ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রেমিকার পক্ষ নিয়ে ছাত্রীকে হেনস্তা, বিচার দাবিতে আন্দোলন

 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলের এক আবাসিক ছাত্রীকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান ফটক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে হেনস্তাকারীদের বিচার দাবিতে হল গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

এ সময় অভিযুক্ত মেহেদী হাসান হাফিজের বহিষ্কার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। হাফিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের কর্মী।

প্রেমিকার পক্ষ নিয়ে ছাত্রীকে হেনস্তা, বিচার দাবিতে আন্দোলন

খালেদ জিয়া হলের ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে সিট পান ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সৈয়দা সায়মা রহমান। ওই হলের নিয়মানুযায়ী জুনিয়ররা দরজার পাশের সিটে ও সিনিয়ররা জানালার পাশের সিটে থাকেন। কিন্তু জুনিয়র এক ছাত্রী নিয়ম ভঙ্গ করে জানালার পাশের সিটে উঠতে গেলে হলের ওই ব্লকের সিনিয়র শিক্ষার্থী পপি তাকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করে। এতে জুনিয়র ছাত্রী কান্নাকাটি করেন এবং তার প্রেমিক ও ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজকে বিষয়টি জানান। পরে হাফিজসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী সিনিয়র ওই ছাত্রীকে হেনস্তা মারধর করেন।

এ ঘটনায় হেনস্থাকারীদের বিচার দাবি ও নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করেন খালেদা জিয়া হলের ছাত্রীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলন চলছিল।

প্রেমিকার পক্ষ নিয়ে ছাত্রীকে হেনস্তা, বিচার দাবিতে আন্দোলন

প্রত্যক্ষদর্শী পথিক নামের একজন শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, ‘গার্লফ্রেন্ডকে সিটে ওঠানো নিয়ে পপিকে বিকেলে ডাকেন হাফিজ। পরে এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি পপিকে থাপ্পড় মারেন। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করেন।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান হাফিজ বলেন, ‘ওখানে বহিরাগত একজন ছিল। তার নাম পরিচয় জিজ্ঞেস করতেই সে আমাকে মারতে আসে। আমি তাকে প্রতিহত করেছি।’

জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এইমাত্র এলাম। হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

রুমি নোমান/এসআর/জেআইএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রেমিকার পক্ষ নিয়ে ছাত্রীকে হেনস্তা, বিচার দাবিতে আন্দোলন

 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলের এক আবাসিক ছাত্রীকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান ফটক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে হেনস্তাকারীদের বিচার দাবিতে হল গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

এ সময় অভিযুক্ত মেহেদী হাসান হাফিজের বহিষ্কার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। হাফিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের কর্মী।

প্রেমিকার পক্ষ নিয়ে ছাত্রীকে হেনস্তা, বিচার দাবিতে আন্দোলন

খালেদ জিয়া হলের ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে সিট পান ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সৈয়দা সায়মা রহমান। ওই হলের নিয়মানুযায়ী জুনিয়ররা দরজার পাশের সিটে ও সিনিয়ররা জানালার পাশের সিটে থাকেন। কিন্তু জুনিয়র এক ছাত্রী নিয়ম ভঙ্গ করে জানালার পাশের সিটে উঠতে গেলে হলের ওই ব্লকের সিনিয়র শিক্ষার্থী পপি তাকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করে। এতে জুনিয়র ছাত্রী কান্নাকাটি করেন এবং তার প্রেমিক ও ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজকে বিষয়টি জানান। পরে হাফিজসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী সিনিয়র ওই ছাত্রীকে হেনস্তা মারধর করেন।

এ ঘটনায় হেনস্থাকারীদের বিচার দাবি ও নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করেন খালেদা জিয়া হলের ছাত্রীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলন চলছিল।

প্রেমিকার পক্ষ নিয়ে ছাত্রীকে হেনস্তা, বিচার দাবিতে আন্দোলন

প্রত্যক্ষদর্শী পথিক নামের একজন শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, ‘গার্লফ্রেন্ডকে সিটে ওঠানো নিয়ে পপিকে বিকেলে ডাকেন হাফিজ। পরে এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি পপিকে থাপ্পড় মারেন। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করেন।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান হাফিজ বলেন, ‘ওখানে বহিরাগত একজন ছিল। তার নাম পরিচয় জিজ্ঞেস করতেই সে আমাকে মারতে আসে। আমি তাকে প্রতিহত করেছি।’

জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এইমাত্র এলাম। হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

রুমি নোমান/এসআর/জেআইএম