয়। দর্শনে নন্দনতত্ত্ব, মনস্তত্ত্ব, রূপক, নৈতিকতা, যুক্তি এবং জ্ঞানের গভীর বিষয়াবলি চর্চা করা হয়। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন যাত্রা শুরু করে তখন কলা অনুষদের অধীনে ১০টি বিভাগের অন্যতম ছিল দর্শন বিভাগ।

পড়ার যোগ্যতা
যদিও এটা কলা অনুষদের অধীত বিষয়, তবুও মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান শাখায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা দর্শন বিভাগে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্যতা ও মেধাক্রম অনুযায়ী দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে থাকেন।

কোথায় কোথায় ভর্তি হওয়া যায়
উন্নত বিশ্বের প্রাচীন বিষয় হিসেবে দর্শন শাস্ত্রের অনেক মূল্য ও চাহিদা রয়েছে। তবে সাম্প্রতিককালে দর্শন শাস্ত্রের নতুন নতুন সংযোজন ঘটেছে যেমন—বিজ্ঞানের দর্শন, পরিবেশ দর্শন, অর্থনীতির দর্শন, নারীবাদী দর্শন, প্রযুক্তির দর্শন, ব্যবসায় নীতিবিদ্যা, চিকিৎসা নীতিবিদ্যা ও প্রশাসনিক নীতিবিদ্যা—এসব বিষয়ে বিশ্ববাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং এসব বিষয় দর্শনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন পড়ানো হয়।

তাপসী রাবেয়া

 

কী কী পড়ানো হয়
দর্শন বিভাগের একজন শিক্ষার্থী দর্শন শাস্ত্রের উৎপত্তি, প্রাচীন দর্শন ও দর্শনের যাবতীয় বিষয় ছাড়াও যুক্তিবিদ্যা, ইংরেজি ভাষা, নীতিবিদ্যা, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান, রাষ্ট্রদর্শন, প্রতীকী যুক্তিবিদ্যা, নৃবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান, সমাজদর্শন, মনোদর্শন, শিক্ষাদর্শন, বাঙালির দর্শন, ধর্মদর্শন, বিজ্ঞানের দর্শন, প্রায়োগিক দর্শন, পরিবেশদর্শন, আইনের দর্শন, ব্যবসায় নীতিবিদ্যা, প্রযুক্তির দর্শন—এসব বিষয়ে পড়ে থাকে। দর্শন শুধু আমাদের ব্যবহারিক জীবনকে প্রভাবিত করে না; বরং একই সঙ্গে একটি মানুষের চারপাশের পরিবেশ এবং পরিবেশের সঙ্গে মানুষের গভীরতম সম্পর্ক, দৈহিক ও মানসিক সুস্থতা, জীবনের উৎপত্তি, পরিণতি, মূল্য ইত্যাদি বিষয়েও প্রভাব বিস্তার করে। আর দর্শন এসব বিষয়ে পাঠদানের মাধ্যমে আমাদের সত্য, সুন্দর ও মঙ্গলের দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে।

দর্শনের প্রয়োজনীয়তা
দর্শন একটি প্রয়োজনীয়, অভিজাত ও সমৃদ্ধ শাস্ত্র। ২০০২ সাল থেকে ইউনেসকো প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহের বৃহস্পতিবারকে বিশ্ব দর্শন দিবস হিসেবে উদ্‌যাপন করার ঘোষণা দিয়েছে। যার উদ্দেশ্য হলো—দর্শনকে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পরিচিতি, প্রয়োজনীয় ও জনপ্রিয় করে তোলা, যাতে দর্শনের চেতনা বিশ্বব্যাপী মানুষের মাঝে পরস্পর সম্প্রীতি, পরমতসহিষ্ণুতা, নৈতিক মূল্যবোধ তথা বিশ্বভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি করা। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, চিকিৎসা, শিক্ষা, অর্থনীতি, ব্যবসায়—প্রভৃতি সামাজিক প্রতিষ্ঠান ব্যবহারিক ক্ষেত্রে আজ আমাদের যা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, দর্শন তা পূরণ করতে সক্ষম। তাই দর্শনের সঠিক চর্চা ও পরম ছোঁয়ায় আমাদের প্রতিষ্ঠান তথা গোটা সমাজ হয়ে উঠবে মানবতার বাস্তব পুণ্যভূমি।

