জাবিতে মশার উপদ্রব

প্রতিদিন ৩-৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) এলাকায় এখন মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ অবস্থানরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মশা যেন ঘরের ভেতরে ঢুকতে না পারে সেজন্য অধিকাংশ বাসার জানালায় নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত ব্যবস্থা, তবুও কমছে না মশার উপদ্রব। মশক নিধন স্প্রে করার দাবি তাদের। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রতিদিন ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য আসছেন সাত-আটজন। তাদের মধ্যে গড়ে তিন-চারজনের শরীরে শনাক্ত হচ্ছে ডেঙ্গু। গত চারদিনে প্রায় ১২জনের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের ৮০ শতাংশই শিক্ষার্থী।

জাবি মেডিকেল সেন্টারের ল্যাব ইনচার্জ নাইমুল ইসলাম বলেন, অক্টোবর মাসে পরীক্ষা করতে আসা ব্যক্তিদের ৩০ জনের বেশি ডেঙ্গু পজিটিভ। প্লাটিলেট সংখ্যার ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০০তে। চলতি মাসের চার কর্মদিবসে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে মেডিকেল সেন্টারে এসেছেন ২৮-৩০ জন। তাদের প্রায় ১২জনের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।

আক্রান্তদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বাইরে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনেরাও রয়েছেন। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নেই বলে দাবি করেছেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার। অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ডেঙ্গুর প্রধান বাহক এডিস ইজিপটাই মশাটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। তবে জাহাঙ্গীরনগরের আশপাশের গ্রামগুলোতে এই মশাটি আছে। ক্যাম্পাসে এই মশাটি না থাকায় ডেঙ্গুর ঝুঁকি কম। তবে পরিস্থিতি যে কোনো সময় পাল্টাতে পারে। আশপাশের গ্রামে থাকা এডিস মশা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসতে পারে। সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকা দরকার।
আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের এক ছাত্র রবিউল ইসলাম বলেন, মশার উপদ্রব অনেকটা বেড়ে গেছে। হালকা শীত আসায় ফ্যান খুব একটা চালানো হয় না, তাই উপদ্রব খুব ভালোভাবেই বোঝা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মাঝে মাঝে স্প্রে করে, তখন দু’-তিনদিন কমলেও পরে মশার উপদ্রব আবার বেড়ে যায়। তৃষা নামে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, সন্ধ্যা হলেই মশার যন্ত্রণা শুরু হয়। মশারি, কয়েল যেন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। ঘুমানোর সময়টা এভাবে বাঁচা গেলেও পড়তে বসলে মশা থেকে রক্ষা নাই। মশা নিধনে স্থায়ী সমাধান দরকার।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান বলেন, নিয়মিত ডোবা-ড্রেন-নর্দমা পরিষ্কার রাখতে এস্টেট শাখা কাজ করে যাচ্ছে। পাত্রে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা যেন লার্ভা সৃষ্টির সুযোগ না পায় সে কাজটিও করে যাচ্ছি। এছাড়াও নিয়মিত স্প্রে করার কাজটিও চলমান।

জাবিতে মশার উপদ্রব

প্রতিদিন ৩-৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) এলাকায় এখন মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ অবস্থানরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মশা যেন ঘরের ভেতরে ঢুকতে না পারে সেজন্য অধিকাংশ বাসার জানালায় নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত ব্যবস্থা, তবুও কমছে না মশার উপদ্রব। মশক নিধন স্প্রে করার দাবি তাদের। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রতিদিন ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য আসছেন সাত-আটজন। তাদের মধ্যে গড়ে তিন-চারজনের শরীরে শনাক্ত হচ্ছে ডেঙ্গু। গত চারদিনে প্রায় ১২জনের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের ৮০ শতাংশই শিক্ষার্থী।

জাবি মেডিকেল সেন্টারের ল্যাব ইনচার্জ নাইমুল ইসলাম বলেন, অক্টোবর মাসে পরীক্ষা করতে আসা ব্যক্তিদের ৩০ জনের বেশি ডেঙ্গু পজিটিভ। প্লাটিলেট সংখ্যার ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০০তে। চলতি মাসের চার কর্মদিবসে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে মেডিকেল সেন্টারে এসেছেন ২৮-৩০ জন। তাদের প্রায় ১২জনের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।

আক্রান্তদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বাইরে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনেরাও রয়েছেন। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নেই বলে দাবি করেছেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার। অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ডেঙ্গুর প্রধান বাহক এডিস ইজিপটাই মশাটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। তবে জাহাঙ্গীরনগরের আশপাশের গ্রামগুলোতে এই মশাটি আছে। ক্যাম্পাসে এই মশাটি না থাকায় ডেঙ্গুর ঝুঁকি কম। তবে পরিস্থিতি যে কোনো সময় পাল্টাতে পারে। আশপাশের গ্রামে থাকা এডিস মশা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসতে পারে। সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকা দরকার।
আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের এক ছাত্র রবিউল ইসলাম বলেন, মশার উপদ্রব অনেকটা বেড়ে গেছে। হালকা শীত আসায় ফ্যান খুব একটা চালানো হয় না, তাই উপদ্রব খুব ভালোভাবেই বোঝা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মাঝে মাঝে স্প্রে করে, তখন দু’-তিনদিন কমলেও পরে মশার উপদ্রব আবার বেড়ে যায়। তৃষা নামে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, সন্ধ্যা হলেই মশার যন্ত্রণা শুরু হয়। মশারি, কয়েল যেন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। ঘুমানোর সময়টা এভাবে বাঁচা গেলেও পড়তে বসলে মশা থেকে রক্ষা নাই। মশা নিধনে স্থায়ী সমাধান দরকার।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান বলেন, নিয়মিত ডোবা-ড্রেন-নর্দমা পরিষ্কার রাখতে এস্টেট শাখা কাজ করে যাচ্ছে। পাত্রে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা যেন লার্ভা সৃষ্টির সুযোগ না পায় সে কাজটিও করে যাচ্ছি। এছাড়াও নিয়মিত স্প্রে করার কাজটিও চলমান।