প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে উত্তাল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

প্রভাতী দাস

খুলনার জিরো পয়েন্টে মহাসড়ক অবরোধ করে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগরসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও কোটা সংস্কারের একদফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে কুয়েট, নর্দান ইউনিভার্সিটিসহ খুলনার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে অপমানজনক আখ্যা দিয়ে চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার,’কোটা দিয়ে বৈষম্য নয়, বৈষম্যমুক্ত দেশ চায়’,’আমার সোনার বাংলায় কোটা প্রথার ঠাঁয় নায়’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, শিক্ষার্থীদের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে,‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি শ্লোগানে সড়কপথ প্রকম্পিত করে তোলে।

কুয়েটের এক শিক্ষার্থী বলেন, “কোটা প্রথার সংস্কার আমাদের একান্ত দাবি। বর্তমান কোটা ব্যবস্থা যোগ্য ও মেধাবীদের উপর অবিচার করছে। আমরা যোগ্যতার ভিত্তিতে আমাদের স্থান পেতে চাই। আমরা দেশের উন্নতির জন্য মেধাবীদের সঠিক মূল্যায়ন চাই। এবং একই সাথে পুলিশ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের যে সহিংসতা ছাত্রদের উপর চলছে এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করি।”

এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা এতদিন যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছিলাম। রাষ্ট্রের যাদের কাছে আমাদের দাবি তারাই যদি আমাদের সাথে এমন আচরণ করেন তাহলে আমরা যাব কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে সারাদেশের ছাত্র সমাজ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী তার ভুল বুঝে ছাত্র সমাজের দাবি মেনে নেবেন।”

নর্দান ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে চলতে থাকা বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য পুলিশ এবং রাজনৈতিক গোষ্ঠী আমাদের উপর চড়াও হয়েছিল। আমরা এখনো শান্তির পথ অবলম্বন করছি, কিন্তু চলমান পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং কোটা সংস্কারের তীব্র দাবি জানাচ্ছি।”

ইবিহো/এসএস

প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে উত্তাল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

প্রভাতী দাস

খুলনার জিরো পয়েন্টে মহাসড়ক অবরোধ করে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগরসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও কোটা সংস্কারের একদফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে কুয়েট, নর্দান ইউনিভার্সিটিসহ খুলনার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে অপমানজনক আখ্যা দিয়ে চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার,’কোটা দিয়ে বৈষম্য নয়, বৈষম্যমুক্ত দেশ চায়’,’আমার সোনার বাংলায় কোটা প্রথার ঠাঁয় নায়’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, শিক্ষার্থীদের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে,‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি শ্লোগানে সড়কপথ প্রকম্পিত করে তোলে।

কুয়েটের এক শিক্ষার্থী বলেন, “কোটা প্রথার সংস্কার আমাদের একান্ত দাবি। বর্তমান কোটা ব্যবস্থা যোগ্য ও মেধাবীদের উপর অবিচার করছে। আমরা যোগ্যতার ভিত্তিতে আমাদের স্থান পেতে চাই। আমরা দেশের উন্নতির জন্য মেধাবীদের সঠিক মূল্যায়ন চাই। এবং একই সাথে পুলিশ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের যে সহিংসতা ছাত্রদের উপর চলছে এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করি।”

এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা এতদিন যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছিলাম। রাষ্ট্রের যাদের কাছে আমাদের দাবি তারাই যদি আমাদের সাথে এমন আচরণ করেন তাহলে আমরা যাব কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে সারাদেশের ছাত্র সমাজ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী তার ভুল বুঝে ছাত্র সমাজের দাবি মেনে নেবেন।”

নর্দান ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে চলতে থাকা বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য পুলিশ এবং রাজনৈতিক গোষ্ঠী আমাদের উপর চড়াও হয়েছিল। আমরা এখনো শান্তির পথ অবলম্বন করছি, কিন্তু চলমান পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং কোটা সংস্কারের তীব্র দাবি জানাচ্ছি।”

ইবিহো/এসএস