৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলন

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
পাঁচদফা দাবিতে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলন করেছে আজ।

দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করাসহ পাঁচ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন, রংপুর মহানগর। আজ বেলা সাড়ে ১২টায় (৩১ জুলাই) ফেডারেশন অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন রংপুর মহানগরের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক জনাব মো আনারুল ইসলাম। ফেডারেশন মহানগর সেক্রেটারি আবু সাজিদ মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. মফিজ উদ্দিন সরকার, কিন্ডার গার্টেন শিক্ষক পরিষদের মহানগর সেক্রেটারি মো. মশিয়ার রহমান, কলেজ শিক্ষক পরিষদের সহসভাপতি সহকারি অধ্যাপক মো. আব্দুল ওয়েহেদ কারিগরি শিক্ষক পরিষদের মহানগর কার্যকরী সদস্য মো. শামছুল আরফিনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মণ্ডলী।

সংবাদ সম্মেলনে তাদের প্রস্তাবিত পাঁচ দফা দাবি গুলো: ১.সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য দূর করে এবং সতন্ত্র বেতন কাঠামো চালু করতে হবে ২.সফল বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাকে জাতীয়করণ এবং পর্যায়ক্রমে ইবতেদায়ী মাদ্রাসাসহ সকল বেসরকারী শিক্ষক এবং শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে সরকারীভাবে বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে ৩.১০০% বোনাস ও সম্মানজনক বাড়ী ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে ৪. সকল ধর্মাবলম্বীদের নিজ নিজ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে  এবং ৫. বেসরকারি কলেজসমূহে অনার্স কোর্সের নন এমপিও শিক্ষকদের এমপিও ভূক্ত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বক্তা বলেন, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও বোনাস বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে। চলমান শিক্ষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন ও এর অন্তর্ভুক্ত ৯টি শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

এতে বলা হয়, একই দেশে সরকারি ও বেসরকারি শিরোনামে একই সিলেবাস কারিকুলাম অনুসরণ করে একই বোর্ডের অধীনে প্রতিযোগিতামূলক পড়াশোনা করে এবং পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীরা বেতন-ভাতা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেসরকারি শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণই সিংহভাগ দায়িত্ব পালন করছে। অথচ তাদের এই অসামান্য অবদানের জন্য পদ বিন্যাসের মাধ্যমে সম্মান দেখাচ্ছে না, আর্থিক স্বীকৃতিটা যেন তাদের প্রতি দয়া বা অনুগ্রহ মনে করা হচ্ছে।

আরও বলা হয়, সরকার যদি দেশের শিক্ষানীতি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে চায়, তাহলে সর্বস্তরের শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিক প্রশান্তির জন্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করতে হবে। আশা করি, সরকার আমাদের এই দাবির প্রতি সম্মান দেখাবে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষকদের ঘরে ফেরার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অচল অবস্থা দূর করবেন।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে দুটি শিক্ষাধারা বেসরকারি শিক্ষা হিসেবে চালু আছে। একদিকে সাধারণ শিক্ষা তথা স্কুল-কলেজ অপরদিকে আলিয়াসহ মাদরাসা শিক্ষা। উভয় শিক্ষা আজও অবহেলিত, বঞ্চিত এবং উপেক্ষিত। অতীতে সব সরকারের কাছেই এ শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারীরা দাবি করে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আন্দোলন চলছে। শিক্ষকদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, দাবি মেনে নেওয়া তো দূরের কথা উল্টো তাদের হামলা করে আহত করা হয়েছে। আবার যারা সরাসরি মাঠে আন্দোলন করছেন এবং শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের পক্ষে কথা বলছেন তাদেরও নানা হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।

তারা আরও বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন যারা এমপিওভুক্ত নয়। তারা প্রতিষ্ঠান থেকে সামান্য বেতন নিয়ে শিক্ষকতা করেন। এসব শিক্ষকদেরও এমপিওভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি সহকারি অধ্যাপক মো. আনারুল ইসলাম।

