পাবিপ্রবি’র ৪২ অসচ্ছল-মেধাবী শিক্ষার্থী বৃত্তি পেলেন

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে উপস্থিত আছেন অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ-উপাচার্য এস এম মোস্তফা কামাল খান এবং কোষাধ্যক্ষ ড. কে এম সালাহ উদ্দীন। ছবি: ইমরান আহমেদ।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত আয় থেকে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অসচ্ছল-মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে ‘শিক্ষার্থী সহায়তা তহিবল।’ এই তহবিলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন ব্যক্তিগতভাবে পাঁচলাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। ‘শিক্ষার্থী সহায়তা তহবিল’ থেকে আজ বুধবার ৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের ৪২ জন অসচ্ছল-মেধাবী শিক্ষার্থীকে এককালীন পাঁচ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্টের শহিদদরে স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন শিক্ষার্থীদের মেধাবী, শ্রেষ্ঠ ও বীর আখ্যায়িত করে বলেন, তোমরা মনের জোরে এগিয়ে যাবে। নজরুলের কবিতার মতো মাথা উঁচু করে বড় হবে। প্রতিবন্ধকতা থাকবে, সেটা যেন হীনমন্যতার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। বীরের মতো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এবং তাহলেই আলো দেখতে পাবে। শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন-এর কাছ থেকে বৃত্তি গ্রহণ করছেন একজন শিক্ষার্থী।

বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, আমাদের তরুণ শিক্ষকরা যে স্বপ্ন তোমাদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের স্বীকৃতিকে কাজে লাগাতে হবে। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য টাকা কোনো বাঁধা হতে পারেনা। ইচ্ছাশক্তি, চেষ্টা ও প্রয়াস মানুষকে বড় করে। তোমাদের হাত ধরে বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশ এগিয়ে যাবে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন-এর কাছ থেকে বৃত্তি গ্রহণ করছেন একজন শিক্ষার্থী।

বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ ড. কে এম সালাহ উদ্দীন বলেন, আত্মবিশ্বাস, মেধা ও আর্থিক সক্ষমতা থাকলে মানুষ সফল হতে পারে। সে জন্য নিজের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ঠিক করে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে আগামীর পথে এগিয়ে যেতে হবে। অদম্য মেধাবীরাই আগামীর বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীলা।

অনুভূতি প্রকাশ করেন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম ও নুসরাত ইয়াসমিন ইভা। অতিথিদের হাত থেকে শিক্ষার্থীরা বৃত্তি গ্রহণ করেন। এতে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম, প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. নাজমুল হোসেন। উল্লেখ্য, এই তহবিল থেকে গত বছরের ২৬ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর হাত দিয়ে পাবিপ্রবির এক শিক্ষার্থীর কৃত্রিম পা প্রতিস্থাপনের জন্য এক লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়।

ইবিহো/এসএস

পাবিপ্রবি’র ৪২ অসচ্ছল-মেধাবী শিক্ষার্থী বৃত্তি পেলেন

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে উপস্থিত আছেন অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ-উপাচার্য এস এম মোস্তফা কামাল খান এবং কোষাধ্যক্ষ ড. কে এম সালাহ উদ্দীন। ছবি: ইমরান আহমেদ।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত আয় থেকে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অসচ্ছল-মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে ‘শিক্ষার্থী সহায়তা তহিবল।’ এই তহবিলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন ব্যক্তিগতভাবে পাঁচলাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। ‘শিক্ষার্থী সহায়তা তহবিল’ থেকে আজ বুধবার ৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের ৪২ জন অসচ্ছল-মেধাবী শিক্ষার্থীকে এককালীন পাঁচ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্টের শহিদদরে স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন শিক্ষার্থীদের মেধাবী, শ্রেষ্ঠ ও বীর আখ্যায়িত করে বলেন, তোমরা মনের জোরে এগিয়ে যাবে। নজরুলের কবিতার মতো মাথা উঁচু করে বড় হবে। প্রতিবন্ধকতা থাকবে, সেটা যেন হীনমন্যতার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। বীরের মতো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এবং তাহলেই আলো দেখতে পাবে। শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন-এর কাছ থেকে বৃত্তি গ্রহণ করছেন একজন শিক্ষার্থী।

বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, আমাদের তরুণ শিক্ষকরা যে স্বপ্ন তোমাদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের স্বীকৃতিকে কাজে লাগাতে হবে। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য টাকা কোনো বাঁধা হতে পারেনা। ইচ্ছাশক্তি, চেষ্টা ও প্রয়াস মানুষকে বড় করে। তোমাদের হাত ধরে বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশ এগিয়ে যাবে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন-এর কাছ থেকে বৃত্তি গ্রহণ করছেন একজন শিক্ষার্থী।

বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ ড. কে এম সালাহ উদ্দীন বলেন, আত্মবিশ্বাস, মেধা ও আর্থিক সক্ষমতা থাকলে মানুষ সফল হতে পারে। সে জন্য নিজের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ঠিক করে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে আগামীর পথে এগিয়ে যেতে হবে। অদম্য মেধাবীরাই আগামীর বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীলা।

অনুভূতি প্রকাশ করেন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম ও নুসরাত ইয়াসমিন ইভা। অতিথিদের হাত থেকে শিক্ষার্থীরা বৃত্তি গ্রহণ করেন। এতে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম, প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. নাজমুল হোসেন। উল্লেখ্য, এই তহবিল থেকে গত বছরের ২৬ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর হাত দিয়ে পাবিপ্রবির এক শিক্ষার্থীর কৃত্রিম পা প্রতিস্থাপনের জন্য এক লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়।

ইবিহো/এসএস