ফেসবুক লাইভে তাকবীর নিয়ে হিংসামূলক, রাজনৈতিক কালিমা লেপনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১ টায় এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এসময় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী তাকবীর স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান।

মিছিলটি ক্যাম্পাসের অনুষদ ভবন সংলগ্ন বটতলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাশ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের- ‘লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবার’, ‘তাকবীরের কারণে, ভয় করি না মরনে’, ‘তাকবীর হবে ক্যাম্পাসে, তাকবীর হবে সংসদে’, ‘তাকবীর শুনে পুড়লে গা, ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যা’ ও ‘আমরা সবাই রাসূল সেনা, ভয় করি না বুলেট বোমা’ সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় মহান রবের কৃতজ্ঞতাস্বরুপ ‘লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পক্ষ এটাকে রাজনৈতিক স্লোগান দাবি করে বিতর্কিত করার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছে। যদি কেউ আরেকবার ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে তাহলে আমরা তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করবো।

এর আগে, গতকাল রাতে ‘জুলাইয়ের দিনগুলোর স্মৃতিচারণ’ শিরোনামে একটি লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। লাইভটি ‘সংবর্ত-৩৬’ ব্যাচের ফেসবুক ফেজ থেকে সম্প্রচার করা হয়। ৩ ঘন্টা ৩৯ মিনিটের লাইভ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিনে ‘লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান কেন দেওয়া হলো সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন সঞ্চালক জান্নাত মীম। মীম ২০২১-২২ গণিত বিভাগের ছাত্রী। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ উঠেছে, ব্যাচের অন্যদের না জানিয়ে ‘সংবর্ত ৩৬’ ব্যাচের ব্যানারে এই প্রোগ্রামটির আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাচের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, কোন ধরনের পূর্ব আলোচনা ব্যতিত এ ধরনের বিতর্কিত প্রোগ্রাম পুরো ব্যাচের সম্মানহানি এবং প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এর সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে অনতিবিলম্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ তম ব্যাচের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে।

সমন্বয়কদের অভিযোগ ‘জুলাইয়ের দিনগুলোর স্মৃতিচারণ’ শিরোনামে লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তাদেরকে অন্য বিষয়ে প্রশ্ন করে বিভ্রান্তিতে ফেলা হয়েছে এবং হেনস্তা করা হয়েছে।

এদিকে, লাইভ শেষে মীম বিষয়টি ভুল হয়েছে মেনে নিয়ে বলেন, আমি ‘লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান কেন দেওয়া হয়? আমি সমন্বয়ককে এমন প্রশ্ন করিনি বরং এটি ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীর বক্তব্য।

ইবিহো/এসএস

ফেসবুক লাইভে তাকবীর নিয়ে হিংসামূলক, রাজনৈতিক কালিমা লেপনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১ টায় এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এসময় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী তাকবীর স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান।

মিছিলটি ক্যাম্পাসের অনুষদ ভবন সংলগ্ন বটতলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাশ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের- ‘লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবার’, ‘তাকবীরের কারণে, ভয় করি না মরনে’, ‘তাকবীর হবে ক্যাম্পাসে, তাকবীর হবে সংসদে’, ‘তাকবীর শুনে পুড়লে গা, ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যা’ ও ‘আমরা সবাই রাসূল সেনা, ভয় করি না বুলেট বোমা’ সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় মহান রবের কৃতজ্ঞতাস্বরুপ ‘লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পক্ষ এটাকে রাজনৈতিক স্লোগান দাবি করে বিতর্কিত করার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছে। যদি কেউ আরেকবার ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে তাহলে আমরা তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করবো।

এর আগে, গতকাল রাতে ‘জুলাইয়ের দিনগুলোর স্মৃতিচারণ’ শিরোনামে একটি লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। লাইভটি ‘সংবর্ত-৩৬’ ব্যাচের ফেসবুক ফেজ থেকে সম্প্রচার করা হয়। ৩ ঘন্টা ৩৯ মিনিটের লাইভ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিনে ‘লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান কেন দেওয়া হলো সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন সঞ্চালক জান্নাত মীম। মীম ২০২১-২২ গণিত বিভাগের ছাত্রী। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ উঠেছে, ব্যাচের অন্যদের না জানিয়ে ‘সংবর্ত ৩৬’ ব্যাচের ব্যানারে এই প্রোগ্রামটির আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাচের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, কোন ধরনের পূর্ব আলোচনা ব্যতিত এ ধরনের বিতর্কিত প্রোগ্রাম পুরো ব্যাচের সম্মানহানি এবং প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এর সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে অনতিবিলম্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ তম ব্যাচের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে।

সমন্বয়কদের অভিযোগ ‘জুলাইয়ের দিনগুলোর স্মৃতিচারণ’ শিরোনামে লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তাদেরকে অন্য বিষয়ে প্রশ্ন করে বিভ্রান্তিতে ফেলা হয়েছে এবং হেনস্তা করা হয়েছে।

এদিকে, লাইভ শেষে মীম বিষয়টি ভুল হয়েছে মেনে নিয়ে বলেন, আমি ‘লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান কেন দেওয়া হয়? আমি সমন্বয়ককে এমন প্রশ্ন করিনি বরং এটি ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীর বক্তব্য।

ইবিহো/এসএস