নওরীনের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের দাবিতে টাঙ্গাইল জেলাছাত্র সমিতির মৌনমিছিল

ফরহাদ খাদেম
নওরীনের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের দাবিতে টাঙ্গাইল জেলাছাত্র সমিতি মৌনমিছিল করেছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভূমি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধার রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ইবিতে টাঙ্গাইল জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি।

বুধবার (২৩ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অনুষদ ভবনের সামনে থেকে মৌন মিছিলটি শুরু হয়ে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশে এসে শেষ হয়। পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে মানববন্ধনে তাদের দাবি তুলে ধরে। মানববন্ধনে সংগঠনটির উপদেষ্টা চারুকলা বিভাগের প্রভাষক রায়হান উদ্দীন ফকির, সভাপতি নাছির উদ্দিন আবির, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজয়ান ইসলাম নয়ন ও দপ্তর সম্পাদক সুজন মাহমুদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে সংগঠনটির সহ-সভাপতি মূসা হাশেমীর সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘হত্যা নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি সুরাহা করতে আমাদের জেলা ছাত্র কল্যাণের পক্ষ থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাহায্য কামনা করছি। একাধিক মানববন্ধনের পরেও তদন্তে এমন গড়িমসি কাম্য নয়। আশা করি খুব দ্রতই রহস্য উন্মোচন হবে এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

টাঙ্গাইল জেলা কল্যাণের সভাপতি নাছির উদ্দিন আবির বলেন, নওরীন আমাদের জেলার মেয়ে। তার মতো ভালো মনের একজন মানুষের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া আমরা কোনোভাবে মেনে নিতে পারিনা। নওরীন আমাদেরই ছোট বোন। আমরা কখনোই ভাবিনি তার মৃত্যু নিয়ে এমন ধোঁয়াশা সৃষ্টি হবে। আজ পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার গ্রহণ করতে আমরা মৌনমিছিল করেছি। সঠিক তদন্ত ও বিচার না হলে ভবিষ্যতে আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’

সংগঠনের উপদেষ্টা চারুকলা বিভাগের প্রভাষক রায়হান উদ্দীন ফকির বলেন, ‘নওরীনের সাথে আমার বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। সে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে তার বিতর্ক ও যুক্তিতর্কের মাধ্যমে দেশের কাছে রিপ্রেজেন্ট করেছে। আমি শুনেছি আত্মহত্যার বিরদ্ধে সচেতন করতেও সে কাজ করে গেছে। আজ তার মৃত্যুই আত্মহত্যা নাকি হত্যা আমরা জানি না। আমি দাবি জানাই এই রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।’

ইবিহো/এসএস

নওরীনের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের দাবিতে টাঙ্গাইল জেলাছাত্র সমিতির মৌনমিছিল

ফরহাদ খাদেম
নওরীনের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের দাবিতে টাঙ্গাইল জেলাছাত্র সমিতি মৌনমিছিল করেছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভূমি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধার রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ইবিতে টাঙ্গাইল জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি।

বুধবার (২৩ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অনুষদ ভবনের সামনে থেকে মৌন মিছিলটি শুরু হয়ে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশে এসে শেষ হয়। পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে মানববন্ধনে তাদের দাবি তুলে ধরে। মানববন্ধনে সংগঠনটির উপদেষ্টা চারুকলা বিভাগের প্রভাষক রায়হান উদ্দীন ফকির, সভাপতি নাছির উদ্দিন আবির, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজয়ান ইসলাম নয়ন ও দপ্তর সম্পাদক সুজন মাহমুদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে সংগঠনটির সহ-সভাপতি মূসা হাশেমীর সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘হত্যা নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি সুরাহা করতে আমাদের জেলা ছাত্র কল্যাণের পক্ষ থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাহায্য কামনা করছি। একাধিক মানববন্ধনের পরেও তদন্তে এমন গড়িমসি কাম্য নয়। আশা করি খুব দ্রতই রহস্য উন্মোচন হবে এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

টাঙ্গাইল জেলা কল্যাণের সভাপতি নাছির উদ্দিন আবির বলেন, নওরীন আমাদের জেলার মেয়ে। তার মতো ভালো মনের একজন মানুষের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া আমরা কোনোভাবে মেনে নিতে পারিনা। নওরীন আমাদেরই ছোট বোন। আমরা কখনোই ভাবিনি তার মৃত্যু নিয়ে এমন ধোঁয়াশা সৃষ্টি হবে। আজ পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার গ্রহণ করতে আমরা মৌনমিছিল করেছি। সঠিক তদন্ত ও বিচার না হলে ভবিষ্যতে আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’

সংগঠনের উপদেষ্টা চারুকলা বিভাগের প্রভাষক রায়হান উদ্দীন ফকির বলেন, ‘নওরীনের সাথে আমার বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। সে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে তার বিতর্ক ও যুক্তিতর্কের মাধ্যমে দেশের কাছে রিপ্রেজেন্ট করেছে। আমি শুনেছি আত্মহত্যার বিরদ্ধে সচেতন করতেও সে কাজ করে গেছে। আজ তার মৃত্যুই আত্মহত্যা নাকি হত্যা আমরা জানি না। আমি দাবি জানাই এই রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।’

ইবিহো/এসএস