রাজশাহীর রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ

প্রতারণার অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের পদার্থবিদ্যার প্রভাষক সিরাজুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রতারণাসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগে তাকে সম্প্রতি বরখাস্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদুল হক। সিরাজুল ইসলাম কলেজ অফিসে শিক্ষকদের পরস্পরের মধ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা বা আলোচনা গোপনে রেকর্ড করে বাইরে ছড়িয়ে দেন। এতে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষকদের মাঝে বিরোধ তৈরি হয়। এছাড়া ব্যাংক ও বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করা এবং চাকরি দেওয়ার নামে কারও কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ লোক বলে পরিচিত। এ কারণে সিরাজুল ইসলাম নানাবিধ অপকর্ম ও প্রতারণা করার সাহস দেখিয়েছে। জানা গেছে, গত বছর কোনো একদিন কলেজের শিক্ষকরা জনৈক এমপির সঙ্গে দলের নেতার স্ত্রীর বিশেষ সম্পর্ক নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করেন একান্তে। সিরাজুল ইসলাম আলোচনাটি গোপনে মোবাইল ফোনে রেকর্ডিং করে বাইরে প্রকাশ করে দেন। এই ঘটনার জেরে গত বছর ৭ জুলাই রাজাবাড়ী কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন এক জনপ্রতিনিধি।

এদিকে অতি সম্প্রতি কলেজের ৯ সহকারী অধ্যাপক সম্প্রতি সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের কাছে। চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন হাবিবুর রহমান নামে এক চা বিক্রেতা। কর্তৃপক্ষ অভিযোগগুলো তদন্ত করছেন। কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন সিরাজুল ইসলামকে। অন্যদিকে প্রভাষক সিরাজুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগুলো অস্বীকার করেন।

রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদুল হক বলেন, একজন শিক্ষকের প্রকৃতি এমন হওয়ার কথা নয়। সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। কিছু লোক তার পক্ষ হয়ে কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তবে সবকিছুই আইন মোতাবেক চলবে, জানান সভাপতি। বলেন, এই ধরনের প্রতারকের শিক্ষকতা করার যোগ্যতা নেই।

রাজশাহীর রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ

প্রতারণার অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের পদার্থবিদ্যার প্রভাষক সিরাজুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রতারণাসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগে তাকে সম্প্রতি বরখাস্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদুল হক। সিরাজুল ইসলাম কলেজ অফিসে শিক্ষকদের পরস্পরের মধ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা বা আলোচনা গোপনে রেকর্ড করে বাইরে ছড়িয়ে দেন। এতে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষকদের মাঝে বিরোধ তৈরি হয়। এছাড়া ব্যাংক ও বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করা এবং চাকরি দেওয়ার নামে কারও কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ লোক বলে পরিচিত। এ কারণে সিরাজুল ইসলাম নানাবিধ অপকর্ম ও প্রতারণা করার সাহস দেখিয়েছে। জানা গেছে, গত বছর কোনো একদিন কলেজের শিক্ষকরা জনৈক এমপির সঙ্গে দলের নেতার স্ত্রীর বিশেষ সম্পর্ক নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করেন একান্তে। সিরাজুল ইসলাম আলোচনাটি গোপনে মোবাইল ফোনে রেকর্ডিং করে বাইরে প্রকাশ করে দেন। এই ঘটনার জেরে গত বছর ৭ জুলাই রাজাবাড়ী কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন এক জনপ্রতিনিধি।

এদিকে অতি সম্প্রতি কলেজের ৯ সহকারী অধ্যাপক সম্প্রতি সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের কাছে। চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন হাবিবুর রহমান নামে এক চা বিক্রেতা। কর্তৃপক্ষ অভিযোগগুলো তদন্ত করছেন। কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন সিরাজুল ইসলামকে। অন্যদিকে প্রভাষক সিরাজুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগুলো অস্বীকার করেন।

রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদুল হক বলেন, একজন শিক্ষকের প্রকৃতি এমন হওয়ার কথা নয়। সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। কিছু লোক তার পক্ষ হয়ে কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তবে সবকিছুই আইন মোতাবেক চলবে, জানান সভাপতি। বলেন, এই ধরনের প্রতারকের শিক্ষকতা করার যোগ্যতা নেই।