নবীনবরণে ইবির প্রধান ফটকে তালা ছাত্রলীগের, ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ফরহাদ খাদেম

ইবির প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ, ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করছে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সোমবার (২৯ মে) বিকেল ৪টার দিকে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে এ আন্দোলন করেন তারা। এসময় ৪টার শিফটে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসগুলো ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে আটকা পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন কুষ্টিয়া, শৈলকূপা ও ঝিনাইদহ শহরগামী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরোধের পর প্রক্টরের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে।

আন্দোলনকারীরা গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল, বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসন, সুপেয় পানি ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সমস্যা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার দাবি জানান। আন্দোলনকারীরা আরও জানান, তারা বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে স্মারকলিপি দেন। কিন্তু প্রশাসন সেগুলোর বাস্তবায়ন না করে শুধু আশ্বাস দিয়ে যায়।

ইবির প্রধান ফটকে তালা।

এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ নবীনবরণের দিনে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন করা ঠিক হয়নি। প্রধান ফটক আটকিয়ে আন্দোলন করে শুধু আমাদের ভোগান্তিই বাড়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে যদি শিক্ষার্থীরাই ভোগান্তিতে পড়ে তাহলে এ আন্দোলন কাদের জন্য?

পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, সমস্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলুক। পরিবহন সংক্রান্ত সমস্যা হলে ভিন্ন কথা ছিল। শুধু শুধু শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। এভাবে কথায় কথায় প্রধান ফটক আটকানো উচিত না। এটা এক প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘণ। আমি মনে করি এটা সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, তাদের সমস্যা নিয়ে তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যেতে পারতো। কিন্তু তারা তা না করে প্রধান ফটক আটকিয়ে দিয়েছে। আমি আশা করবো, পরবর্তীতে কোন দাবি নিয়ে প্রধান ফটক না আটকিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করবেন।

ইবিহো/এসএস

নবীনবরণে ইবির প্রধান ফটকে তালা ছাত্রলীগের, ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ফরহাদ খাদেম

ইবির প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ, ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করছে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সোমবার (২৯ মে) বিকেল ৪টার দিকে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে এ আন্দোলন করেন তারা। এসময় ৪টার শিফটে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসগুলো ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে আটকা পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন কুষ্টিয়া, শৈলকূপা ও ঝিনাইদহ শহরগামী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরোধের পর প্রক্টরের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে।

আন্দোলনকারীরা গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল, বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসন, সুপেয় পানি ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সমস্যা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার দাবি জানান। আন্দোলনকারীরা আরও জানান, তারা বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে স্মারকলিপি দেন। কিন্তু প্রশাসন সেগুলোর বাস্তবায়ন না করে শুধু আশ্বাস দিয়ে যায়।

ইবির প্রধান ফটকে তালা।

এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ নবীনবরণের দিনে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন করা ঠিক হয়নি। প্রধান ফটক আটকিয়ে আন্দোলন করে শুধু আমাদের ভোগান্তিই বাড়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে যদি শিক্ষার্থীরাই ভোগান্তিতে পড়ে তাহলে এ আন্দোলন কাদের জন্য?

পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, সমস্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলুক। পরিবহন সংক্রান্ত সমস্যা হলে ভিন্ন কথা ছিল। শুধু শুধু শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। এভাবে কথায় কথায় প্রধান ফটক আটকানো উচিত না। এটা এক প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘণ। আমি মনে করি এটা সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, তাদের সমস্যা নিয়ে তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যেতে পারতো। কিন্তু তারা তা না করে প্রধান ফটক আটকিয়ে দিয়েছে। আমি আশা করবো, পরবর্তীতে কোন দাবি নিয়ে প্রধান ফটক না আটকিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করবেন।

ইবিহো/এসএস