চাকরির সুযোগ কেমন
দর্শন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করার পর বর্তমানে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বিসিএস, ব্যাংক, সাংবাদিকতা, গবেষণা, সশস্ত্রবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, সম্পাদনা ও করপোরেট সেক্টরকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়। তা ছাড়া ভালো ফলাফল অর্জন করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার সুযোগ রয়েছে। যেহেতু প্রায় অধিকাংশ কলেজে যুক্তিবিদ্যা পড়ানো হয় এবং অনার্স ও ডিগ্রিতে দর্শন পড়ানো হয়, তাই সরকারি কলেজগুলোর পাশাপাশি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে বেসরকারি কলেজগুলোয় শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে।

উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
দর্শন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার অনেক সুযোগ রয়েছে। প্রতিবছর পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দর্শনের ওপর প্রচুর স্কলারশিপ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা কলেজপর্যায়ে এসে প্রথম দর্শনশাস্ত্রের সঙ্গে পরিচিত হয়। তখন অবশ্য তারা দর্শনের অংশ হিসেবে যুক্তিবিদ্যা পড়ে থাকে। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ পায়। ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের দর্শন পড়ানো হয়। বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এসব পর্যায়ে ভর্তির জন্য আকর্ষণীয় স্কলারশিপের ব্যবস্থাও রয়েছে।

তাপসী রাবেয়া, প্রভাষক, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান

দর্শন বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার

মো. আশিকুর রহমান

দর্শন হলো সমাজের দর্পণ। প্রত্যেকটা জাতি তার নিজস্ব চিন্তাচেতনা, মনন, আদর্শ, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এর মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে জাতির সভ্যতা, বিকশিত হয় বুদ্ধিবৃত্তিক প্রখরতা এবং এর ফলে অত্যাবশকীয়ভাবে সামাজিক পরিবর্তন হয়। এভাবেই জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যমে গড়ে ওঠে যেকোনো জাতির দর্শনচিন্তা।

জগৎ, জীবন, মানুষের সমাজ, তার মনন, চেতনা এবং জ্ঞানের প্রক্রিয়া নিয়ে যে শাস্ত্র আলোচনা করে তাকেই দর্শন শাস্ত্র বলা হয়। দর্শনে নন্দনতত্ত্ব, মনস্তত্ত্ব, রূপক, নৈতিকতা, যুক্তি এবং জ্ঞানের গভীর বিষয়াবলি চর্চা করা হয়। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন যাত্রা শুরু করে তখন কলা অনুষদের অধীনে ১০টি বিভাগের অন্যতম ছিল দর্শন বিভাগ।

পড়ার যোগ্যতা
যদিও এটা কলা অনুষদের অধীত বিষয়, তবুও মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান শাখায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা দর্শন বিভাগে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্যতা ও মেধাক্রম অনুযায়ী দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে থাকেন।

কোথায় কোথায় ভর্তি হওয়া যায়
উন্নত বিশ্বের প্রাচীন বিষয় হিসেবে দর্শন শাস্ত্রের অনেক মূল্য ও চাহিদা রয়েছে। তবে সাম্প্রতিককালে দর্শন শাস্ত্রের নতুন নতুন সংযোজন ঘটেছে যেমন—বিজ্ঞানের দর্শন, পরিবেশ দর্শন, অর্থনীতির দর্শন, নারীবাদী দর্শন, প্রযুক্তির দর্শন, ব্যবসায় নীতিবিদ্যা, চিকিৎসা নীতিবিদ্যা ও প্রশাসনিক নীতিবিদ্যা—এসব বিষয়ে বিশ্ববাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং এসব বিষয় দর্শনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন পড়ানো হয়।

তাপসী রাবেয়া

 

