প্রশ্নপত্রের নেপাল-গোপাল প্রশ্নকর্তা সেই শিক্ষকের মামা

আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের

উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে জায়গা করে নেওয়া নেপাল ও গোপাল কোনো কাল্পনিক চরিত্র নয়। বরং তারা সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্ন তৈরি করা শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পালের আপন দুই মামা। এই শিক্ষক ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র পালের ফুফাতো ভাই।

নেপাল চন্দ্র পাল অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র পালের বাবা। আর বলাই চন্দ্রের কাকার নাম গোপাল চন্দ্র পাল। নেপাল ও গোপাল সম্পর্কে প্রশান্তের মামা হন। প্রশান্ত কুমার পালের বাবার নাম দুলাল চন্দ্র পাল।

নেপাল ও গোপালের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশান্ত কুমার পাল কালবেলাকে বলেন, নেপাল-গোপাল মামা বলে কোনো কথা নয়। বাংলাদেশে কি আর কোনো নেপাল-গোপাল নেই! বিষয়টি ওইভাবে দেখলে হবে না। তারা তো কোনো মুসলমানের কাছে জমি বিক্রি করেননি, ভারতও চলে যাননি। আমি লিখেছি এটি সত্য, তবে এগুলো কাল্পনিক চরিত্র। নেপাল ও গোপাল নামগুলো ভালো লাগল, তাই এই দুই নাম লিখেছি। অন্য কিছু নয়।

এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কে এম রব্বানীকে এই কমিটির আহ্বায়ক এবং বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম এবং উপ-কলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাশকে এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বুধবার বিতর্কিত প্রশ্নকর্তা ও চার মডারেটরকে যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে কল করা হয়েছে। তাদের বৃহস্পতিবার সশরীরে বোর্ডে উপস্থিত হয়ে নিজেদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। বোর্ড থেকে ডাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রশান্ত কুমার পাল। তবে প্রশ্ন নিজে করলেও মডারেটররা কেন সেটি দেখলেন না, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আমার ওপর চারজন প্রশ্নটি মডারেশন করেছেন। তারা তো বাতিল করতে পারতেন। যখন দেখেছেন প্রশ্নটি সাংঘর্ষিক, তখন কেন প্রশ্নটি সিলেক্ট করলেন। আমি না হয় অবচেতন মনে ভুল করে ফেলেছি, কিন্তু সে ভুল তো সংশোধনযোগ্য ছিল। আমি বোর্ডে গিয়ে এসব বিষয়ে জানাব তদন্ত কমিটিকে।

অন্ধকারে ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্ত

এ বিষয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য মদন মোহন দাশ কালবেলাকে বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যেই আমরা প্রতিবেদন জমা দেব।

ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র পাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রশ্নপত্র নিয়ে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রশান্ত পলাতক রয়েছে। কলেজে এসে চলে যাওয়ার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ।

তবে প্রশান্ত কুমার বললেন ভিন্ন কথা। তিনি কালবেলাকে বলেন, অধ্যক্ষ আমাকে বললেন, তুমি চলে যাও। কলেজে তোমার থাকতে হবে না। এ ছাড়া অনেকেই প্রশ্নের বিষয়ে সমালোচনা শুরু করল। তাই আমি ভয়ে পেয়ে মোবাইল বন্ধ করে রাখি।

প্রশ্নপত্রের নেপাল-গোপাল প্রশ্নকর্তা সেই শিক্ষকের মামা

আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের

উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে জায়গা করে নেওয়া নেপাল ও গোপাল কোনো কাল্পনিক চরিত্র নয়। বরং তারা সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্ন তৈরি করা শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পালের আপন দুই মামা। এই শিক্ষক ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র পালের ফুফাতো ভাই।

নেপাল চন্দ্র পাল অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র পালের বাবা। আর বলাই চন্দ্রের কাকার নাম গোপাল চন্দ্র পাল। নেপাল ও গোপাল সম্পর্কে প্রশান্তের মামা হন। প্রশান্ত কুমার পালের বাবার নাম দুলাল চন্দ্র পাল।

নেপাল ও গোপালের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশান্ত কুমার পাল কালবেলাকে বলেন, নেপাল-গোপাল মামা বলে কোনো কথা নয়। বাংলাদেশে কি আর কোনো নেপাল-গোপাল নেই! বিষয়টি ওইভাবে দেখলে হবে না। তারা তো কোনো মুসলমানের কাছে জমি বিক্রি করেননি, ভারতও চলে যাননি। আমি লিখেছি এটি সত্য, তবে এগুলো কাল্পনিক চরিত্র। নেপাল ও গোপাল নামগুলো ভালো লাগল, তাই এই দুই নাম লিখেছি। অন্য কিছু নয়।

এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কে এম রব্বানীকে এই কমিটির আহ্বায়ক এবং বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম এবং উপ-কলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাশকে এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বুধবার বিতর্কিত প্রশ্নকর্তা ও চার মডারেটরকে যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে কল করা হয়েছে। তাদের বৃহস্পতিবার সশরীরে বোর্ডে উপস্থিত হয়ে নিজেদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। বোর্ড থেকে ডাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রশান্ত কুমার পাল। তবে প্রশ্ন নিজে করলেও মডারেটররা কেন সেটি দেখলেন না, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আমার ওপর চারজন প্রশ্নটি মডারেশন করেছেন। তারা তো বাতিল করতে পারতেন। যখন দেখেছেন প্রশ্নটি সাংঘর্ষিক, তখন কেন প্রশ্নটি সিলেক্ট করলেন। আমি না হয় অবচেতন মনে ভুল করে ফেলেছি, কিন্তু সে ভুল তো সংশোধনযোগ্য ছিল। আমি বোর্ডে গিয়ে এসব বিষয়ে জানাব তদন্ত কমিটিকে।

অন্ধকারে ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্ত

এ বিষয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য মদন মোহন দাশ কালবেলাকে বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যেই আমরা প্রতিবেদন জমা দেব।

ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র পাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রশ্নপত্র নিয়ে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রশান্ত পলাতক রয়েছে। কলেজে এসে চলে যাওয়ার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ।

তবে প্রশান্ত কুমার বললেন ভিন্ন কথা। তিনি কালবেলাকে বলেন, অধ্যক্ষ আমাকে বললেন, তুমি চলে যাও। কলেজে তোমার থাকতে হবে না। এ ছাড়া অনেকেই প্রশ্নের বিষয়ে সমালোচনা শুরু করল। তাই আমি ভয়ে পেয়ে মোবাইল বন্ধ করে রাখি।

ট্যাগ