নন-ক্যাডার নিয়োগে ‘নতুন বিধির’প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন

 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নতুন বিধি বাতিল করে আগের নিয়মে নন-ক্যাডার নিয়োগের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মৌন মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৪০তম বিসিএস উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার সুপারিশ প্রত্যাশী ও চাকরিপ্রার্থী বেকার ছাত্রসমাজ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে ৪০তম বিসিএসে নন-ক্যাডার প্রত্যাশী সাবরিনা সুলতানা বলেন, ‘৪০তম বিসিএসের সার্কুলার হয় ২০১৮ সালে।

ফল প্রকাশ হয়েছে ২০২২ সালে। আমরা যারা নন-ক্যাডার আছি তাদের অনেকের বয়স ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বিসিএসের পেছনে লেগে রয়েছি। এখন যদি নন-ক্যাডার থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক চাকরি না পাই, এর চেয়ে হতাশার আর কিছু থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগের নিয়মে নন-ক্যাডার নিয়োগে সর্বোচ্চ সংখ্যক চাকরি পেলে রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। এখানে যারা নিয়োগ পাচ্ছেন তারা তো মেধাহীন নয়, তাহলে এটা কেন হবে না? এত বড় পরীক্ষা দিয়ে যারা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন এর বাইরে আর কী প্রমাণ লাগবে?

নূরুল আমিন বলেন, ‘৪০তম বিসিএস থেকে শুরু করে ৪১, ৪৩ এবং ৪৪তম বিসিএসে এরকম পদ্ধতিতে নন-ক্যাডার নিয়োগ হবে বলে কোনো উল্লেখ করা হয়নি। চার-পাঁচ বছর পর পিএসসি যদি এই বিধি নিয়ে আসে, তাহলে যারা নন-ক্যাডার প্রত্যাশী তারা একটা অন্যায় সিদ্ধান্তের শিকার হবো। আমরা সমতার নীতি থেকে বঞ্চিত হবো।

মো. সজীব বলেন, ৩৫-৩৮তম বিসিএসের নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ দিলে সবাই চাকুরি পাবে। কিন্তু নতুন যে বিধিমালা আসছে সেখানে চাকরির কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। আমরা দাবি জানাই, ৩৫-৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত যে নিয়মে নিয়াগ হয়েছে, সে নিয়মেই আমাদেরও নিয়োগ দেওয়া হোক।

জানা যায়, পিএসসির নতুন বিধি অনুযায়ী বিসিএস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত যেসব নন-ক্যাডার পদ পিএসসিতে জমা হয়েছে সেই পদগুলো চলমান বিসিএসগুলো থেকে পূরণ করা হবে।

নন-ক্যাডার প্রত্যাশীরা আশঙ্ক্ষা করছেন এতে ৪০, ৪১, ৪৩ ও ৪৪সহ অন্যান্য বিসিএস থেকে খুবই স্বল্প সংখ্যক প্রার্থী নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পাবেন। চূড়ান্ত ফলাফলে পাস করেও তারা চাকরি পাবেন না।

যেখানে পূর্বের নিয়মে একটি বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর নন-ক্যাডারের আবেদন নেওয়া হতো এবং পরের বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে যত চাহিদা আসত, সেখান থেকে নিয়োগ দেওয়া হতো।

মাহবুব সরদার/এএইচ/এএসএম

নন-ক্যাডার নিয়োগে ‘নতুন বিধির’প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন

 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নতুন বিধি বাতিল করে আগের নিয়মে নন-ক্যাডার নিয়োগের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মৌন মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৪০তম বিসিএস উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার সুপারিশ প্রত্যাশী ও চাকরিপ্রার্থী বেকার ছাত্রসমাজ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে ৪০তম বিসিএসে নন-ক্যাডার প্রত্যাশী সাবরিনা সুলতানা বলেন, ‘৪০তম বিসিএসের সার্কুলার হয় ২০১৮ সালে।

ফল প্রকাশ হয়েছে ২০২২ সালে। আমরা যারা নন-ক্যাডার আছি তাদের অনেকের বয়স ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বিসিএসের পেছনে লেগে রয়েছি। এখন যদি নন-ক্যাডার থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক চাকরি না পাই, এর চেয়ে হতাশার আর কিছু থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগের নিয়মে নন-ক্যাডার নিয়োগে সর্বোচ্চ সংখ্যক চাকরি পেলে রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। এখানে যারা নিয়োগ পাচ্ছেন তারা তো মেধাহীন নয়, তাহলে এটা কেন হবে না? এত বড় পরীক্ষা দিয়ে যারা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন এর বাইরে আর কী প্রমাণ লাগবে?

নূরুল আমিন বলেন, ‘৪০তম বিসিএস থেকে শুরু করে ৪১, ৪৩ এবং ৪৪তম বিসিএসে এরকম পদ্ধতিতে নন-ক্যাডার নিয়োগ হবে বলে কোনো উল্লেখ করা হয়নি। চার-পাঁচ বছর পর পিএসসি যদি এই বিধি নিয়ে আসে, তাহলে যারা নন-ক্যাডার প্রত্যাশী তারা একটা অন্যায় সিদ্ধান্তের শিকার হবো। আমরা সমতার নীতি থেকে বঞ্চিত হবো।

মো. সজীব বলেন, ৩৫-৩৮তম বিসিএসের নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ দিলে সবাই চাকুরি পাবে। কিন্তু নতুন যে বিধিমালা আসছে সেখানে চাকরির কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। আমরা দাবি জানাই, ৩৫-৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত যে নিয়মে নিয়াগ হয়েছে, সে নিয়মেই আমাদেরও নিয়োগ দেওয়া হোক।

জানা যায়, পিএসসির নতুন বিধি অনুযায়ী বিসিএস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত যেসব নন-ক্যাডার পদ পিএসসিতে জমা হয়েছে সেই পদগুলো চলমান বিসিএসগুলো থেকে পূরণ করা হবে।

নন-ক্যাডার প্রত্যাশীরা আশঙ্ক্ষা করছেন এতে ৪০, ৪১, ৪৩ ও ৪৪সহ অন্যান্য বিসিএস থেকে খুবই স্বল্প সংখ্যক প্রার্থী নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পাবেন। চূড়ান্ত ফলাফলে পাস করেও তারা চাকরি পাবেন না।

যেখানে পূর্বের নিয়মে একটি বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর নন-ক্যাডারের আবেদন নেওয়া হতো এবং পরের বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে যত চাহিদা আসত, সেখান থেকে নিয়োগ দেওয়া হতো।

মাহবুব সরদার/এএইচ/এএসএম

ট্যাগ