ন্যাটো ইস্যুতে তুর্কি শিক্ষার্থীর আবেদন প্রত্যাখ্যান সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে সুইডেনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তুরস্কের আপত্তির কারণে এবার এক তুর্কি শিক্ষার্থীর খণ্ডকালীন প্রশিক্ষণ (ইন্টার্নশিপ) গ্রহণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন সুইডিশ অধ্যাপক। এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। বার্তা সংস্থা টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা যায়।

সম্প্রতি ইরাসমাসপ্লাস তহবিলের আওতায় সামার-২০২৩ সেশনের জন্য পছন্দ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন প্রশিক্ষণের সুযোগ পান তুর্কি শিক্ষার্থী ফাতমা জেহরা এস। তিনি ইস্তাম্বুলের ইবনে হালদুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। বর্তমানে ফাতমা স্নাতকের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছেন।

ইরাসমাপপ্লাসের আওতায় সুইডেনের স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন করেন ফাতমা। এ লক্ষ্যে তিনি গত বছরের ২২ নভেম্বর এটি ইমেইল প্রেরণ করেন। সেই ইমেইলে অধ্যাপক পির কার্লব্রিংয়ের অধীনে একটি গবেষণা প্রকল্পে নিজের আগ্রহের কথা জানান।

কয়েক ঘণ্টা পর ফিরতি ইমেইলে অধ্যাপক কার্লব্রিং বলেন, ‘আমি তোমাকে সুযোগ দিতে পারলে খুশি হতাম। তবে তুরস্ক যেহেতু ন্যাটোতে সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে সুযোগ দিচ্ছে না, আমিও তোমাকে সুযোগ দিতে পারছি না। দুঃখিত।’

ফাতমা বলেন, ‘এ ধরনের উত্তর পাওয়ার পর আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। এই আবেদন পর্যন্ত পৌঁছাতে আমাকে বেশ লম্বা সময় নিতে হয়েছে।’

ফাতমার ইমেইলের জবাবে অধ্যাপক কার্লব্রিংয়ের জবাব।ছবি : টিআরটি ওয়ার্ল্ড

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফ্রেডরিক জনসন বলেন, আমরা অসংখ্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে গবেষণাবিষয়ক খণ্ডকালীন প্রশিক্ষণ নিয়ে আবেদন গ্রহণ করছি। আমাদের সকল আবেদন যাচাই করার সক্ষমতা নেই। তবে আমরা আশা করি, যে কোনো আবেদনের বিপরীতে অবশ্যই যথাযথ উপায়ে উত্তর দেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে আমরা যখনই বিষয়টি জানতে পেরেছি, তখনই আমাদের কার্যক্রম অনুযায়ী এটিকে পর্যালোচনা করছি।

গত বছরের মে মাসে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। তবে কুর্দি বিদ্রোহীদের আশ্রয় দেওয়া ও সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে দেশ দুটির আবেদনে আপত্তি জানায় তুরস্ক। ফলে এখনো এই সামরিক জোটে যোগদান করার ব্যাপারে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ভবিষ্যৎ অনেকটাই ঝুঁকিতে।

এরপর গত বছরে জুনে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে তুরস্ক। এতে তুরস্কের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ নিয়ে ন্যাটোতে আলোচনা করার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের সাত মাস পার হয়ে গেলেও তুরস্কের দেওয়া শর্তের বাস্তবায়ন করেনি সুইডেন—এমনটা জানায় আঙ্কারা।

ন্যাটো ইস্যুতে তুর্কি শিক্ষার্থীর আবেদন প্রত্যাখ্যান সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে সুইডেনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তুরস্কের আপত্তির কারণে এবার এক তুর্কি শিক্ষার্থীর খণ্ডকালীন প্রশিক্ষণ (ইন্টার্নশিপ) গ্রহণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন সুইডিশ অধ্যাপক। এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। বার্তা সংস্থা টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা যায়।

সম্প্রতি ইরাসমাসপ্লাস তহবিলের আওতায় সামার-২০২৩ সেশনের জন্য পছন্দ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন প্রশিক্ষণের সুযোগ পান তুর্কি শিক্ষার্থী ফাতমা জেহরা এস। তিনি ইস্তাম্বুলের ইবনে হালদুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। বর্তমানে ফাতমা স্নাতকের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছেন।

ইরাসমাপপ্লাসের আওতায় সুইডেনের স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন করেন ফাতমা। এ লক্ষ্যে তিনি গত বছরের ২২ নভেম্বর এটি ইমেইল প্রেরণ করেন। সেই ইমেইলে অধ্যাপক পির কার্লব্রিংয়ের অধীনে একটি গবেষণা প্রকল্পে নিজের আগ্রহের কথা জানান।

কয়েক ঘণ্টা পর ফিরতি ইমেইলে অধ্যাপক কার্লব্রিং বলেন, ‘আমি তোমাকে সুযোগ দিতে পারলে খুশি হতাম। তবে তুরস্ক যেহেতু ন্যাটোতে সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে সুযোগ দিচ্ছে না, আমিও তোমাকে সুযোগ দিতে পারছি না। দুঃখিত।’

ফাতমা বলেন, ‘এ ধরনের উত্তর পাওয়ার পর আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। এই আবেদন পর্যন্ত পৌঁছাতে আমাকে বেশ লম্বা সময় নিতে হয়েছে।’

ফাতমার ইমেইলের জবাবে অধ্যাপক কার্লব্রিংয়ের জবাব।ছবি : টিআরটি ওয়ার্ল্ড

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফ্রেডরিক জনসন বলেন, আমরা অসংখ্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে গবেষণাবিষয়ক খণ্ডকালীন প্রশিক্ষণ নিয়ে আবেদন গ্রহণ করছি। আমাদের সকল আবেদন যাচাই করার সক্ষমতা নেই। তবে আমরা আশা করি, যে কোনো আবেদনের বিপরীতে অবশ্যই যথাযথ উপায়ে উত্তর দেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে আমরা যখনই বিষয়টি জানতে পেরেছি, তখনই আমাদের কার্যক্রম অনুযায়ী এটিকে পর্যালোচনা করছি।

গত বছরের মে মাসে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। তবে কুর্দি বিদ্রোহীদের আশ্রয় দেওয়া ও সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে দেশ দুটির আবেদনে আপত্তি জানায় তুরস্ক। ফলে এখনো এই সামরিক জোটে যোগদান করার ব্যাপারে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ভবিষ্যৎ অনেকটাই ঝুঁকিতে।

এরপর গত বছরে জুনে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে তুরস্ক। এতে তুরস্কের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ নিয়ে ন্যাটোতে আলোচনা করার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের সাত মাস পার হয়ে গেলেও তুরস্কের দেওয়া শর্তের বাস্তবায়ন করেনি সুইডেন—এমনটা জানায় আঙ্কারা।