‘পোষ্য কোটা নামে প্রহসন আর চাই না’

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রাবিতে ফের মানববন্ধন

রাবি সংবাদদাতা

ছবি: ইত্তেফাক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ( রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ফের মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার ( ২০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে  রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান বলেন, ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে হবে কেন?  পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এ কোটা সিস্টেম।

নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদি হাসান মুন্না বলেন, পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আমারা প্রতিবছর দাঁড়াই কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই । তারা মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ নষ্ট করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কোনো পোষ্য কোটার নিয়ম নেই। শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছে। আগের উপাচার্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে পোষ্য কোটায় ভর্তি করালেও বর্তমান উপাচার্য তা বৃদ্ধি করে ৭১ জনে রূপান্তর করেছেন। আমরা পোষ্য কোটা বাতিল চাই এবং ফেল করা ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল চাই।

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৬০ মার্ক পেয়েও চান্স পাচ্ছে না কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অযোগ্য ছেলে মেয়েরা যারা ফেল করেও পৈতৃক কোটা নামে পোষ্য কোটায় ভালো সাবজেক্টে চান্স পেয়ে যাচ্ছেন। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারী হচ্ছেন। আমরা পোষ্য কোটা নামে এমন প্রহসন আর চাই না। আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান থাকবে।

এ সময় তারা ৩ দফা দাবিও পেশ করে। যেমন:

১.প্রক্সি জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে।

২.ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করতে হবে।

৩.পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে।

এর আগে ১৩ নভেম্বর (রোববার) একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করে রাবির শিক্ষার্থীরা।

ইত্তেফাক/আরএজে

‘পোষ্য কোটা নামে প্রহসন আর চাই না’

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রাবিতে ফের মানববন্ধন

রাবি সংবাদদাতা

ছবি: ইত্তেফাক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ( রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ফের মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার ( ২০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে  রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান বলেন, ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে হবে কেন?  পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এ কোটা সিস্টেম।

নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদি হাসান মুন্না বলেন, পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আমারা প্রতিবছর দাঁড়াই কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই । তারা মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ নষ্ট করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কোনো পোষ্য কোটার নিয়ম নেই। শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছে। আগের উপাচার্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে পোষ্য কোটায় ভর্তি করালেও বর্তমান উপাচার্য তা বৃদ্ধি করে ৭১ জনে রূপান্তর করেছেন। আমরা পোষ্য কোটা বাতিল চাই এবং ফেল করা ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল চাই।

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৬০ মার্ক পেয়েও চান্স পাচ্ছে না কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অযোগ্য ছেলে মেয়েরা যারা ফেল করেও পৈতৃক কোটা নামে পোষ্য কোটায় ভালো সাবজেক্টে চান্স পেয়ে যাচ্ছেন। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারী হচ্ছেন। আমরা পোষ্য কোটা নামে এমন প্রহসন আর চাই না। আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান থাকবে।

এ সময় তারা ৩ দফা দাবিও পেশ করে। যেমন:

১.প্রক্সি জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে।

২.ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করতে হবে।

৩.পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে।

এর আগে ১৩ নভেম্বর (রোববার) একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করে রাবির শিক্ষার্থীরা।

ইত্তেফাক/আরএজে