ইবিহো/এসএস

৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলন

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
পাঁচদফা দাবিতে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলন করেছে আজ।

দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করাসহ পাঁচ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন, রংপুর মহানগর। আজ বেলা সাড়ে ১২টায় (৩১ জুলাই) ফেডারেশন অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন রংপুর মহানগরের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক জনাব মো আনারুল ইসলাম। ফেডারেশন মহানগর সেক্রেটারি আবু সাজিদ মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. মফিজ উদ্দিন সরকার, কিন্ডার গার্টেন শিক্ষক পরিষদের মহানগর সেক্রেটারি মো. মশিয়ার রহমান, কলেজ শিক্ষক পরিষদের সহসভাপতি সহকারি অধ্যাপক মো. আব্দুল ওয়েহেদ কারিগরি শিক্ষক পরিষদের মহানগর কার্যকরী সদস্য মো. শামছুল আরফিনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মণ্ডলী।

সংবাদ সম্মেলনে তাদের প্রস্তাবিত পাঁচ দফা দাবি গুলো: ১.সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য দূর করে এবং সতন্ত্র বেতন কাঠামো চালু করতে হবে ২.সফল বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাকে জাতীয়করণ এবং পর্যায়ক্রমে ইবতেদায়ী মাদ্রাসাসহ সকল বেসরকারী শিক্ষক এবং শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে সরকারীভাবে বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে ৩.১০০% বোনাস ও সম্মানজনক বাড়ী ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে ৪. সকল ধর্মাবলম্বীদের নিজ নিজ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে  এবং ৫. বেসরকারি কলেজসমূহে অনার্স কোর্সের নন এমপিও শিক্ষকদের এমপিও ভূক্ত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বক্তা বলেন, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও বোনাস বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে। চলমান শিক্ষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন ও এর অন্তর্ভুক্ত ৯টি শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

এতে বলা হয়, একই দেশে সরকারি ও বেসরকারি শিরোনামে একই সিলেবাস কারিকুলাম অনুসরণ করে একই বোর্ডের অধীনে প্রতিযোগিতামূলক পড়াশোনা করে এবং পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীরা বেতন-ভাতা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেসরকারি শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণই সিংহভাগ দায়িত্ব পালন করছে। অথচ তাদের এই অসামান্য অবদানের জন্য পদ বিন্যাসের মাধ্যমে সম্মান দেখাচ্ছে না, আর্থিক স্বীকৃতিটা যেন তাদের প্রতি দয়া বা অনুগ্রহ মনে করা হচ্ছে।

আরও বলা হয়, সরকার যদি দেশের শিক্ষানীতি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে চায়, তাহলে সর্বস্তরের শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিক প্রশান্তির জন্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করতে হবে। আশা করি, সরকার আমাদের এই দাবির প্রতি সম্মান দেখাবে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষকদের ঘরে ফেরার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অচল অবস্থা দূর করবেন।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে দুটি শিক্ষাধারা বেসরকারি শিক্ষা হিসেবে চালু আছে। একদিকে সাধারণ শিক্ষা তথা স্কুল-কলেজ অপরদিকে আলিয়াসহ মাদরাসা শিক্ষা। উভয় শিক্ষা আজও অবহেলিত, বঞ্চিত এবং উপেক্ষিত। অতীতে সব সরকারের কাছেই এ শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারীরা দাবি করে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আন্দোলন চলছে। শিক্ষকদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, দাবি মেনে নেওয়া তো দূরের কথা উল্টো তাদের হামলা করে আহত করা হয়েছে। আবার যারা সরাসরি মাঠে আন্দোলন করছেন এবং শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের পক্ষে কথা বলছেন তাদেরও নানা হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।

তারা আরও বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন যারা এমপিওভুক্ত নয়। তারা প্রতিষ্ঠান থেকে সামান্য বেতন নিয়ে শিক্ষকতা করেন। এসব শিক্ষকদেরও এমপিওভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি সহকারি অধ্যাপক মো. আনারুল ইসলাম।

ইবিহো/এসএস