কী কী পড়ানো হয়
দর্শন বিভাগের একজন শিক্ষার্থী দর্শন শাস্ত্রের উৎপত্তি, প্রাচীন দর্শন ও দর্শনের যাবতীয় বিষয় ছাড়াও যুক্তিবিদ্যা, ইংরেজি ভাষা, নীতিবিদ্যা, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান, রাষ্ট্রদর্শন, প্রতীকী যুক্তিবিদ্যা, নৃবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান, সমাজদর্শন, মনোদর্শন, শিক্ষাদর্শন, বাঙালির দর্শন, ধর্মদর্শন, বিজ্ঞানের দর্শন, প্রায়োগিক দর্শন, পরিবেশদর্শন, আইনের দর্শন, ব্যবসায় নীতিবিদ্যা, প্রযুক্তির দর্শন—এসব বিষয়ে পড়ে থাকে। দর্শন শুধু আমাদের ব্যবহারিক জীবনকে প্রভাবিত করে না; বরং একই সঙ্গে একটি মানুষের চারপাশের পরিবেশ এবং পরিবেশের সঙ্গে মানুষের গভীরতম সম্পর্ক, দৈহিক ও মানসিক সুস্থতা, জীবনের উৎপত্তি, পরিণতি, মূল্য ইত্যাদি বিষয়েও প্রভাব বিস্তার করে। আর দর্শন এসব বিষয়ে পাঠদানের মাধ্যমে আমাদের সত্য, সুন্দর ও মঙ্গলের দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে।

দর্শনের প্রয়োজনীয়তা
দর্শন একটি প্রয়োজনীয়, অভিজাত ও সমৃদ্ধ শাস্ত্র। ২০০২ সাল থেকে ইউনেসকো প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহের বৃহস্পতিবারকে বিশ্ব দর্শন দিবস হিসেবে উদ্‌যাপন করার ঘোষণা দিয়েছে। যার উদ্দেশ্য হলো—দর্শনকে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পরিচিতি, প্রয়োজনীয় ও জনপ্রিয় করে তোলা, যাতে দর্শনের চেতনা বিশ্বব্যাপী মানুষের মাঝে পরস্পর সম্প্রীতি, পরমতসহিষ্ণুতা, নৈতিক মূল্যবোধ তথা বিশ্বভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি করা। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, চিকিৎসা, শিক্ষা, অর্থনীতি, ব্যবসায়—প্রভৃতি সামাজিক প্রতিষ্ঠান ব্যবহারিক ক্ষেত্রে আজ আমাদের যা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, দর্শন তা পূরণ করতে সক্ষম। তাই দর্শনের সঠিক চর্চা ও পরম ছোঁয়ায় আমাদের প্রতিষ্ঠান তথা গোটা সমাজ হয়ে উঠবে মানবতার বাস্তব পুণ্যভূমি।

চাকরির সুযোগ কেমন
দর্শন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করার পর বর্তমানে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বিসিএস, ব্যাংক, সাংবাদিকতা, গবেষণা, সশস্ত্রবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, সম্পাদনা ও করপোরেট সেক্টরকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়। তা ছাড়া ভালো ফলাফল অর্জন করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার সুযোগ রয়েছে। যেহেতু প্রায় অধিকাংশ কলেজে যুক্তিবিদ্যা পড়ানো হয় এবং অনার্স ও ডিগ্রিতে দর্শন পড়ানো হয়, তাই সরকারি কলেজগুলোর পাশাপাশি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে বেসরকারি কলেজগুলোয় শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে।

উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
দর্শন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার অনেক সুযোগ রয়েছে। প্রতিবছর পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দর্শনের ওপর প্রচুর স্কলারশিপ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা কলেজপর্যায়ে এসে প্রথম দর্শনশাস্ত্রের সঙ্গে পরিচিত হয়। তখন অবশ্য তারা দর্শনের অংশ হিসেবে যুক্তিবিদ্যা পড়ে থাকে। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ পায়। ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের দর্শন পড়ানো হয়। বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এসব পর্যায়ে ভর্তির জন্য আকর্ষণীয় স্কলারশিপের ব্যবস্থাও রয়েছে।

তাপসী রাবেয়া, প্রভাষক, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান